দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ভাইবোন
আজকাল রিপোর্ট -
প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

শেখ হাসিনা পরিবারের দুর্নীতি দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বপরিমন্ডলে আলোচনার ঝড় তুলছে। পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে ৮২ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। বৃটেনের সর্বাধিক প্রচারিত প্রভাবশালী ট্যাবলয়েড দৈনিক, ডেইলি মেইলের প্রথম পাতা জুড়ে জায়গা করে নিলেন শেখ হাসিনার ভাগ্নী, বৃটিশ এমপি ও দেশটির জুনিয়র মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। ইংল্যান্ডে তাকে নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে। অনেকে তার পদত্যাগ দাবি করছেন। খালাতো ভাইবোন জয় ও টিউলিপ বাংলাদেশের গন্ডি পেরিয়ে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। জয় পাচার করা অর্থ নামে ও বেনামে রেখেছেন বিভিন্ন ঘনিষ্ঠদের কাছে। তার লোপাট করা অর্থের নেটওয়ার্ক, দিল্লী, লন্ডন, সিঙ্গাপুর, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে বিস্তৃত। যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে তুলেছেন বিশাল সা¤্রাজ্য। তা ফ্লোরিডা, ম্যারিল্যান্ড, ভারজেনিয়া, নিউইয়র্ক সিটি ও আপস্টেট নিউইয়র্ক পর্যন্ত বিস্তৃত। বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন তার নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি দেখে বিস্মিত। ড. ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণায় বিশাল তহবিল বিভিন্ন দেশে বিতরন করছেন। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে আন্দোলন ও লবিং করার জন্য লাখ লাখ ডলার ব্যয় করা হচ্ছে। ভারতীয় মিডিয়াগুলোর জন্য ব্যয় করছেন কোটি কোটি টাকা। জয়ের অর্থ কেলেংকারির পর উঠে এসেছে ব্রিটিশ মন্ত্রী টিউলিপের নাম। বাংলাদেশে শেখ হাসিনা (এখন ভারতে), ইংল্যান্ডে টিউলিপ ও যুক্তরাষ্ট্রে সজীব ওয়াজেদ জয়। এ যেন দুর্নীতি ও লুটপাটের আর্ন্তজাতিকীকরন।
সালমান এফ রহমানের বরাত দিয়ে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন, এস আলমের মাধ্যমে দেশ থেকে পাচার হওয়া দেড় লাখ কোটি টাকার অর্ধেকই শেখ রেহানা এবং সজীব ওয়াজেদ জয়কে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে এসব অনিয়ম হয়।
গ্রেফতারের পর থেকেই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন সালমান এফ রহমান। তার দাবি, শেখ পরিবারের অতি লোভের কারণেই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এতটা শোচনীয় হয়েছে। তাতে সব সময়ই সায় দিতেন সরকারের শীর্ষস্থানীয় কিছু ব্যক্তি। শেখ হাসিনাকে বোঝাতে গিয়ে অনেকে ছিটকে পড়েছেন। কারণ, তিনি সব সময়ই তার নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকতেন।
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নী, যুক্তরাজ্যের লেবার মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ৪ বিলিয়ন পাউন্ড (৬০ হাজার ২০০ কোটি টাকা) ঘুষ নেয়ার অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে। বৃটেনের আর্থিক খাতে দুর্নীতিরোধের দায়িত্ব রয়েছে সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের কাঁধে। টিউলিপের জন্মভূমি বাংলাদেশে। একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির সঙ্গে জড়িত কথিত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) টিউলিপ সিদ্দিক, তার যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী মা শেখ রেহানা সিদ্দিক এবং তার খালা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। বাংলাদেশের হাইকোর্টের আদেশের পরে তদন্ত শুরু করা হয়েছিল, যেখানে দাবি করা হয়েছিল যে, টিউলিপ সিদ্দিক মোট ১০ বিলিয়ন ডলারের পারমাণবিক চুক্তির ‘দালালি’ করতে সহায়তা করেছিলেন। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি রোসাটম নামে একটি রাশিয়ান রাষ্ট্র-সমর্থিত কোম্পানি দ্বারা নির্মিত হয়েছিল এবং ২০১৩ সালে হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন টিউলিপ সিদ্দিকের উপস্থিতিতে ক্রেমলিনের অভ্যন্তরে চুক্তিটি স্বাক্ষর করেছিলেন, যিনি তখন একজন লেবার কাউন্সিলর ছিলেন।
বাংলাদেশে দুদক সিদ্দিকের পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করছে, যার মধ্যে তার খালাতো ভাই সজীব ওয়াজেদ জয় রয়েছেন। জয় যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন । পুতুলের চাচা তারিক সিদ্দিকির বরুদ্ধেও তদন্ত হচ্ছে। বাংলাদেশে লুকিয়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আদালতের কাগজপত্রে তাদের নাম ছিল। দুদকের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, কমিশন জড়িতদের অবস্থান নির্বিশেষে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
দুর্নীতি পর্যবেক্ষক সংস্থাট জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শুরু হওয়া আটটি অগ্রাধিকার প্রকল্পে ২১০ বিলিয়ন টাকার দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে তারা। এ ছাড়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে ৫৯০ বিলিয়ন টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
এসিসির নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট একটি রুল জারি করার দু ’দিন পরে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের জন্য এটিই প্রথম উদ্যোগ
বহিষ্কৃত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (এসিসি)। গত মঙ্গলবার এসিসির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আখতার হোসেন এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তদন্তের অংশ হিসেবে হাসিনা, জয়, তার বোন শেখ রেহানা এবং রেহানার মেয়ে টিউলিপের জড়িত থাকার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে এসিসি। গতকাল মঙ্গলবার এসিসির চেয়ারম্যান আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে এক কমিশনের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এসিসির নথি অনুযায়ী, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ প্রকাশ্যে এনেছিলেন। (ঘউগ). আশ্রয়, বেজা ও বেপজার আওতায় প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২১০ বিলিয়ন টাকা "আত্মসাৎ" করার অভিযোগ উঠে এসেছে গণমাধ্যমের খবরে।
আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্যের সাধারণ সম্পাদক এবং তারেক সিদ্দিকের পারিবারিক বন্ধু সৈয়দ ফারুক বলেন, ‘এই গল্পগুলো বানোয়াট। এগুলো হাসিনা পরিবারের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আক্রমণ। তারা টিউলিপকে আক্রমণ করছে, কারণ সে আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি। জুলাই মাসে সিটি মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে সিদ্দিককে ঘিরে ঘুষের তদন্ত হলো বিতর্কিত একটি বিষয়। তিনি প্রায় ১৪ মাস ধরে লন্ডনের একটি সম্পত্তির ভাড়ার আয় ঘোষণা করেননি বলে সংসদীয় মানদ- মেনে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছিল।’
সংসদীয় নিয়ম অনুসারে সদস্যদের ২৮ দিনের মধ্যে এই জাতীয় আয় ঘোষণা করতে হবে। টিউলিপ যার অফিসিয়াল উপাধি ট্রেজারির অর্থনৈতিক সচিব। তিনি ক্ষমা চেয়েছিলেন এবং ভুলটি ‘অসাবধানতাবশত’ হয়েছিল বলে স্বীকার করেছিলেন। আগস্টে একই সংবাদপত্র প্রকাশ করেছিল কীভাবে সিদ্দিক দুই বছর আগে ২ মিলিয়ন পাউন্ডের পাঁচ বেডরুমের বাড়িতে চলে যান, যেটি তিনি তার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মিত্রের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছিলেন। একজন বাংলাদেশি বিরোধী রাজনীতিক ববি হাজ্জাজ সেপ্টেম্বরে হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করার পরে সিদ্দিক এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়।
আদালতের কাগজপত্রে উদ্ধৃত বাংলাদেশি মিডিয়ার বিভিন্ন নিবন্ধের ওপর ভিত্তি করে এটি তৈরি করা হয়েছিল। টিউলিপ সিদ্দিক এবং তার পরিবার পারমাণবিক চুক্তির সময় ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকা থেকে ১২৮ মাইল উত্তর-পশ্চিমে ঈশ্বরদী উপজেলায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তিটি ২০১৩ সালে ক্রেমলিনে একটি জমকালো অনুষ্ঠানে হাসিনা ও পুতিনের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল যেখানে সিদ্দিক, তার মা রেহানা (৬৯) ও ছোট বোন আজমিনা (৩৪) উপস্থিত ছিলেন। সিদ্দিক ও তার পরিবার এমনকী পরে রাশিয়ান রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে ছবিও তোলেন।
বাংলাদেশি গণমাধ্যমের রিপোর্টগুলো গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামে মার্কিনভিত্তিক নিউজ ওয়েবসাইটের একটি নিবন্ধের দ্বারা আলোড়িত হয়েছিল, যেখানে টিউলিপ সিদ্দিক এবং তার পরিবারের সদস্যদের দ্বারা ৪ বিলিয়ন পাউন্ড কীভাবে চুরি করা হয়েছিল তা বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
রিট পিটিশনে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের বিষয়ে রাশিয়ান সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক পরিচালনা ও সমন্বয় সাধনে টিউলিপ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তা জানানো হয়। নথিতে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১০ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ের ৯০ শতাংশ ক্রেমলিন থেকে হাসিনা সরকারের কাছে ঋণের মাধ্যমে পূরণ করা হয়েছিল, কিন্তু হাসিনা পরিবার মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে ‘রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে ৪ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করেছে।’
নথিতে বলা হয়েছে, সিদ্দিক, হাসিনা ও তাদের পরিবারের অন্য সদস্যরা মধ্যস্থতার বিনিময়ে আত্মসাতকৃত তহবিলের ৩০ শতাংশ পেয়েছেন। এমনকি দাবি করা হয়েছে যে, প্রচ্ছয়া লিমিটেড নামের একটি ‘ভুয়া’ কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ৭০৯ মিলিয়ন পাউন্ড পাচার করা হয়েছে ‘যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে’।
উইট ইস্টের টোরি এমপি জো রবার্টসন বলেছেন, ‘এটি স্পষ্ট যে অভিযোগ গুরুতর, এখানে মন্ত্রী টিউলিপের সম্পৃক্ততা কতোখানি ছিল তা জানা প্রয়োজন। গুরুতর তদন্তের অধীনে থেকেও সিদ্দিক কি তার মন্ত্রী পদে বহাল থাকবেন?’
ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে বিলিয়ন ডলারের অসম চুক্তি এবং একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে স্বাক্ষর করার সময় একটি সরকারি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ভিডিও প্রকাশের পরে নগরমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক নতুন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন। ফুটেজে সিদ্দিককে ক্রেমলিনে তার খালা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি দলের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। দ্য মেইল অন সানডে প্রকাশ করার নয় বছর পর এটি প্রকাশ্যে আসে যে, ২০১৩ সালের অনুষ্ঠানে পুতিন এবং তার খালার সঙ্গে সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন। হাসিনা বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সেই সময়ে লেবার জোর দিয়ে বলেছিল যে, তৎকালীন সংসদীয় প্রার্থী সিদ্দিক যেকোনো সরকারি প্রতিনিধিদলের অংশ ছিলেন না, তার পরিবারের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন। তবে ভিডিওগুলো প্রকাশ করে যে ক্রেমলিনের অভ্যন্তরে এটি একটি ‘পারিবারিক অনুষ্ঠান’ ছিল। ছবিতে পুতিন ও হাসিনাকে একটি অলঙ্কৃত ডেস্কে বসে ছবি তুলতে দেখা যায়। তাদের পেছনের দেয়ালে ছিল রুশ ও বাংলাদেশের পতাকা। ১ বিলিয়ন পাউন্ডের অস্ত্র চুক্তি স্বাক্ষরের আগে উভয় নেতা একে অপরের দেশের প্রশংসা করে বক্তৃতা দিয়েছিলেন। বিতর্কিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চুক্তি, যা এখন বাংলাদেশে তদন্তের অধীন এই অনুষ্ঠানেই স্বাক্ষরিত হয়েছিল। পুতিনের সঙ্গে হাসিনার চুক্তি স্বাক্ষরের পরে একই ঘরে এই পারিবারিক ছবি তোলা হয়েছিল।
ভিডিওতে দেখা গেছে, টিউলিপ সিদ্দিক ও তার বোন আজমিনা বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তাদের খালার পেছনে হাঁটছেন। একজন লেবার মুখপাত্র এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘এটি টিউলিপ এমপি হওয়ার ১১ বছর আগের ঘটনা। টিউলিপ শুধুমাত্র তার খালাকে দেখতে এবং তার পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে রাশিয়া গিয়েছিলেন। পারিবারিক সদস্য হওয়ায় তিনি যেকোনো অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন, তাতে তার কোনো ভূমিকা ছিল না।’
যদিও টোরি দলের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘এটি টিউলিপ সিদ্দিকের তথাকথিত পারিবারিক মস্কো সফরের পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছু গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করে। এক দশকেরও বেশি সময় পরে অবশেষে সিদ্দিকের রাশিয়া সফর এবং এই ছবির পেছনের সত্য উদ্ঘাটনের সময় এসেছে।’
এদিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার (৫৯ হাজার কোটি টাকা) আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্টে। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। রুলে এ অভিযোগ অনুসন্ধান-তদন্তে সংস্থাটির ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে।

- চীন থেকে ফেরত গেল যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং উড়োজাহাজ
- যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কায় বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৩
- ‘বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সময় জীবননাশের শঙ্কায় ছিলাম’
- পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত
- সৌদিতে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার
- বিদেশে প্লট-ফ্ল্যাট রাজনীতিবিদদের
- গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের অর্থ সহায়তা দিচ্ছে ফেসবুক
- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গোপন সভার ভিডিও ফাঁস
- বেঁচে থাকার লড়াইয়ে কচ্ছপ খাচ্ছে গাজাবাসী
- ৬৫ দল চায় নিবন্ধন, সময় চেয়েছে ৪৬ দল
- বাংলাদেশ হয়ে সেভেন সিস্টার্সে যাওয়ার রেল প্রকল্প স্থগিত
- জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার সম্প্রসারণে উদ্যোগ
- সম্মিলিত মঙ্গল শোভাযাত্রা শনিবার
- শোটাইম মিউজিকের বাংলা নববর্ষবরণ
- মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরেও টিউলিপ
- হার্ভার্ডে বিদেশী শিক্ষার্থীদের নিষিদ্ধ করতে চান ট্রাম্প
- ইইউ’র ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ
- পাকিস্তানের কাছে ৪৩২ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি
- রেমিট্যান্স ফেয়ার শুরু শনিবার: গভর্নর মনসুর যাচ্ছেন না
- ফ্লোরিডার বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলিতে নিহত ২
- বাংলাদেশ ‘জিএসপি’ সুবিধা পেতে তৎপর বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ ডে প্যারেডে মানুষের ঢল
- ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে নির্বাচন
- সাপ্তাহিক আজকাল আজকের সংখ্যা ৮৬৬
- নো মেকআপ লুকে মিমি চক্রবর্তী
- হার্ভার্ড রসিকতা, ঘৃণা এবং বোকামি শেখায়: ট্রাম্প
- পুলিশ সদস্য হত্যা মামলায় আরাভ খানসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন
- পোষা বিড়ালকে মোবাইলে কী দেখালেন তারেক রহমান?
- বৈঠকে আমরা সন্তুষ্ট নই, কঠোর আন্দোলনের ডাক আসবে
- নির্বাচনের জন্য ৩ শর্ত পূরণের দাবি জামায়াত আমিরের
- আজকের সংখ্যা ৮৪৪
- এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে
- এ বি সিদ্দিক এবং জাস্টিসকে নিয়ে জামালপুর জেলা সমিতির নতুন কমিটি
- রমজানে আরটিভি’র আলোকিত কোরআন প্রতিযোগিতা
- বাংলাদেশ এখন অরাজকতার আগ্নেয়গিরি
- চট্রগাম সমিতির নবনির্বাচিতদের শপথ গ্রহন
- টেক্সট মেসেজ নিয়ে এফবিআই’র সতর্কতা
- আজকাল ৮৫২ তম সংখ্যা
- লাখ টাকা কমছে হজের খরচ
- ৬ মেডিকেল কলেজের নতুন নামকরণ
- নাসার রিসাইকেল চ্যালেঞ্জে অংশ নিয়ে দেড় কোটি ডলার জেতার সুযোগ
- ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কঃ তালি বাজাতে দুই হাত লাগে
- ‘আজকাল’-৮৪৮ সংখ্যা
- আজকাল সংখ্যা ৮৫১
- ‘আজকাল’ - ৮৪০সংখ্যা
- আজকাল ৮৫০
- মানসিক চাপ থেকে হৃদরোগ
- বাংলাদেশে ৬ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ‘ইমো’
- আজকাল এর ৮৫৩ তম সংখ্যা
- তরুণরা আক্রান্ত হচ্ছে স্ট্রোকে

- মার্কিন ভিসা বাতিল ৫১ বাংলাদেশির!
- প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করবে যুক্তরাষ্ট্র
শলা-পরামর্শ করতে আসছেন হাস - তারেকের অপচেষ্টা প্রতিহত করবে ভোটাররা
- নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাথে নারায়ণগঞ্জ প্রার্থীদের মতবিনিময় সভা
- অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ৩৫ লাখ মামলা প্রত্যাহার
- ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধোকা দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে চায়:সালমা ওসমান
- মুখোমুখি বাইডেন-হাসিনা
জিতবে কে? - আমেরিকার ‘ধমকে’ প্রথম কুপোকাত আজম
- গণসংযোগকালে যুবলীগ নেতা হত্যা
- বাংলাদেশে বাজেট পেশ
যেসব পন্যের দাম বাড়বে-কমবে - বাংলাদেশের নির্বাচন
বাইডেন-মোদী বৈঠকেই হাসিনার ভাগ্য নির্ধারণ? - সুন্দর আগামীর জন্য আবারও নৌকায় ভোট দিন: সোহেল তাজ
- দেশকে বাঁচাতে নির্বাচনে বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই : এইচটি ইমাম
- রাষ্ট্রদূত হাস আসছেন ফাইলে কি থাকছে?
- প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উস্কানি মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা