রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
কেউ আপনার স্ত্রীকে ‘হট’ বললে সেটা কি ভালো লাগে, প্রশ্ন সানার পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে পাচারকারীরা বেপরোয়া ছিল শেখ পরিবারের প্রশ্রয়ে সোনার দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য কতটুকু সত্য? দিনে মাত্র একবেলা খাচ্ছে গাজার অনেক মানুষ পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে বদলে দেয়া হয় মেট্রোরেলের নিয়োগবিধি যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে দৈনিক ১৩৯ কোটি টাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নজর চার খাতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন হাথুরুসিংহের অপকর্ম ধামাচাপা দেন পাপন ‘ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ আমেরিকার জন্য বিশাল হুমকি হবে’ নীরবে সরবে চাঁদাবাজি পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ ইন্টারনেট ছাড়াই গুগল ম্যাপ ব্যবহারের উপায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বাইডেনের ভাড়া ফাঁকিবাজদের ধরতে চলছে সাঁড়াশি অভিযান সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরীকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেল বিএসএফ ভিসা ফি ছাড়াই এবার পাকিস্তান যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফি আটক সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয়বহুল সফরে ২৬ ব্যাংক এমডি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ সাবেক সেনাপ্রধান ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা দিনের বেলায় মরুভূমির চেয়েও উত্তপ্ত চাঁদ ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩২৭ ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠির সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশি অক্টোবরের মধ্যেই ‘আন্দোলনের ফসল’ ঘরে তুলতে চায় বিএনপি শর্তসাপেক্ষে নিউইয়র্কে মসজিদে আজানের অনুমতি বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেলেন ৩১ কর্মী খেলাপি ঋণ কমাতে কঠোর নির্দেশ জার্মানে পাঁচ বছর বাস করলেই পাওয়া যাবে নাগরিকত্ব বিএনপি-জাপা বৈঠক সিঙ্গাপুরে বাইডেন প্রশাসনকে হাসিনার কড়া বার্তা এবার হাসিনার পাশে রাশিয়া বঙ্গ সম্মেলনের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা স্টুডেন্ট লোন মওকুফ প্রস্তাব বাতিল বাংলাদেশিদের ওপর উপর্যুপরি হামলা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আগে নিজ দেশে মানবাধিকার রক্ষা করা: শেখ হাসিনা তামিমের অবসর অভিযোগের তীর পাপনের দিকে নিউইয়র্কে এখন চোরের উপদ্রুব যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে হাতিরঝিলের ক্ষতি হবেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি, পাঁচ দিনে নিহত ৩৫ যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে বাখমুত থেকে পিছু হটেছে সেনারা, স্বীকার করল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোন হবে না, দাবি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সুদানে যুদ্ধে সাড়ে ৪ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে দ্বিতীয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে সারা দেশে ভোগান্তি রুশ হামলা সামলে ফের বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন রিজার্ভ সংকট, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের দুর্বল নীতিও দায়ী পূজার ‘জিন’ একা দেখতে পারলেই মিলবে লাখ টাকা! সিরিয়ায় আর্টিলারি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাইডেন না দাঁড়ালে প্রার্থী হবেন কে নাইজেরিয়ায় ৭৪ জনকে গুলি করে হত্যা ভারতে বাড়ছে করোনা, বিধিনিষেধ জারি তিন রাজ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুলা যে কোনো দিন খুলবে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল দেশে করোনার নতুন ধরন, সতর্কতা বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবো: মাহিয়া মাহি মর্মান্তিক, মেয়েটিকে ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল ঘাতক গাড়ি! স্ট্যামফোর্ড-আশাসহ ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বর্ষবরণে বায়ু-শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যে ধাক্কা কোনো ভুল মানুষকে পাশে রাখতে চাই না বাসস্থানের চরম সংকটে নিউইয়র্কবাসী ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার! ছুটি ৬ মাসের বেশি হলে কুয়েতের ভিসা বাতিল ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত চুক্তিতে বিয়ে করে ইউরোপে পাড়ি আইফোন ১৪ প্রোর ক্যামেরায় নতুন দুই সমস্যা পায়ের কিছু অংশ কাটা হলো গায়ক আকবরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ডলার নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম
৮৫

