ট্রাম্পকে নিয়ে কেন কঠিন পরীক্ষায় ডেমোক্র্যাটরা
প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এক দিন বাদেই। কী হতে যাচ্ছে ৫ নভেম্বর? এখনই এ প্রশ্নের জবাব পাওয়াটা সহজ নয়। তবে এটা বলাই চলে যে নির্বাচন ঘিরে ডেমোক্র্যাট শিবিরের প্রচার যতটা সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছিল, ততটা হয়নি।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে মধ্যবর্তী নির্বাচনের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেখে মনে হচ্ছিল, তাঁর ভালো সময়টা শেষ হয়ে গেছে। যদিও আগামীকালের নির্বাচনে তিনি হোঁচট খেতে পারেন। তবে এটা সত্যি যে গত নির্বাচনে ফল বদলানোর চেষ্টা—এমনকি ঘাড়ে একাধিক ফৌজদারি অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও মার্কিনরা ট্রাম্পকে দূরে সরিয়ে দেননি; বরং দূরে ঠেলে দিয়েছেন বাইডেনকে।
এবারের নির্বাচনে স্পষ্টতই ডেমোক্র্যাটরা প্রতিকূলতার মুখে পড়েছেন। নিউইয়র্ক টাইমস/সিয়েনা কলেজের সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেনের কর্মকাণ্ডের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন মাত্র ৪০ শতাংশ মার্কিন। আরও কম মাত্র ২৮ শতাংশ মনে করেন, দেশ সঠিক পথে এগোচ্ছে। আর ইতিহাস বলছে, জনগণের অসন্তোষের মুখে এখন পর্যন্ত কোনো দলই হোয়াইট হাউসে টিকে থাকতে পারেনি।
উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্ষমতাসীন দলগুলোও রাজনৈতিক প্রতিকূলতার মুখে পড়ছে। ডেমোক্র্যাটরা যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন, তা এই বৃহত্তর প্রবণতারই অংশ। যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া এবং সর্বশেষ জাপানে ক্ষমতাসীনদের পরাজয় হয়েছে বা তাঁরা বড় ধাক্কা খেয়েছেন। এই তালিকায় হয়তো ফ্রান্স ও কানাডাও নাম লেখাতে যাচ্ছে। চার বছর আগে ট্রাম্পের একই পরিণতি হয়েছিল।
ওপরে যে প্রবণতার কথা বলা হয়েছে, তা দেশ ও দলভেদে ভিন্ন হতে পারে। তবে ওই দেশগুলোয় এই প্রবণতার পেছনের গল্পটা কিন্তু প্রায় একই—করোনা এবং করোনা-পরবর্তী বিশৃঙ্খলা। প্রায় সব জায়গায় করোনা এবং তারপর জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। এতে ভোটাররা অসন্তুষ্ট হয়েছেন। ফলে খাঁড়ার ঘা এসেছে ক্ষমতাসীন দলের ওপর। অনেক দল আবার শুরু থেকেই অজনপ্রিয় হয়ে পড়েছিল।
এবার যুক্তরাষ্ট্রের চিত্রটা দেখা যাক। মহামারির সময় পরিস্থিতি শক্ত হাতে সামলেছিল ডেমোক্রেটিক পার্টি। এ ছাড়া কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক, সীমান্ত নীতি ও পরিবেশ সুরক্ষায় ভালো কাজ করেছে তারা। তবে এগুলোর মধ্যে মূল্যবৃদ্ধিসহ নানা সমস্যার দিকে তেমন নজর দিতে পারেনি। ফলে নাগরিকদের মধ্যে যে হতাশা দেখা দিয়েছে, তা ডেমোক্র্যাটদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
ডেমোক্র্যাট যুগের কি অবসান হয়েছে
২০০৮ সাল থেকে মার্কিন রাজনীতিতে ডেমোক্র্যাট ও উদারনীতির আধিপত্য রয়েছে। পরপর চারটি নির্বাচনে জনগণের ভোটে জয় পেয়েছে দলটি (জনগণের ভোট বেশি পেলেও ২০১৬ সালে ইলেকটোরাল কলেজের জটিল হিসাবে তাদের পরাজয় হয়েছে)। মার্কিন সমাজের জন্য তারা নানা ইতিবাচক আইন পাস করেছে। নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ে বরং অনেকেই শঙ্কার মধ্যে পড়েছিলেন। তাঁদের কাছে ট্রাম্প বর্ণবাদী এবং গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।
বাইডেন ক্ষমতায় আসার কিছুদিন পর থেকেই ডেমোক্র্যাটদের এই আধিপত্য উধাও হতে শুরু করে। করোনার সময় নানা বিধিনিষেধের ফলে মার্কিন অর্থনীতিতে যে প্রভাব পড়েছিল, তা সামনে আসতে থাকে। উচ্চ দ্রব্যমূল্য, কর্মসংস্থানের অভাবের কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের হতাশা প্রকাশ শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের তরুণেরা।
বাইডেনের আমলে দ্রব্যমূল্য ও সুদহার বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে সরকারের অত্যধিক ব্যয়। জ্বালানি তেল উত্তোলনের অনুমতি প্রত্যাহার ও কিস্টোন পাইপলাইন প্রকল্প বন্ধের কারণে তেলের দাম বেড়েছে। দুর্বল সীমান্ত নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ অভিবাসী ঢুকেছেন। এ ছাড়া গৃহহীন মানুষ ও অপরাধের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। একের পর এক এমন সমস্যার মুখে ডেমোক্র্যাট সমর্থকেরা উদারনীতি ছেড়ে ডানপন্থার দিকে ঝুঁকেছেন।
ডেমোক্র্যাটদের প্রতি মানুষের সমর্থন কমে যাওয়া বা রিপাবলিকান পার্টির সমর্থন বৃদ্ধি এটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে, এবারের নির্বাচনে রিপাবলিকানদের জয়ের হওয়ার বড় সুযোগ রয়েছে।
নির্বাচনের আগে করা বিভিন্ন জরিপে এরই একটি চিত্র পাওয়া যায়। এসব জরিপে অংশগ্রহণকারীদের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কারণে আপনি ভোট দিচ্ছেন, সে বিষয়ে কোন দল ভালো করবে?’ সবক্ষেত্রেই দেখা গেছে, জরিপে ট্রাম্প এগিয়ে রয়েছেন। আর পিউ রিসার্চ, এনবিসি/ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, টাইমস/সিয়েনা কলেজের মতো বড় বড় জরিপে দেখা গেছে, ২০০৪ সালের পর থেকে এই প্রথম দলগতভাবে ডেমোক্র্যাটদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে রিপাবলিকানরা। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে রিপাবলিকান পার্টির নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যাও বাড়ছে।
২০০৮ সালে যখন ডেমোক্র্যাটরা ক্ষমতায় এসেছিলেন, তখন তাঁরা বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে ৪০ বছরব্যাপী নানা নীতি হাতে নিয়েছিলেন। গত ১৬ বছরে এ সমস্যা সমাধান তারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তৎপরতা দেখিয়েছেন। তারপরও দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সন্তুষ্ট নন অনেক ভোটার।
ডেমোক্র্যাটদের অজনপ্রিয়তাই ট্রাম্পের সুযোগ
ডেমোক্র্যাটদের প্রতি মানুষের সমর্থন কমে যাওয়া বা রিপাবলিকান পার্টির সমর্থন বৃদ্ধি এটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে, এবারের নির্বাচনে রিপাবলিকানদের জয়ের হওয়ার বড় সুযোগ রয়েছে। তাঁরা যদি নির্বাচনে জিতেও যান, তাহলে তা ট্রাম্পের রাজনৈতিক জনপ্রিয়তার জন্য হবে না। তাঁকে নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন থাকার পরও করোনা মহামারির সময় ও পরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ডেমোক্র্যাটদের নিয়ে মানুষের মোহভঙ্গ করেছে। তাঁরা আর দলটিকে নতুন করে সুযোগ দিতে চান না।
আর যদি ট্রাম্প হারেন, তার ব্যাখ্যাটাও একই রকম সরল। এই পরাজয়ের কারণ হবে, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন ক্যাপিটল হিলে তাঁর সমর্থকদের দাঙ্গা এবং নারীদের গর্ভপাতের অধিকারকে খারিজ করতে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত। ডেমোক্র্যাটরা হয়তো মঙ্গলবার তাঁদের জয়ের ধারা বজায় রাখতে পারেন। তবে অতীতের দিকে তাকালে ইতিহাসবিদেরা হয়তো এই সিদ্ধান্তই নেবেন যে ডেমোক্র্যাটদের উত্থানের সময় ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে।
- আন্দোলনের ‘অ্যাপ’ চান শাওন
- সিন্ডিকেটের কবজায় আলুর বাজার
- ‘বাইডেন-জেলেনস্কির কারণে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা বাড়ছে’
- তাসকিনের ফাইফারে বিধ্বস্ত উইন্ডিজ, ৩৩৪ করলেই জিতবে বাংলাদেশ
- বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার ইসকন নেতা চিন্ময়
- ঘোষণা দিয়ে বেপরোয়া তাণ্ডব
- ট্রান্সজেন্ডার সেনাদের বাদ দেবেন ট্রাম্প
- শাহবাগে লোক জড়ো করা সেই মোস্তাফা আমীন আটক
- জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহের ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
- বাংলাদেশেও চাপে পড়তে পারেন আদানি
- দীর্ঘ ১৬ বছর পর বাবাকে খুঁজে পেলেন মার্কিন নারী
- সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ইঞ্জিন তৈরি, বিশ্বকে নতুন বার্তা চীনের
- আইসিসির বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের হুমকি মার্কিন সিনেটরের
- অন্য কোনো দেশে আশ্রয় না পেলে কী করতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা?
- ভারতে মসজিদের স্থানে মন্দির দাবি, পুলিশের গুলিতে নিহত ৩ মুসল্লি
- পড়তে ভুলে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা?
- বিশ্বে যেভাবে ‘নির্যাতিত’ হচ্ছেন পুরুষরা
- দিনে মাত্র একবেলা খাচ্ছে গাজার অনেক মানুষ
- পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে বদলে দেয়া হয় মেট্রোরেলের নিয়োগবিধি
- আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য কতটুকু সত্য?
- কেউ আপনার স্ত্রীকে ‘হট’ বললে সেটা কি ভালো লাগে, প্রশ্ন সানার
- সোনার দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা
- ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাবে রাশিয়া
- পাচারকারীরা বেপরোয়া ছিল শেখ পরিবারের প্রশ্রয়ে
- এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে
- পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে
- ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র তাপসসহ ৩০ জনের নামে মামলা
- রমজানে কঠিন সংকটের শঙ্কা
- জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি মুছে ফেললো ল্যাবরেটরি স্কুল, সোশ্যাল
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনে নতুন কমিটি ঘোষণা
- মালিতে অতর্কিত হামলায় ওয়াগনারের ৫০ সৈন্য নিহত
- আজকের সংখ্যা ৮৪৪
- যে শর্তে ইসরাইলে হামলা বন্ধের ঘোষণা দিল হিজবুল্লাহ
- রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও তার পরামর্শক পর্ষদ
- আরব লীগের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকা থেকে হিজবুল্লাহর নাম বাদ
- শিশুদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার সীমিত করছে নিউইয়র্ক
- যে কারণে নিউ ইয়র্কে চাকরি ছেড়েছেন ৫ লাখ মানুষ
- আজকের সংখ্যা আজকাল ৮৩৬
- কাল পবিত্র হজ
ঈদ রোববার - নিউইয়র্কে বাংলাদেশি খুনের ঘটনায় ন্যায়বিচার নিয়ে সংশয়ে পরিবার
- যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি যুবকের বিরুদ্ধে ‘বেঞ্চ ওয়ারেন্ট’
- নিপুণের পেছনে বড় শক্তি আছে: ডিপজল
- পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ
- মুত্তালিব বিশ্বাসকে সংবর্ধনা
- নিউইয়র্ক মাতালেন মমতাজ
- পর্তুগালে বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য দুঃসংবাদ
- হজে যেতে পারেননি বহু প্রবাসী
- আজকের আজকাল সংখ্যা ৮৩১
- বিয়ে হলেও বিয়ের প্রিমিয়ার হবে না
- আনন্দ-বেদনায় কানাডা প্রবাসীদের ঈদ উদযাপন
- অবৈধদের সন্তানরা নাগরিকত্ব পাবে না
- আমি আমার ৩টি টার্গেট ঠিক করে নিয়েছে : এসপি হারুন
- নির্বাচনী প্রচারণায় ধানের শীষের পাশে নেই বিএনপি
- নতুন ইমিগ্র্যান্ট ঠেকাতে সিনেটে বিল পাস
- যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে রাতভর ফ্লাইট উড্ডয়ন বন্ধ
- ছড়িয়ে পড়েছে বিষাক্ত গ্যাস
- যুক্তরাষ্ট্রের প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞা তালিকায় ১১ বাংলাদেশির নাম
- ট্রাম্প-বাইডেন দু’জনই বুড়ো, কাউকে পছন্দ না ভোটারদের
- রোববার থেকে স্টুডেন্ট লোন মওকুফ কার্যক্রম শুরু
- নাগরিকত্ব পেতে ইন্টারভিউ দিতে হবে না
- ডিপোর্টেশন আতংকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
- ইংরেজিতে দুর্বলদের জন্য দুঃসংবাদ
নাগরিকত্ব পরীক্ষায় পরিবর্তন আসছে - অনিশ্চয়তার মুখে ২ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
- যুক্তরাষ্ট্রে ২৫২ বাড়ি আমলা-পুলিশের
- কাল ঘড়ির কাঁটা পিছিয়ে দিন