মসলা ও শুকনা ফলের ১৭ চোরাকারবারি চিহ্নিত
প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিজিবির টহলের ঘাটতি-গোয়েন্দা প্রতিবেদন
কাস্টমসের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে আন্ডার ইনভয়েসিং
মসলা ও শুকনা ফল চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ১৭ চোরাকারবারিকে চিহ্নিত করা গেছে। এরা কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশের মাধ্যমে আন্ডার ইনভয়েসিং, ওজনে কারচুপি এবং সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে লাগেজ সুবিধায় মসলা দেশে আনছে। এতে সরকার বিপুল অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে। অন্যদিকে বৈধপথে শুল্ক-কর পরিশোধ করে মসলা আনা ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
মসলা চোরাচালান নিয়ে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) গোপনীয় এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। সম্প্রতি প্রতিবেদনটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদনে চোরাচালান বন্ধে সীমান্তে বিজিবির টহল বৃদ্ধি এবং মসলার শুল্ক-কর যৌক্তিক করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এর আগে ১৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) মসলা চোরাচালানের সম্ভাব্য কারণ তুলে ধরে মসলার শুল্ক-হ্রাস, সীমান্তরক্ষী বাহিনী, সংশ্লিষ্ট জেলার চোরাচালানবিরোধী টাস্কফোর্স এবং শুল্ক গোয়েন্দাদের নজরদারি বাড়ানোর সুপারিশ করে।
মসলা চোরাচালানে যুক্তরা হচ্ছেন-সিরাজুল ইসলাম (৩২), জাহাঙ্গীর (৫০), ওয়াদুদ মাস্টার (৩৮), নূর মোহাম্মদ (২৮), মো. আসাদুল (৩২), দিদার হোসেন ওরফে দিলু মিয়া (৪৫), জাহাঙ্গীর ওরফে কালা জাহাঙ্গীর (৪৫), সুরুজ মল্লিক (৫০), শাহ আলম (৩৫), হুরমুজ (২৫), নূরনবী কাউন্সিলর (৫০), রোকন গাজী (৪৫), আবু তালেব (৪০), মো. বাবু মিয়া (৩১), মো. তারাজুল ইসলাম (৪৫), কামরুল আহমেদ ও মুন্না আহমেদ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে চোরাইপথে বিভিন্ন ধরনের মসলা ও শুকনা ফল ভারত থেকে বাংলাদেশে আসছে। এসব মসলা বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আসছে। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে এসব পণ্য আখাউড়া, ছাগলনাইয়া, চৌদ্দগ্রাম, হালুয়াঘাট, বগুড়া, সাতক্ষীরা ও খুলনা সীমান্ত দিয়ে আনা হচ্ছে। মসলা দেশে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহলের ঘাটতি রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির পদ্ধতি বর্ণনা দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমদানিকারকরা টাকা-পয়সার বিনিময়ে বেশি দামের পণ্য এনে কম দামের পণ্যের শুল্ক-কর পরিশোধ করেন। আমদানিকারক যদি কোনো কারণে কাস্টমস কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করতে না পারেন অথবা কোনোক্রমে ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে কাস্টম হাউজের অধীনে এআইআর (গোয়েন্দা) শাখায় ডকুমেন্ট পাঠানো হয়। তখন এআইআর শাখা মালামাল জব্দ করে অথবা শুল্ক গোয়েন্দার মাধ্যমে তদন্তের ব্যবস্থা করে থাকেন। প্রকৃতপক্ষে মিথ্যা ঘোষণার দায়ে যে পরিমাণ পণ্য আটক করা হয়, তার চেয়ে বেশি পণ্য অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে আমদানিকারকরা ছাড়িয়ে নেন।
ওজনে কারচুপির বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থলবন্দর দিয়ে উচ্চ শুল্কের পণ্যের ক্ষেত্রে নিয়মিত ওজনে কারচুপির ঘটনা ঘটছে। এক্ষেত্রে স্থলবন্দরভেদে পৃথক কৌশল অবলম্বন করা হয়। যেমন আমদানিকারক বিদেশ থেকে ৩০ টন মালামাল আমদানি করলে বিল অব এন্ট্রিতে ২৫ টন উল্লেখ করেন। আমদানিকারক ৫ টন মালামাল শুল্ক ফাঁকি দিয়ে খালাস করেন। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করে কাস্টম হাউজের এফরেইজিং বিভাগ।
এফরেইজিং বিভাগ টাকা-পয়সার বিনিময়ে কম ওজনেই মালামাল খালাসের সুযোগ করে দেয়। ওজন কম দেখিয়ে শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার এই প্রক্রিয়ায় আমদানিকারক ও কাস্টম হাউজে কর্মরতরা জড়িত। অন্যদিকে যেসব বন্দরে ওজন ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয় হয়নি, সেসব বন্দরে ওজনে কারচুপি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
চোরাকারবারিরা ওইসব বন্দর ব্যবহার করে মসলা ও শুকনা ফল আমদানি করছে। আর যেসব বন্দরে ট্রাকের ওজন পদ্ধতি স্বয়ংক্রিয় করা হয়েছে, সেসব জায়গায় কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে আঁতাত করে অতিরিক্ত প্যাকেজিং সুবিধা নেন। যেমন ফলের ক্যারেটের ওজন ২ দশমিক ২ কেজি হলেও মোট ওজনের সময় ক্যারেটপ্রতি আড়াই কেজি বাদ দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তি বছরে একাধিকবার ভারতে যান। প্রতিবার দেশে ফেরার সময় তারা হাতব্যাগে করে ৮-১০ কেজি মসলা জাতীয় পণ্য নিয়ে আসেন। আইন অনুযায়ী তারা ২ কেজি পণ্য আনার অনুমতি পান। এক্ষেত্রে কাস্টমস কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সঙ্গে থাকা মসলার পুরোটাই শুল্ক ফাঁকি দিয়ে দেশে আনছেন।
চোরাচালান বন্ধে ৮ সুপারিশ : মসলা ও শুকনা ফল চোরাচালান বন্ধে ৮টি সুপারিশ করা হয়েছে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে। এগুলো হচ্ছে-মসলা ও শুকনা ফলের আমদানি শুল্ক কমিয়ে যৌক্তিক শুল্ক-কর নির্ধারণ করা। স্থলবন্দরে মিথ্যা ঘোষণা ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
এক্ষেত্রে আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের সঙ্গে জড়িত কাস্টমস কর্মকর্তা ও আমদানিকারকের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। চোরাকারবারিদের কাছে মসলার চাহিদা কমাতে মসলাজাতীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সঠিক সরবরাহ ও মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বিজিবির টহল সংখ্যা বৃদ্ধি করা। পণ্য ওজন করার ক্ষেত্রে সব স্থলবন্দরে অটোমেশন পদ্ধতি চালু করা। সীমান্ত ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করা।
তথ্য সংগ্রহ ও পাচারকারীদের শনাক্ত করতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। সীমান্ত এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে চোরাচালান প্রতিরোধ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা। প্রয়োজনে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে প্রতিকারমূলক পদক্ষেপের অংশীদার করা। গত জানুয়ারিতে ট্যারিফ কমিশন মসলা ও শুকনা ফলের বার্ষিক চাহিদা ও আমদানি তথ্য বিশ্লেষণ করে এনবিআরে একটি প্রতিবেদন পাঠায়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মসলা ও শুকনা ফলের চাহিদার তুলনায় আমদানি অনেক কম। অধিকাংশ পণ্যে স্থানীয় চাহিদার ৫০ শতাংশের বেশি আমদানি ঘাটতি আছে। স্থানীয়ভাবে এসব পণ্য উৎপাদন না থাকলেও বাজারে সরবরাহে ঘাটতি নেই। যেহেতু চাহিদার তুলনায় আমদানি কম এবং স্থানীয় উৎপাদন নেই, অথচ বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক আছে, তাতে বোঝা যায়, এসব পণ্য অনানুষ্ঠানিক বা অন্য উপায়ে (চোরাচালান বা মিথ্যা ঘোষণায়) আমদানি হচ্ছে।
ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মসলা ও শুকনা ফলের নয়টি পণ্যের চাহিদা ১ লাখ ২৪ হাজার টন। গত অর্থবছরে আমদানি হয়েছে প্রায় ৬৮ হাজার টন। ঘাটতি ছিল ৫৬ হাজার টন, যা অনানুষ্ঠানিক পথে বাজারে ঢুকেছে। অনানুষ্ঠানিক বাণিজ্যের মাধ্যমে দেশে আসা এই নয়টি পণ্যের খুচরা দাম প্রায় ৪ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা।
কাস্টমসের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রতিকেজি জিরা আমদানিতে ২৫১ টাকা, দারুচিনিতে ১২২ টাকা, এলাচিতে ৫৩৫ টাকা, লবঙ্গে ২৮৫ টাকা, কিশমিশে ২৮৯ টাকা, কাঠবাদামে ৩১০ টাকা, পেস্তাবাদামে ৬১৯ টাকা, আলুবোখারায় ১৫৪ টাকা, কাজুবাদামে ৪৪৫ টাকা শুল্ক-কর দিতে হয় আমদানিকারকদের।

- জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার সম্প্রসারণে উদ্যোগ
- সম্মিলিত মঙ্গল শোভাযাত্রা শনিবার
- শোটাইম মিউজিকের বাংলা নববর্ষবরণ
- মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরেও টিউলিপ
- হার্ভার্ডে বিদেশী শিক্ষার্থীদের নিষিদ্ধ করতে চান ট্রাম্প
- ইইউ’র ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ
- পাকিস্তানের কাছে ৪৩২ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি
- রেমিট্যান্স ফেয়ার শুরু শনিবার: গভর্নর মনসুর যাচ্ছেন না
- ফ্লোরিডার বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলিতে নিহত ২
- বাংলাদেশ ‘জিএসপি’ সুবিধা পেতে তৎপর বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ ডে প্যারেডে মানুষের ঢল
- ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে নির্বাচন
- সাপ্তাহিক আজকাল আজকের সংখ্যা ৮৬৬
- নো মেকআপ লুকে মিমি চক্রবর্তী
- হার্ভার্ড রসিকতা, ঘৃণা এবং বোকামি শেখায়: ট্রাম্প
- পুলিশ সদস্য হত্যা মামলায় আরাভ খানসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন
- পোষা বিড়ালকে মোবাইলে কী দেখালেন তারেক রহমান?
- বৈঠকে আমরা সন্তুষ্ট নই, কঠোর আন্দোলনের ডাক আসবে
- নির্বাচনের জন্য ৩ শর্ত পূরণের দাবি জামায়াত আমিরের
- সৌদি রাষ্ট্রদূতকে আদালতে মেঘনার স্বামী দাবি
- ফ্যাসিবাদী মুখাকৃতি সামনে রেখে শেষ হলো `বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা`
- ‘বাণিজ্যযুদ্ধে কেউ জেতে না’, চীনা প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি
- বাজি ফাটানো নিয়ে দ্বিতীয় দিনের সংঘর্ষে এএসপিসহ অর্ধশত আহত
- চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে মিত্রদের পাশে চান ট্রাম্প
- ফাঁস হচ্ছে মেঘনার ভয়ংকর হানি ট্র্যাপ
- ব্যয়-দুর্নীতি কমিয়ে বিদ্যুতে ভর্তুকি সামালের উদ্যোগ
- ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ‘ম্যাস সেন্সরশিপ’র নেপথ্যে ইসরাইল
- ২৩ দিনে ২২৪ বার গাজার আবাসিক এলাকায় ইসরাইলের হামলা
- সৃজিতের ভাবনায় স্বস্তিকা!
- ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর ছবি পেটানোর খবর ইসরায়েলি মিডিয়ায়
- আজকের সংখ্যা ৮৪৪
- এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে
- রমজানে আরটিভি’র আলোকিত কোরআন প্রতিযোগিতা
- এ বি সিদ্দিক এবং জাস্টিসকে নিয়ে জামালপুর জেলা সমিতির নতুন কমিটি
- বাংলাদেশ এখন অরাজকতার আগ্নেয়গিরি
- চট্রগাম সমিতির নবনির্বাচিতদের শপথ গ্রহন
- টেক্সট মেসেজ নিয়ে এফবিআই’র সতর্কতা
- আজকাল ৮৫২ তম সংখ্যা
- লাখ টাকা কমছে হজের খরচ
- ৬ মেডিকেল কলেজের নতুন নামকরণ
- নাসার রিসাইকেল চ্যালেঞ্জে অংশ নিয়ে দেড় কোটি ডলার জেতার সুযোগ
- লেবানন যুদ্ধে ঝুঁকিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা
- ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কঃ তালি বাজাতে দুই হাত লাগে
- ‘আজকাল’-৮৪৮ সংখ্যা
- আজকাল সংখ্যা ৮৫১
- ‘আজকাল’ - ৮৪০সংখ্যা
- আজকাল ৮৫০
- মানসিক চাপ থেকে হৃদরোগ
- বাংলাদেশে ৬ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ‘ইমো’
- আজকাল এর ৮৫৩ তম সংখ্যা

- মার্কিন ভিসা বাতিল ৫১ বাংলাদেশির!
- প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করবে যুক্তরাষ্ট্র
শলা-পরামর্শ করতে আসছেন হাস - তারেকের অপচেষ্টা প্রতিহত করবে ভোটাররা
- নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সাথে নারায়ণগঞ্জ প্রার্থীদের মতবিনিময় সভা
- অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ৩৫ লাখ মামলা প্রত্যাহার
- ধর্ম ব্যবসায়ীরা ধোকা দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে চায়:সালমা ওসমান
- মুখোমুখি বাইডেন-হাসিনা
জিতবে কে? - আমেরিকার ‘ধমকে’ প্রথম কুপোকাত আজম
- গণসংযোগকালে যুবলীগ নেতা হত্যা
- বাংলাদেশে বাজেট পেশ
যেসব পন্যের দাম বাড়বে-কমবে - সুন্দর আগামীর জন্য আবারও নৌকায় ভোট দিন: সোহেল তাজ
- বাংলাদেশের নির্বাচন
বাইডেন-মোদী বৈঠকেই হাসিনার ভাগ্য নির্ধারণ? - দেশকে বাঁচাতে নির্বাচনে বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই : এইচটি ইমাম
- রাষ্ট্রদূত হাস আসছেন ফাইলে কি থাকছে?
- প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উস্কানি মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা