দুর্বল মামলায় খালাস পাচ্ছে আসামিরা
প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২৫

- গত চার মাসে অন্তত তিন শতাধিক আসামির জামিন
- মামলার ফাঁকফোকর বন্ধ করতে পুলিশের বিশেষ চিঠি
- ছিনতাই-মাদক-মানব পাচার মামলায় ফাঁকফোকর বেশি
‘ভুল ধারায়’ মামলা দায়ের, দুর্বল তদন্ত ও সাক্ষী হাজির করতে না পারায় জামিন বা খালাস পাচ্ছে আসামিরা। গত চার মাসে ছিনতাই, ডাকাতি, দস্যুতা, মানব পাচারসহ নানা অপরাধে সম্পৃক্ত অন্তত তিন শতাধিক আসামির জামিন হয়েছে। আর এসব জামিনের কারণ দুর্বল মামলা। জামিন পেয়ে অপরাধীরা আবারও জড়াচ্ছে অপরাধে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন পুলিশ সদর দপ্তর। মামলার ফাঁকফোকর বন্ধ করতে পুলিশের সবকটি ইউনিটকে বিশেষ চিঠি দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের গোপন প্রতিবেদন বলছে, আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়ার পরও চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ও মানব পাচার মামলায় নিষ্পত্তির হার মাত্র ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। বিচার শেষে ১৫ শতাংশ মামলায় আসামির সাজা হয়। বাকি আসামিরা খালাস পেয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এর কারণ কী?
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, থানায় যেসব মামলা হচ্ছে সেখানে রয়েছে বিশদ ফাঁকফোকর। আদালতে ফরোয়ার্ডিং দেওয়ার সময় তথ্য থাকছে কম। ঘটনামাফিক মামলার আগে আইনের ধারাগুলো ভালোভাবে যাচাই-বাছাই হচ্ছে না। আর তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্তে রয়েছে উদাসীনতা।
অভিযোগ রয়েছে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মামলার ফাঁকফোকর থাকার কারণে আসামিরা সহজেই জামিন বা খালাস পেয়ে যাচ্ছে। বেশিরভাগ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয়ের আসামি থাকায় পুলিশ ‘ঘুষ-বাণিজ্যও’ করছে।
গত ১৪ এপ্রিল রাজধানীর মিরপুরে ছিনতাইকারী সন্দেহে এক যুবককে জনতার সহায়তায় আটক করেছিল পুলিশ। পরদিন তাকে আসামি করে একটি মামলা দেওয়া হয়। আহত অবস্থায় তাকে সিএমএম আদালতে পাঠানো হলেও এজাহারে বিস্তারিত বলা হয়নি। এ নিয়ে ওইদিনই (১৫ এপ্রিল) আদালত চিঠি পাঠিয়েছে পুলিশকে। সেখানে বলা হয়, মামলার ফরোয়ার্ডিং আদালতে পাঠানো হলেও থাকছে না বিস্তারিত তথ্য। ছিনতাই, মাদক ও মানব পাচার মামলার ক্ষেত্রে এসব ঘটনা ঘটছে বেশি।
অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। অযোগ্য পুলিশ কর্মকর্তাদের সরিয়ে যোগ্যদের দায়িত্ব পালনের ব্যবস্থা করতে হবে। মামলার আগে ভালোভাবে দেখে তা লিপিবদ্ধ করতে হবে। আসামিরা যাতে সহজেই জামিন না পায় সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। আর তা না হলে অপরাধীরা বের হয়ে আরও অপকর্ম করবে।
বিশ্লেষকরা আরও মনে করছেন, পুলিশের ঢিলেঢালা টহল, অপরাধ ঘটার পর পুলিশের দুর্বল চার্জশিট দাখিল ও আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ার কারণেও অপরাধ বেড়েছে। কোনো ঘটনা ঘটলে সঠিক তদন্ত করে চার্জশিট দাখিলের পাশাপাশি পর্যাপ্ত সাক্ষীর ব্যবস্থা করে অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। শাসক দলের কেউ অপরাধ করলে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।
জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম দেশ রূপান্তরকে বলেন, যা ঘটবে বা রটবে সে সত্যটিই এজাহার বা জিডিতে উল্লেখ করতে হবে। মামলায় কোনো ধরনের ফাঁকফোকর রাখা যাবে না। অজ্ঞাতনামা আসামির নামে কোনো ধরনের অপকর্ম করার তথ্য মিললে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে ব্যবস্থা। কেউ ছাড় পাবে না। তাছাড়া মিথ্যা মামলায় কাউকে হয়রানিও করা যাবে না।
ভুল ধারা মামলা ও তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ: সংশ্লিষ্টরা দেশ রূপান্তরকে জানায়, ভুল ধারায় মামলা, দুর্বল তদন্ত ও সাক্ষী হাজির করতে না পারায় বিভিন্ন আইনের অধিকাংশ মামলায় অপরাধীদের শাস্তি হচ্ছে না। ছিনতাই, মানব পাচার ও মাদক মামলায় আইনের ফাঁকফোকর বের করে আসামিরা জামিন নিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে। মামলায় দুর্বলতা থাকায় আদালতকেও জামিন দিতে হচ্ছে। ছিনতাই-ডাকাতির মামলার আসামিরা জামিনে মুক্ত হয়ে আবার একই ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। পুলিশের মাঠপর্যায় থেকে দীর্ঘদিন ধরেই এ ধরনের অভিযোগ আসছিল। এখন পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বিভিন্ন ইউনিটকে মামলা ও গ্রেপ্তারের পাশাপাশি এ ধরনের আসামি জামিনের বিষয়ে তথ্য উদঘাটন করতে বলা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের বিশেষ চিঠিতে নির্দেশনা: পুলিশ সূত্র জানায়, সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও মামলার বিষয়ে পুলিশের সবকটি ইউনিটকে চিঠি দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। চিঠিতে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, থানায় যেসব মামলা হচ্ছে সেখানে ফাঁকফোকর থাকছে বলে তথ্য আসছে। আদালতে ফরোয়ার্ডিং দেওয়ার সময় তথ্য কম থাকছে। ফলে আসামিরা জামিন পেয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে মামলার আগে আইনের ধারাগুলো ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করতে হবে। তদন্তকারী কর্মকর্তাদের আরও যতœশীল হতে হবে। আদালতে আসামি পাঠানোর সময় মামলার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে যাতে সহজেই আসামিরা জামিন না পায়। অপরাধ অনুযায়ী মামলা না নিয়ে দুর্বল ধারায় মামলা হচ্ছে কি না, তা গভীরে গিয়ে দেখতে হবে। পাশাপাশি মিথ্যা মামলা যাতে কেউ করতে না পারে, সেজন্য বিশেষ নজরদারি করতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
পুলিশের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, পুলিশের তথ্যভান্ডার থেকে ছিনতাইকারী বা অন্য কোনো অপরাধের ঘটনায় তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। এ ধরনের অপরাধীদের যারা জামিনে বের হচ্ছে, তাদের অন্য মামলায় ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখানো যায় কি না, তাও ভাবতে হবে তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে। আলোচিত অপরাধীরা জামিন পেলে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তার ঊর্ধ্বতনদের অবহিত করতে বলা হয়েছে।
আদালতে দেওয়া ফরোয়ার্ডিংয়ে থাকছে না তথ্য: একটি ছিনতাইয়ের মামলার বিষয়টি নজরে আনেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত। মামলার ফরোয়ার্ডিংয়ে ছিল না তথ্য। আসামি ও তদন্তকারী কর্মকর্তার বক্তব্যের সঙ্গে মিল না থাকার তথ্য মিলেছে। গত ১৫ এপ্রিল ঢাকার মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে এক ব্যক্তিকে আটকের পর আদালতে পাঠায় পুলিশ। মামলার ফরোয়ার্ডিংয়ে বলা হয়, দণ্ডবিধির ৩৯২ ধারার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় আকিব নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত মর্মে চিকিৎসার স্লিপসহ তাকে আদালতে পাঠানো হয়। ওইদিন আদালত ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসামি দাবি করেন, ছিনতাইয়ের ঘটনায় যে মামলা হয়েছে তিনি তার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তাকে অন্য ছিনতাইয়ের ঘটনায় স্থানীয় লোকজন ছিনতাই করা মোবাইল তার কাছ থেকে উদ্ধার করে তাকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরবর্তী সময়ে পুলিশ তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। বিচারকের জিজ্ঞাসাবাদে আসামি তার ওই বক্তব্য স্বেচ্ছায় জবানবন্দি আকারে দেন।