‘নিজে ধর্ষিত হলাম, ভয় পাচ্ছি মেয়েদের নিয়েও’

প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

টুইটারে ক্যাম্পেইন চলছে #অ্যামআইনেক্সট এবং অনলাইনে আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন পাঁচ লক্ষেরও বেশি মানুষ। তাদের দাবি, অপরাধ কমাতে মৃত্যুদণ্ডের বিধান ফিরিয়ে আনা হোক। মূলত ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাগুলোর প্রতিবাদেই এই ক্যাম্পেইন চলছে, আর তাতে অংশ নিচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষ।

দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা অবশ্য সমস্যা মোকাবেলায় ব্যবস্থা নেয়ার অঙ্গীকার করেছেন। যেসব ব্যবস্থার কথা বলা হচ্ছে, সেগুলোর মধ্যে থাকবে যৌন সহিংসতার বিচারের জন্য বিশেষ আদালতের সংখ্যা বাড়ানো এবং কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা ব্যবস্থা।

 

৩৭ বছর বয়সী ফটোসাংবাদিক সারাহ মিডগ্লে দু'সন্তানের জননী এবং বাস করেন দেশটির প্রধান শহর জোহানেসবার্গে। এক দশক আগে ধর্ষণের শিকার হওয়ার যে মানসিক আঘাত পেয়েছেন, সেটি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি।

বিবিসি আফ্রিকার সাথে সেই কঠিন ও দুঃসহ অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। ২০১০ সালে নিজের সাবেক প্রেমিকের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন সারাহ মিডগ্লে, যখন তার দেশে বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজন চলছিলো।

আঠারো মাস ধরে সেই প্রেমিক তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে জানান তিনি। সারাহ বলেন, অনেকবার আমি তাকে ছেড়ে আসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু যতবারই চেষ্টা করেছি ততবার সে আরও সহিংস আচরণ করেছে। সারাহ বলছেন তাকে লাথি মারা, গলা টিপে ধরা ও কামড় দেয়া হতো।

‘যদি তাকে ছেড়ে যাই, তাহলে সে নিয়মিত আমার কন্যাদের ধর্ষণ ও আমার সামনেই তাদের খুন করবে বলে হুমকি দিতো। এমনকি একবার আমাকে ইলেকট্রিক শক পর্যন্ত দিয়েছিলো সে।’

সারাহ বলেন, এসব ঘটনা তিনি কারও কাছে বলেননি কারণ এটি ছিলো তার জন্য লজ্জার ও বিব্রতকর। আমি পরিবার ও বন্ধুদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলাম। আমি বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলাম যে সে আমার সন্তানদেরও ক্ষতি করবে।

কিন্তু যখন তার সাহস হলো প্রেমিককে ছেড়ে যাওয়ার, তখন তিনি সেই কাজটি করলেন অত্যন্ত গোপনে।

‘দশ দিন পর সে আমার ঘরের দরজায় এলো, বললো যে সে শেষবারের মতো সহযোগিতা চায়। সে বললো ২৫ কিলোমিটার দূরে তার চাচার খামারে যাওয়ার মতো পয়সাও তার হাতে নেই।’ তবে সারাহর কাছে সে অঙ্গীকার করে যে তাকে পৌঁছে দিলে সে আর তাদের জীবনে থাকবে না।

‘ধর্ষণের ঘটনার বহু বছর পর আমি নিজেকেই দোষ দিলাম এ কারণে যে আমি বিশ্বাস করেছিলাম আমাকে সে যন্ত্রণামুক্ত হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। গাড়িতে করে দিয়ে আসার সময়ই খেয়াল করলাম যে সে চুপ হয়ে আছে। আমি আবারও বুঝতে পারলাম যে সে আসলে হেরোইন সেবন করে।’

সারাহ ওই ব্যক্তিকে বলেছিলেন, যে তিনি খামার বাড়ির গেটে তাকে নামিয়ে দিয়ে চলে আসবেন। কিন্তু যখন খামারে পৌঁছলাম সে দৌড়ে আমার দিকে এসে দরজা খুলে চুল ধরে টেনে-হিঁচড়ে বের করার চেষ্টা করে। আমি গাড়িতে পড়ে গেলে সে আমার মাথায় লাথি মারে।

‘যখন জ্ঞান ফিরলো তখন খামারের বাইরে একটি কোয়ার্টারে এবং আমার ওপরে তাকে দেখতে পেলাম। তার এক বন্ধুও তার সাথে যোগ দিলো। আমি আবারো জ্ঞান হারালাম। জ্ঞান ফেরার পর দেখি তারা চলে গেছে, আর খামারের পরিচ্ছন্নতা কর্মী এলো সেখানে।’

ছোট সার্জারিও করাতে হয়েছে

সারাহর পাশে দাঁড়ানো পরিচ্ছন্নতা কর্মীর হাতে এক বালতি পানি ছিলো। নিজের কিছু কাপড় দিয়ে সে সারাহকে পরিষ্কার করে দিতে উদ্যত হয়। সারাহ তাকে থামতে বলেন এবং পুলিশ বা অ্যাম্বুলেন্স ডাকতে বলেন। এরপর একটি অ্যাম্বুলেন্স এসে সারাহকে হাসপাতাল নিয়ে যায়।

কিন্তু সারাহর শারীরিক ক্ষত বেশ গভীর ছিলো এবং তাকে একটি ছোটো অপারেশনও করতে হয়। এসবের মধ্যে সারাহ দেখতে পান তার ওপর হামলাকারী জামিন পেয়েছে শহর ছেড়েছে। পরে অবশ্য সে গ্রেফতার হয় এবং তার আট বছরের জেলও হয়। এরপর সে সাত বছর জেল খাটার পর প্রস্টেট ও ব্লাডার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ২০১৭ সালে।

‘সত্যিকার অর্থে সাত বছরের মধ্যে তখনই প্রথম আমি শান্তিতে নিঃশ্বাস নিলাম। কিন্তু আমি স্বপ্নেও দেখতাম যে আমার সাবেক বয়ফ্রেন্ড ফিরে আসছে এবং আমাকে ও আমার সন্তানদের ওপর আক্রমণ করছে।’

এক পর্যায়ে একা থাকতে না পেরে বাবা-মায়ের কাছে চলে যান সারাহ। আমি মানুষকে ভয় পেতে শুরু করলাম। চেষ্টা করলাম যাতে কেউ না বোঝে।

সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ

ছোটো বেলায় একবার যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার পর থেরাপি নেয়ার অভিজ্ঞতাও ছিলো তারা। তবে ভয়ংকর বিষয় ছিলো যে ধর্ষণের শিকার এক মাকে এই যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে যেতে হবে, যার দুটি সন্তান রয়েছে।

‘আমি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম এই ভেবে যে আমি যে ঘটনার শিকার হয়েছিলাম, তেমনটি যদি তাদের ক্ষেত্রেও হয়!’

সারাহ নিজের মেয়েদের বোঝাতে শুরু করেন যে তিনি সবসময়ই তাদের জন্য নিরাপদ জায়গা। তারা যেনো তাকে সবসময় বিশ্বাস করে এবং মা হিসেবে তিনিও সন্তানদের বিশ্বাস করবেন।

তিনি সন্তানদের নিরাপত্তা বিষয়ে বেশী চিন্তিত হয়ে পড়লেন। সন্তানদের ফোন কিনে দিলেন ও নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করলেন। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে তিনি মনে করেন নারী ও শিশুদের সুরক্ষায় খুব বেশী কোনো ব্যবস্থা নেই। বিবিসি বাংলা।

সাপ্তাহিক আজকাল
সাপ্তাহিক আজকাল
এই বিভাগের আরো খবর