বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
কেউ আপনার স্ত্রীকে ‘হট’ বললে সেটা কি ভালো লাগে, প্রশ্ন সানার পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে পাচারকারীরা বেপরোয়া ছিল শেখ পরিবারের প্রশ্রয়ে সোনার দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য কতটুকু সত্য? দিনে মাত্র একবেলা খাচ্ছে গাজার অনেক মানুষ পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে বদলে দেয়া হয় মেট্রোরেলের নিয়োগবিধি যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে দৈনিক ১৩৯ কোটি টাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নজর চার খাতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন হাথুরুসিংহের অপকর্ম ধামাচাপা দেন পাপন ‘ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ আমেরিকার জন্য বিশাল হুমকি হবে’ নীরবে সরবে চাঁদাবাজি পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ ইন্টারনেট ছাড়াই গুগল ম্যাপ ব্যবহারের উপায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বাইডেনের ভাড়া ফাঁকিবাজদের ধরতে চলছে সাঁড়াশি অভিযান সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরীকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেল বিএসএফ ভিসা ফি ছাড়াই এবার পাকিস্তান যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফি আটক সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয়বহুল সফরে ২৬ ব্যাংক এমডি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ সাবেক সেনাপ্রধান ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা দিনের বেলায় মরুভূমির চেয়েও উত্তপ্ত চাঁদ ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩২৭ ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠির সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশি অক্টোবরের মধ্যেই ‘আন্দোলনের ফসল’ ঘরে তুলতে চায় বিএনপি শর্তসাপেক্ষে নিউইয়র্কে মসজিদে আজানের অনুমতি বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেলেন ৩১ কর্মী খেলাপি ঋণ কমাতে কঠোর নির্দেশ জার্মানে পাঁচ বছর বাস করলেই পাওয়া যাবে নাগরিকত্ব বিএনপি-জাপা বৈঠক সিঙ্গাপুরে বাইডেন প্রশাসনকে হাসিনার কড়া বার্তা এবার হাসিনার পাশে রাশিয়া বঙ্গ সম্মেলনের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা স্টুডেন্ট লোন মওকুফ প্রস্তাব বাতিল বাংলাদেশিদের ওপর উপর্যুপরি হামলা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আগে নিজ দেশে মানবাধিকার রক্ষা করা: শেখ হাসিনা তামিমের অবসর অভিযোগের তীর পাপনের দিকে নিউইয়র্কে এখন চোরের উপদ্রুব যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে হাতিরঝিলের ক্ষতি হবেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি, পাঁচ দিনে নিহত ৩৫ যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে বাখমুত থেকে পিছু হটেছে সেনারা, স্বীকার করল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোন হবে না, দাবি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সুদানে যুদ্ধে সাড়ে ৪ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে দ্বিতীয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে সারা দেশে ভোগান্তি রুশ হামলা সামলে ফের বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন রিজার্ভ সংকট, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের দুর্বল নীতিও দায়ী পূজার ‘জিন’ একা দেখতে পারলেই মিলবে লাখ টাকা! সিরিয়ায় আর্টিলারি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাইডেন না দাঁড়ালে প্রার্থী হবেন কে নাইজেরিয়ায় ৭৪ জনকে গুলি করে হত্যা ভারতে বাড়ছে করোনা, বিধিনিষেধ জারি তিন রাজ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুলা যে কোনো দিন খুলবে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল দেশে করোনার নতুন ধরন, সতর্কতা বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবো: মাহিয়া মাহি মর্মান্তিক, মেয়েটিকে ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল ঘাতক গাড়ি! স্ট্যামফোর্ড-আশাসহ ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বর্ষবরণে বায়ু-শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যে ধাক্কা কোনো ভুল মানুষকে পাশে রাখতে চাই না বাসস্থানের চরম সংকটে নিউইয়র্কবাসী ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার! ছুটি ৬ মাসের বেশি হলে কুয়েতের ভিসা বাতিল ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত চুক্তিতে বিয়ে করে ইউরোপে পাড়ি আইফোন ১৪ প্রোর ক্যামেরায় নতুন দুই সমস্যা পায়ের কিছু অংশ কাটা হলো গায়ক আকবরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ডলার নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম
৭৪

যেখানেই যেতেন নামাজের ইমামতি করতেন মুরসি

প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০১৯  

আদালতের এজলাসে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়া মিসরের প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মুরসির আকস্মিক মৃত্যুতে শোকাহত গোটা মুসলিম বিশ্ব।

মঙ্গলবার তুরস্কের ৮১ প্রদেশে মুরসির গায়েবানা জানাজা হয়েছে। সেসব জানাজায় অংশগ্রহণ করতে লাখো লাখো মানুষ জড়ো হয়েছেন মসজিদে। খবর ইয়েনি শাফাকের।

ইস্তাম্বুলের ফাতিহ মসজিদের জানাজায় হাজার হাজার মুসল্লির সঙ্গে মুরসির একনিষ্ঠ সমর্থক তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান অংশগ্রহণ করেছেন।

 

এরদোগান মুরসিকে ‘শহীদ’ বলে উল্লেখ করেছেন। এরদোগান ছিলেন মুরসির একনিষ্ঠ সমর্থক। দুজনের মতাদর্শেও অভিন্নতা দেখা গেছে। যোগত্যা ও বৈশিষ্ট্যেও তাদের মধ্যে মিল রয়েছে। মুরসি ছিলেন এরদোগানের মতোই একজন কোরআনে হাফেজ।

তিনি যেখানেই যেতেন নিজে নামাজের ইমামতি করতেন। গত রমজানে কারাগারে তার ইমামতিতেই খতম তারাবিহ পড়েছে কারাবন্দিরা।

সদ্যপ্রয়াত মুরসির রাজনৈতিক জীবন ও তার মিশরের প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট হয়ে ওঠার পেছনের ইতিহাস নিয়ে কৌতূহলী হয়েছেন অনেকে।

১৯৫১ সালের ২০ আগস্ট উত্তর মিসরের আল-আদওয়াহ প্রদেশে জন্ম হয় মুরসির। তার পুরো নাম মোহাম্মদ মুরসি ইসা আল-আইয়াত। ৭০ এর দশকে কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি​লাভ করেন। নিজের শিক্ষাজীবন শেষ করে শিক্ষক হিসাবেই প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন মুরসি।

 

কর্মজীবনে ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি, নর্থরিজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। কিন্তু দেশের প্রতি টান অনুভব করতেই থাকেন মুরসি।

অবশেষে নাড়ির টানে ১৯৮৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অধ্যাপনা ছেড়ে মিসরের চলে আসে। দেশে ফিরেও ওই একই অধ্যাপনার পেশায় নিজেকে যুক্ত করেন। মিসরের জাগাজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন তিনি।

২০০০ সালে মিসরে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন মুরসি। এমপি হিসেবে ২০০৫ সাল পর্যন্ত মিশরের সংসদে বহাল ছিলেন মুরসি।

২০১১ সালে আরব বসন্তের সময়ে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখার জন্য মুসলিম ব্রাদারহুডের একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন মুরসি।

২০১২সালে ব্রাদারহুডের বিকল্প প্রেসিডেন্ট মুরসির নাম ঘোষণা করা হয়। পরে মূল প্রার্থী বাদ পড়লে তিনি নির্বাচন করেন এবং ২০১২ সালের জুনে মিসরের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হন।

 

২০১৩ সালের জুলাই পর্যন্ত ১ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে মুরসির বিরুদ্ধে মিসরকে ইসলামিকরণের অভিযোগ ওঠে। সে সময় তার ইসলামপন্থি সংবিধান প্রণয়নের চেষ্টা গ্রহণযোগ্য হয়নি ধর্মনিরপেক্ষ ও উদারপন্থীদের কাছে। তার দ্রুত অর্থনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগও সমালোচিত হয়।

এ সময় মুরসি ইরানের সঙ্গে মিসরের সম্পর্ক জোরদার করতে উদ্যোগ নেন। নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ান মুরসি। দখলদার ইসরাইল অবরুদ্ধ গাজাবাসীর জন্য মিশরের সীমান্ত খুলে দিয়ে জেরুজালেম ও আল আকসা মসজিদের ওপর ফিলিস্তিনিদের নিয়ন্ত্রণের পক্ষে অবস্থান নেন তিনি। বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ভালো চোখে দেখেনি। বৈশ্বিক রাজনীতির এক সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে আটকে পড়েন মুরসি।

এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে দেখা দেয় আভ্যন্তরিণ বিক্ষোভ। তার এক বছরের শাসনকালে হোসনি মোবারক আমলের যেসব উর্ধ্বতন সেনা অফিসারদের রাষ্ট্রের গুরত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দেন তিনি তারা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।

আরব বসন্তের সময় গণতন্ত্র বিরোধী বেশ কিছু সেনা কর্মকর্তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে চেষ্টা করেছিলেন মুরসি। আর এসব কারণে সেনাবাহিনী মুরসির বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে।

২০১৩ সালে মুরসির বিরুদ্ধে শুরু হয় ব্যাপক গণবিক্ষোভ। তাহরির স্কয়ারেই মুরসির বিরুদ্ধে জড়ো হয় মানুষ। এ সুযোগে সংবিধান স্থগিত মুরসিকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে কারাগারে বন্দি করে দেশটির সেনাবাহিনী।

আর এসবের পেছনের মূল হোতা মুরসির হাত ধরেই দেশটির সেনাপ্রধান হওয়া আবদেল ফাত্তাহ সিসি। মুরসিকে কারাবন্দি করে মসনদ দখল করেন তিনি।

মুরসি ক্ষমতাচ্যুত হবার পর মিসরের কর্তৃপক্ষ তার সমর্থক এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে।

ক্ষমতায় থাকার সময় আদালত অবমাননা করেন বলে অভিযোগ আনা হয় মুরসির ওপর। এরপর ২০১৬ সালের জুন মাসে তথ্য পাচারের এ মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন নিম্ন আদালত।

 

মুরসি ও তার সহযোগী মুসলিম ব্রাদারহুডের কয়েকজন নেতা কাতারে রাষ্ট্রের গোপনীয় তথ্য পাচার করে জাতীয় নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছিলেন এমন অভিযোগে মুরসিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয় আদালত।

সোমবার মাত্র ৬৭ বছর বয়সে আদালতেই প্রাণ হারান মুরসি।

সাপ্তাহিক আজকাল
সাপ্তাহিক আজকাল
এই বিভাগের আরো খবর