জবানবন্দিতে তিনি বলেন, গত ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১২টায় মিরপুর আলোক হাসপাতালের সামনে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে। তার কাছ থেকে ছিনতাই করা মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। একটি মোবাইল একজন নারীর কাছ থেকে দুজন ছিনতাইকারী ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময় তার কাছে মোবাইল রেখে যান মর্মে তিনি স্বীকার করেন। পরে জনতা তাকে পুলিশে সোপর্দ করে।
বিচারক ওই আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশে উল্লেখ করেন, থানা থেকে পাঠানো পুলিশ ফরোয়ার্ডিংয়ে আসামির আহত হওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। আসামির পিসি বা পিআরে একটি ডাকাতির প্রস্তুতি ও একটি ছিনতাইয়ের মামলা আছে। অথচ পুলিশের ফরোয়ার্ডিংয়ে এ তথ্য নেই।
পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি: ছিনতাই মামলার বিষয়ে আদালত ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে গত ১৫ এপ্রিল বিষয়টি নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, সম্প্রতি রাজধানী ঢাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু মামলা হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আসামিদের সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে অজ্ঞাতনামা আসামি থাকা মামলায় ফরোয়ার্ড করা হয়। এ ক্ষেত্রে কীভাবে আসামিরা ওই মামলাগুলোর ঘটনার সঙ্গে জড়িত সেই বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তারা বিস্তারিত কোনো বর্ণনা বা ব্যাখ্যা সাধারণত দেন না। এতে পরবর্তী সময়ে আসামিদের জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাউন্ড তৈরি হয়।
মামলা দুর্বলের কারণে জামিন: সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১৭ জানুয়ারি রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় একটি ডাকাতির মামলায় ফাহিম নামে এক যুবক গ্রেপ্তার হয়। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর। পুলিশ ১৮ জানুয়ারি তাকে আদালতে পাঠালে তার জামিন হয়ে যায়। মামলার দুর্বলতার কারণে তাকে জামিন দিতে বাধ্য হয় আদালত। গত চার মাসে ছিনতাই, ডাকাতি, দস্যুতা, মানব পাচারসহ নানা অপরাধে সম্পৃক্ত অন্তত তিন শতাধিক আসামির জামিন হয়েছে।
গত ১৩ জানুয়ারি কলাবাগান থানায় একটি ডাকাতির মামলায় সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার হলেও পরদিন তার জামিন হয়ে যায়। কয়েক মাসের ব্যবধানে দুর্বল মামলার সুযোগে ঢাকায় মোহাম্মদ আলম, রমজান, মোবারক, সেলিম খান, ইব্রাহিম হোসেন ওরফে সানি, মিজানুর রহমান সুমন, জাহিদুল ইসলাম, দিলদার, নাঈম, মনসুর, জাউরা মাসুম, গলাকাটা হারুন, জাহাঙ্গীর, ফাহিম, বাউনা ফারুক, হেলু, সায়মন ও মনির, রুবেল, বাবু, লালু, স্বপন, মামুন, পাপ্পু, জসিম, মোস্তফা, আলিফ, তুহিন, ফিরোজ, জলিলসহ আরও একাধিক দাগি অপরাধী জামিনে বের হয়ে গেছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়। প্রতিদিনই ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে খুন, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে।
এ প্রসঙ্গে পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (অপারেশনস) রেজাউল করিম দেশ রূপান্তরকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি। কিছু মামলার দুর্বলতা থাকার বিষয়টি তথ্য এসেছে। এ বিষয়ে আমরা বেশ সতর্ক আছি। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট প্রধান, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলার এসপি ও থানার ওসিদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে ছিনতাই-ডাকাতির মতো অপরাধ মোকাবিলা ছিল অন্যতম চ্যালেঞ্জ। জনমনে স্বস্তি ফেরাতে পুলিশ দিন-রাত কাজ করছে। আইনের ফাঁকফোকর কাজে লাগিয়ে আসল অপরাধীরা যেন ছাড়া না পায়, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশের গোপন প্রতিবেদন: সম্প্রতি পুলিশের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়ার পরও চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ও মানব পাচার মামলায় নিষ্পত্তির হার মাত্র ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। বিচার শেষে ১৫ শতাংশ মামলায় আসামির সাজা হয়। বাকি আসামিরা খালাস পেয়ে যাচ্ছে। খালাস বা জামিন পাওয়ার পেছনে নিদিষ্ট সময়ে সাক্ষীদের আদালতে হাজির করতে ব্যর্থতাকে সামনে আনা হয়েছে। আবার কোনো ফৌজদারি মামলা বছরের পর বছর বিচারাধীন থাকছে।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদনেও অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকছে। মামলায় সাক্ষীরা আদালতে এসে আপসের কথাও বলে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন সাক্ষীর অভাবে অনেক মামলা নিষ্পত্তি হয়ে যায় এবং আসামিরাও খালাস পেয়ে যায়। তাছাড়া মামলার চার্জশিটে আসামিদের সঠিক নাম-ঠিকানাসহ তদন্তের বিস্তারিত উল্লেখ থাকছে না।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে উঠতি সন্ত্রাসীরা। তাদের হাতে জিম্মি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। রেহাই পাচ্ছে না স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও। রাজনীতিকরা এসব সন্ত্রাসীকে লালন করছে বলে অভিযোগ এসেছে। তাদের ছত্রছায়ায় অপরাধীরা খুন ও ধর্ষণের মতো অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে। ঢাকার বিভিন্ন দেয়ালে সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করছে ওইসব সন্ত্রাসী। তাদের দলগুলোতে থাকছে আবার বিত্তবানদের সন্তানরা। বখে যাওয়া কমবয়সী অপরাধীরা ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান হওয়ায় অনেকে ভয়ে ব্যবস্থা নিতে পারছে না। তারা হত্যাকাণ্ড, অপহরণ, ছিনতাই থেকে শুরু করে সব ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। স্কুল ব্যাগের পাশাপাশি জুতার মধ্যে বহন করছে আগ্নেয়াস্ত্র। মামলা হলেও তদন্তে দুর্বলতা প্রকাশ পাচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, আদালত অপরাধের মাত্রা বা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে যে কেউ জামিন পেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, মামলার তদারকিতে উদাসীনতার সুযোগে দাগি অপরাধীরা জামিন পেয়ে আবারও নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি।

- দুর্বল মামলায় খালাস পাচ্ছে আসামিরা
- ফুটবলে হামজা উন্মাদনা, অনলাইন টিকিটের চিন্তা বাফুফের
- সত্যিই গর্ভবতী নারী পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছিলেন কি?
- বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশ হতে পারে ভারত
- প্রবাসী বাংলাদেশিদের কৃতিত্ব দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
- যুক্তরাষ্ট্রেই থাকছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অঞ্জন, আইনি লড়াইয়ে জয়
- মত পাল্টাচ্ছেন ট্রাম্প, বললেন চীনের ওপর শুল্ক কমবে উল্লেখযোগ্য হা
- পাকিস্তানিদের ভারত ছাড়তে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিল মোদি সরকার
- লুটেরাদের নির্লজ্জ জীবন
- জুলুম নয়, ৩১ দফা বাস্তবায়ন করে প্রতিশোধ নেবে বিএনপি: তারেক রহমান
- কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ২৬
- আমেরিকান তুলার তৈরি পোশাকের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার চায় বিটিএমএ
- গাজা যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব, কায়রোতে যাচ্ছে হামাস
- লজ্জা না থাকলে বাধ্য করেই সরানো হোক কুয়েট ভিসিকে
- কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবিতে শাহবাগে ‘ব্লকেড’, যান চলাচল বন্ধ
- ছাত্রদলে পদ পেতে স্ত্রীকে তালাক
- মারা গেলেন পোপ ফ্রান্সিস
- বাংলাদেশি নই বলা টিউলিপ বাংলাদেশের এনআইডি-পাসপোর্টধারী
- যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজনের বিরুদ্ধে চীনের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা
- ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের তাণ্ডব
- পালাতে পালাতে ক্লান্ত গাজাবাসী
- অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠছে ‘প্রাচীন খুনি’
- ট্রাম্প যেন নিজেকে রাজা-বাদশাহ মনে করছেন!
- চীন থেকে ফেরত গেল যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং উড়োজাহাজ
- যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কায় বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৩
- ‘বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সময় জীবননাশের শঙ্কায় ছিলাম’
- পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত
- সৌদিতে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার
- বিদেশে প্লট-ফ্ল্যাট রাজনীতিবিদদের
- গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের অর্থ সহায়তা দিচ্ছে ফেসবুক
- আজকের সংখ্যা ৮৪৪
- এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে
- এ বি সিদ্দিক এবং জাস্টিসকে নিয়ে জামালপুর জেলা সমিতির নতুন কমিটি
- রমজানে আরটিভি’র আলোকিত কোরআন প্রতিযোগিতা
- বাংলাদেশ এখন অরাজকতার আগ্নেয়গিরি
- চট্রগাম সমিতির নবনির্বাচিতদের শপথ গ্রহন
- টেক্সট মেসেজ নিয়ে এফবিআই’র সতর্কতা
- আজকাল ৮৫২ তম সংখ্যা
- লাখ টাকা কমছে হজের খরচ
- ৬ মেডিকেল কলেজের নতুন নামকরণ
- নাসার রিসাইকেল চ্যালেঞ্জে অংশ নিয়ে দেড় কোটি ডলার জেতার সুযোগ
- ‘আজকাল’-৮৪৮ সংখ্যা
- ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কঃ তালি বাজাতে দুই হাত লাগে
- আজকাল সংখ্যা ৮৫১
- ‘আজকাল’ - ৮৪০সংখ্যা
- আজকাল ৮৫০
- মানসিক চাপ থেকে হৃদরোগ
- বাংলাদেশে ৬ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ‘ইমো’
- আজকাল এর ৮৫৩ তম সংখ্যা
- তরুণরা আক্রান্ত হচ্ছে স্ট্রোকে

- মার্কিন ভিসা বাতিল ৫১ বাংলাদেশির!
- প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করবে যুক্তরাষ্ট্র
শলা-পরামর্শ করতে আসছেন হাস - তারেকের অপচেষ্টা প্রতিহত করবে ভোটাররা
- নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাথে নারায়ণগঞ্জ প্রার্থীদের মতবিনিময় সভা
- অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ৩৫ লাখ মামলা প্রত্যাহার
- ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধোকা দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে চায়:সালমা ওসমান
- মুখোমুখি বাইডেন-হাসিনা
জিতবে কে? - আমেরিকার ‘ধমকে’ প্রথম কুপোকাত আজম
- গণসংযোগকালে যুবলীগ নেতা হত্যা
- বাংলাদেশে বাজেট পেশ
যেসব পন্যের দাম বাড়বে-কমবে - সুন্দর আগামীর জন্য আবারও নৌকায় ভোট দিন: সোহেল তাজ
- বাংলাদেশের নির্বাচন
বাইডেন-মোদী বৈঠকেই হাসিনার ভাগ্য নির্ধারণ? - দেশকে বাঁচাতে নির্বাচনে বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই : এইচটি ইমাম
- রাষ্ট্রদূত হাস আসছেন ফাইলে কি থাকছে?
- প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উস্কানি মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা