যুক্তরাষ্ট্র কি আবার স্বেচ্ছায় একঘরে হতে চলেছে
নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩ জানুয়ারি ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর এক বছরও বাকি নেই। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অজস্র দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও রিপাবলিকানদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে চলেছেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবার ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হচ্ছেন।
২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা এমন সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন নতুন বন্ধু খুঁজছে, গাজায় আগ্রাসন ও যুদ্ধাপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল ও রাশিয়ার অবৈধ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেন সফলভাবে প্রতিরোধ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া অকাস চুক্তি ও কোয়াডের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার অর্থ হলো ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের জন্য নিরাশার বার্তা বয়ে আনা। ট্রাম্পের পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ অনেক বেশি। রিপাবলিকান পার্টির মুখচ্ছবি ট্রাম্প। সাম্প্রতিক জরিপ দেখাচ্ছে, বাইডেন ও ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা সমানে সমান।
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ প্রথম মেয়াদের চেয়ে কট্টর হওয়ার আশঙ্কা বেশি। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ, তার একটিতেও দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁকে দীর্ঘদিন কারাবন্দী থাকতে হবে। কিন্তু তিনি এটাও বুঝতে পেরেছেন যে তাঁর রাজনৈতিক সমর্থকেরা প্রয়োজনের সময় আনন্দিত চিত্তেই ডেমোক্র্যাট, প্রগতিশীল, মুসলিম, অভিবাসীদের বিরুদ্ধে স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতি প্রয়োগের অনুমোদন দিয়ে দেবে।
ট্রাম্প তাঁর প্রচারণায় বারবার অঙ্গীকার করছেন বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রের এমন সব প্রতিষ্ঠানে তাঁর অনুগত সমর্থকদের নিয়োগ দেবেন, ঐতিহ্যগতভাবে যেসব জায়গায় নির্দলীয় ও পেশাদার লোকদের বসানো হয়। প্রথমবারের অভিজ্ঞতা থেকে ট্রাম্প খুব ভালো করেই বুঝেছেন যে তিনি কত ভালোভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারবেন, তার ওপর নির্ভর করবে তাঁর ক্ষমতা। আর এটা কোনো গোপন বিষয়ও নয়।
ফেডারেল সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতি, পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষানীতির একেবারে কেন্দ্র। এখানে কোনো কিছু ঘটলে যুক্তরাষ্ট্রের সীমানার বাইরে বহুদূর পর্যন্ত তার প্রভাব পড়ে।
রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি ট্রাম্পের অনুরাগ, নিজের ব্যক্তিগত লাভের স্বার্থে ইউক্রেনের জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দেওয়ার ইচ্ছা, কংগ্রেসে আন্তর্জাতিকতাবাদী মধ্যপন্থী রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের সংখ্যা কমে যাওয়া ইত্যাদি কারণে ট্রাম্প নির্বাচিত হলে ইউরোপের ক্ষেত্রে মার্কিন নীতি অনেকটাই বদলে যাবে। এর মধ্যে ন্যাটো থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে একতরফাভাবে প্রত্যাহার করা এবং ইউক্রেনে সহায়তা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
ট্রাম্প একইভাবে এশিয়া প্যাসিফিকের নিরাপত্তাসৌধে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার ক্ষেত্রেও প্রতিশ্রুতিহীন। এখন পর্যন্ত এটা পরিষ্কার নয় যে ট্রাম্প তাঁর নিত্যদিনের চীনবিরোধী বাগাড়ম্বর ও কিম জং–উনের প্রতি আগ্রহের বাইরে গিয়ে ইন্দো-প্যাসিফিকের নিরাপত্তার গুরুত্ব কতটা বুঝতে পারছেন।
এশিয়ার প্রতি ট্রাম্পের ধারণার পার্থক্য তুলনামূলক কম হওয়ায় ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মার্কিন মিত্রদের দশা ইউরোপের মতো অতটা খারাপ না–ও হতে পারে। কিন্তু যে অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে, তাতে করে সেখানকার শৃঙ্খলায় হুমকি তৈরি হবে।
মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষেত্রে ট্রাম্প ইসরায়েলি সমাজের সেই অংশের সঙ্গে নিজেকে মেলাতে চাইবেন, যঁারা কিনা চান চরমপন্থা অবলম্বন করে এই সংঘাতের অবসান হোক। এ ক্ষেত্রে সমাধানগুলো হতে পারে গাজা পুরোপুরি দখলে নেওয়া, পশ্চিম তীরে আরও সংঘাত উসকে দেওয়া, ফিলিস্তিনি জনসাধারণের ব্যাপক ও স্থায়ী গণবাস্তুচ্যুতি এবং পবিত্র স্থান জেরুজালেমের স্থিতাবস্থার অবসান।
বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতি বিশ্বজুড়ে আমেরিকার মিত্র ও বন্ধুদের জন্য আশীর্বাদ। বাইডেন বহুপক্ষীয় প্রাতিষ্ঠানিকতার ওপর আস্থাশীল। তিনি বুঝতে পেরেছেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি বৈশ্বিক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে, যেটা আমেরিকানদের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি দেয়। এই একই ব্যবস্থা এশিয়া প্যাসিফিকের মিত্রদেরও নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা দেয়।
কিন্তু ট্রাম্প পুরোপুরি ভিন্ন ভাবনার লোক। তাঁর রাজনীতির মূলে রয়েছে সবকিছুই নাকচ করে দেওয়া। বাইডেন যদি আমেরিকার বৈশ্বিক নেতৃত্ব, বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠান ও সহযোগিতামূলক পররাষ্ট্রনীতির সমর্থক হন, ট্রাম্প সে ক্ষেত্রে পুরোপুরি বিপরীত চরিত্রের। দ্বিতীয় দফায় নির্বাচিত হলে আমেরিকাকে সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবেন তিনি।
● টমাস পেপিনস্কাই যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াবিষয়ক কর্মসূচির পরিচালক
এশিয়া টাইমস থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে সংক্ষিপ্তাকারে অনূদিত
- ১১ মিল মালিকের সিন্ডিকেটে চালে অস্থিরতা
- ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে গেল ১০ জনের নাম
- সৌদি আরব যেভাবে হচ্ছে ‘পাপের রাজধানী’
- ট্রাম্পের দলের নেতাদের বাংলাদেশ সফরের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
- বাংলাদেশ ব্যাংকে আওয়ামীপন্থীদের নিরঙ্কুশ বিজয়, বিএনপিপন্থীদের ধস
- ‘ফিলিস্তিনের পতন হলে ইরান, সৌদি ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’
- পর্যটকদের সেন্টমার্টিন যেতে লাগবে ট্রাভেল পাস
- ‘একাত্তরে আমাদের কোনো ভুল যদি প্রমাণিত হয়, ক্ষমা চাইব’
- বিমান হামলার শঙ্কায় কিয়েভের শেল্টারগুলোতে উপচেপড়া ভিড়
- ‘সংঘর্ষ এড়াতে’ সিটি কলেজ সরিয়ে নেওয়ার দাবি ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষের
- রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিধান থেকে পিছু হটল অন্তর্বর্তী সরকার
- ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের আহত ৩৬ শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেলে
- বাংলাদেশকে ১১০০ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি ও বিশ্বব্যাংক
- সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেস মিনিস্টার নিয়োগ
- বিনিয়োগের সুরক্ষায় সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্বকে ঢাল বানাচ্ছেন এস আলম
- এবার রাশিয়ার পরমাণুনীতি পরিবর্তন করলেন পুতিন
- ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে ২ শতাধিক শিশু নিহত: ইউনিসেফ
- আমাকে দেশনায়ক, রাষ্ট্রনায়ক বলবেন না: তারেক রহমান
- রাজধানীতে তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
- যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় ইউক্রেনের হামলা
- চার দফা কমার পর বাড়ল সোনার দাম
- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালের আরও ৫০ কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান
- দিনভর প্রেমের চর্চা, রাতে সেই মানুষকে দেখালেন পরীমণি
- বাংলাদেশের ঋণমান কমিয়ে নির্ধারণ করলো মুডিস
- যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড উচ্চতায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা
- রুশ ভূখণ্ডে মার্কিন মিসাইল পড়লে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর হুমকি
- কারাগারেও তৎপর ‘দরবেশ’
- উত্তরা থেকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল গ্রেফতার
- জমজমের পানি পানে নতুন নির্দেশনা
- তিতুমীর কলেজ
মহাখালীতে মঙ্গলবার ফের সড়ক-রেলপথ অবরোধ
- মালিতে অতর্কিত হামলায় ওয়াগনারের ৫০ সৈন্য নিহত
- আজকের সংখ্যা ৮৪৪
- যে শর্তে ইসরাইলে হামলা বন্ধের ঘোষণা দিল হিজবুল্লাহ
- রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও তার পরামর্শক পর্ষদ
- আরব লীগের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকা থেকে হিজবুল্লাহর নাম বাদ
- শিশুদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার সীমিত করছে নিউইয়র্ক
- যে কারণে নিউ ইয়র্কে চাকরি ছেড়েছেন ৫ লাখ মানুষ
- আজকের সংখ্যা আজকাল ৮৩৬
- কাল পবিত্র হজ
ঈদ রোববার - নিউইয়র্কে বাংলাদেশি খুনের ঘটনায় ন্যায়বিচার নিয়ে সংশয়ে পরিবার
- যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি যুবকের বিরুদ্ধে ‘বেঞ্চ ওয়ারেন্ট’
- নিপুণের পেছনে বড় শক্তি আছে: ডিপজল
- পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ
- মুত্তালিব বিশ্বাসকে সংবর্ধনা
- নিউইয়র্ক মাতালেন মমতাজ
- পর্তুগালে বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য দুঃসংবাদ
- হজে যেতে পারেননি বহু প্রবাসী
- আজকের আজকাল সংখ্যা ৮৩১
- বিয়ে হলেও বিয়ের প্রিমিয়ার হবে না
- আনন্দ-বেদনায় কানাডা প্রবাসীদের ঈদ উদযাপন
- মানুষের ধ্বংসই শয়তানি শক্তির আরাধ্য
- হারিয়ে যাচ্ছে ভ্রাম্যমাণ বই বিক্রেতারা
- ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও নিষেধাজ্ঞা’র রাজনৈতিক অর্থনীতি
- অসম্মান তো সবার জোটে না, আমার না হয় জুটলো
- অগুণিত সাধারণ মানুষ আমাকে ভালোবাসে
- নাইপলের মৃত্যুতে শোকাহত বিশ্বসাহিত্য অঙ্গন
- ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার!
- বাংলাদেশ ও আমার সেই ভালো লাগার অনুভূতি
- ‘এই ছাত্র রাজনীতির কাছে আমরা অসহায়’
- বাংলাদেশকে বাঁচাবেন কারা
- নিষেধাজ্ঞা নয় হুশিয়ারি
- যুক্তরাষ্ট্র কি আবার স্বেচ্ছায় একঘরে হতে চলেছে
- নতুন ভিসা নীতির প্রেক্ষাপট-উদ্দেশ্য
- বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রা
- ‘অর্থনৈতিক সংকটের সঙ্গে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেওয়ার সম্পর্ক নেই’