মঙ্গলবার   ১৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৫ ১৪৩১   ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সর্বশেষ:
যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে দৈনিক ১৩৯ কোটি টাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নজর চার খাতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন হাথুরুসিংহের অপকর্ম ধামাচাপা দেন পাপন ‘ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ আমেরিকার জন্য বিশাল হুমকি হবে’ নীরবে সরবে চাঁদাবাজি পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ ইন্টারনেট ছাড়াই গুগল ম্যাপ ব্যবহারের উপায় নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বাইডেনের ভাড়া ফাঁকিবাজদের ধরতে চলছে সাঁড়াশি অভিযান সীমান্তে বাংলাদেশি কিশোরীকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেল বিএসএফ ভিসা ফি ছাড়াই এবার পাকিস্তান যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফি আটক সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যয়বহুল সফরে ২৬ ব্যাংক এমডি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ সাবেক সেনাপ্রধান ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা দিনের বেলায় মরুভূমির চেয়েও উত্তপ্ত চাঁদ ডেঙ্গুতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩২৭ ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠির সত্যতা চ্যালেঞ্জ করে ২৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশি অক্টোবরের মধ্যেই ‘আন্দোলনের ফসল’ ঘরে তুলতে চায় বিএনপি শর্তসাপেক্ষে নিউইয়র্কে মসজিদে আজানের অনুমতি বাংলাদেশ থেকে বিনা খরচে মালয়েশিয়া গেলেন ৩১ কর্মী খেলাপি ঋণ কমাতে কঠোর নির্দেশ জার্মানে পাঁচ বছর বাস করলেই পাওয়া যাবে নাগরিকত্ব বিএনপি-জাপা বৈঠক সিঙ্গাপুরে বাইডেন প্রশাসনকে হাসিনার কড়া বার্তা এবার হাসিনার পাশে রাশিয়া বঙ্গ সম্মেলনের ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা স্টুডেন্ট লোন মওকুফ প্রস্তাব বাতিল বাংলাদেশিদের ওপর উপর্যুপরি হামলা যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আগে নিজ দেশে মানবাধিকার রক্ষা করা: শেখ হাসিনা তামিমের অবসর অভিযোগের তীর পাপনের দিকে নিউইয়র্কে এখন চোরের উপদ্রুব যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে হাতিরঝিলের ক্ষতি হবেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি, পাঁচ দিনে নিহত ৩৫ যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে বাখমুত থেকে পিছু হটেছে সেনারা, স্বীকার করল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোন হবে না, দাবি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সুদানে যুদ্ধে সাড়ে ৪ লাখ শিশু বাস্তুচ্যুত : জাতিসংঘ পারস্য উপসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় খেলাপি ঋণে দ্বিতীয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটে সারা দেশে ভোগান্তি রুশ হামলা সামলে ফের বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন রিজার্ভ সংকট, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের দুর্বল নীতিও দায়ী পূজার ‘জিন’ একা দেখতে পারলেই মিলবে লাখ টাকা! সিরিয়ায় আর্টিলারি হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাইডেন না দাঁড়ালে প্রার্থী হবেন কে নাইজেরিয়ায় ৭৪ জনকে গুলি করে হত্যা ভারতে বাড়ছে করোনা, বিধিনিষেধ জারি তিন রাজ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুলা যে কোনো দিন খুলবে স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল দেশে করোনার নতুন ধরন, সতর্কতা বিএনপির সব পদ থেকে বহিষ্কার আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবো: মাহিয়া মাহি মর্মান্তিক, মেয়েটিকে ১২ কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল ঘাতক গাড়ি! স্ট্যামফোর্ড-আশাসহ ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বর্ষবরণে বায়ু-শব্দদূষণ জনস্বাস্থ্যে ধাক্কা কোনো ভুল মানুষকে পাশে রাখতে চাই না বাসস্থানের চরম সংকটে নিউইয়র্কবাসী ট্রাকসেল লাইনে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত একাকার! ছুটি ৬ মাসের বেশি হলে কুয়েতের ভিসা বাতিল ১০ হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত চুক্তিতে বিয়ে করে ইউরোপে পাড়ি আইফোন ১৪ প্রোর ক্যামেরায় নতুন দুই সমস্যা পায়ের কিছু অংশ কাটা হলো গায়ক আকবরের ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১০০ কোটি ডলার নারী ফুটবলে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম
২৫৬

শাহনাজ রহমতুল্লাহকে নিয়ে কনকচাঁপার স্মৃতিচারণ

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০১৯  

পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে গেলেন কিংবদন্তী কণ্ঠশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ। তার গান, তার স্মৃতি রয়ে গেছে কোটি কোটি মানুষের মনে। তার শোকে কাঁদছে গানের আঙিনা, কাঁদছেন গানের মানুষেরা।

শাহনাজ রহমতুল্লাহর স্নেহধন্য ছিলেন আরেক মধুকণ্ঠী গায়িকা কনকচাঁপা। তিনি প্রিয় শিল্পীর স্মরণে এক দীর্ঘ স্মৃতিচারণ করেছেন ফেসবুকে। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘কিংবদন্তী কণ্ঠশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ মরে গিয়ে জানিয়ে দিলেন ‘উনি ছিলেন, উনি আছেন, উনি থাকবেন এবং উনাকে ছাড়া উপমহাদেশের সংগীত জগত কতোটা অসম্পূর্ণ।’

 

কনকচাঁপা আরও লিখেছেন, ‘সত্যিই আমরা ভাগ্যবান যে শাহনাজ রহমতুল্লাহ একান্তই আমাদের ছিলেন। সুরসম্রাট আলাউদ্দিন আলী এবং শাহনাজ রহমতুল্লাহ মিলে যে অনবদ্য সৃষ্টির যৌথ অধ্যায় ছিলো তা সত্যি সত্যিই ভিষণ মৌলিক। তার গানের প্রক্ষেপণ, উপস্থাপন, তার কণ্ঠের ট্রিমেলো, রেজোন্যান্স, শব্দচয়ন, সর্বপরি তার বিশেষায়িত অন্যরকম কন্ঠ তার প্রতিটি গানকে অন্যরকম উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে।

বেশির ভাগ গান কবিতা থেকে গান হয়ে ওঠে। কিন্তু আমার গবেষণা বলে উনার গান প্রথমে গান হয়ে জন্ম নিয়ে তারপর কবিতা হয়ে উড়ে উড়ে সাহিত্যে ছড়িয়ে যায়। যেমন ‘সেই চেনা মুখ কতদিন দেখিনি’- এই লাইনটি দিয়ে তার সুরের মাধুরীর উপর ভিত্তি করে একজন ঔপন্যাসিক একটি উপন্যাস লেখার প্লট পেয়ে যাবেন।

সেই পরিবেশ শাহনাজ আপা তার গানের অনুরণন দিয়ে তৈরি করে দিয়ে গেছেন হেলায়-অবহেলায়। অথচ এগুলো উনি জেনেশুনে সুনিপুণভাবে করেন নাই। তিনি গান গেয়েছেন অসম্ভব ভালবেসে এবং অতিরিক্ত অপেশাদার ভঙ্গিতে।

গানের জগতে প্রথম-দ্বিতীয় হওয়ার ইঁদুর দৌড়ে কখনই সামিল হন নাই। নিজের এই বিশেষত্বকে তিনি কখনই সিরিয়াসলি নেন নাই। তারপরও যা গান গেয়েছেন একটা গানও মাটিতে পড়েনি। তা সারা দেশের গানপ্রিয় মানুষের হৃদয়ে ঢুকে স্থায়ীভাবে বসতি গড়েছে।

তার গাওয়া দেশের গানগুলো নিয়ে বিশ্লেষণ করার মত স্পর্ধা আমার নেই। সে গানগুলো কোনো মানবীর গাওয়া, এ ভাবতেই গাঁয়ে কাটা দেয়। তার দেশের গানগুলো শুনে আমি বোকা মেয়ে যখন তখন কাঁদি। আর প্রেমের গান?

তার গানে হয়তো আমার বাবাও প্রেমে পড়েছিলেন, আমার ছেলেও, হয়তো আমার নাতনীও একইভাবে প্রেমে পড়বে। শোনা যায় এমন শাব্দিক দীর্ঘশ্বাস না দিয়েও ভয়াবহ অন্তর্গত দীর্ঘনিঃশ্বাস তিনি অনায়াসেই গানে আনতেন। যা একজন বিরল শিল্পীর পারঙ্গম ক্ষমতা। আমি তার কন্ঠের চাইতেও এই আন্ডার ভয়েজের কারুকার্যময় দীর্ঘ নিঃশ্বাসের অন্ধভক্ত।

এজন্য যতবার আমি তাকে দেখেছি অটোমেটিক আমি কেঁদেছি। উনি তখন বলতেন এই মেয়ে, এই বোকা মেয়ে তুমি কাঁদো কেনো, তুমি আমার কাছে এসো!

ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি অন্যান্য সচেতন সাজানো গোছানো শিল্পীদের চেয়ে একদম আলাদা ছিলেন। স্বামী অন্তঃপ্রাণ মানুষটি শিশুর মত সরল ছিলেন। গল্পে বসলে অনেক কথাই গড়গড়িয়ে বলতেন এবং আমরা হাসলে রেগে গিয়ে বলতেন এই তোমরা হাসছো কেন! এই টেকনিক্যাল হিপোক্রেট জগতের অনেক কিছুই তার অজানা ছিল।

তার সাথে শেষ দেখা আমার ডলি ইকবাল আপার বাসায়। দুপুরের খাওয়া শেষ করে একসাথে আমি আর শাহনাজ আপা ডলি আপার বেডরুমে আসরের নামাজ আদায় করছিলাম। নামাজ শেষে উনি আমাকে ডাকলেন বললেন, ‘কনক, আমার কাছে আসো।’

আমি তার উদ্দেশ্য বুঝে ওনার জায়নামাজের পাশে বসতেই উনি আমার মাথায় হাত দিয়ে কন্যাসম স্নেহে দোয়া পড়ে ফুঁ দিলেন। আমি বরাবরের মতই বোকার মত অশ্রুসিক্ত হতেই আবার বকা, ‘এই মেয়ে, কাঁদবে না। তুমি আমার খুব আদরের জানোতো!’

হেসেখেলে গান ভালবেসে যেভাবে তিনি মুকুটহীন রানীর মতো এই দুনিয়ায় ছিলেন ঠিক তেমনি খেলাচ্ছলেই চলে গেলেন। ভাবখানা এমন যে খেলছিলেন, হঠাৎই কিছু একটা প্রয়োজনে ওপারে যাওয়ার দরকার পড়ায় মিনিট পাঁচেকের নোটিশে চলে গেলেন।

যাক, যার যাবার সে যাবেই। ধরে রাখার শক্তি কি আমাদের আছে! আমরা শুধু চাই আমাদের ‘মোর দেন নাইটিংগেল’ যেন সুখে থাকেন।

 

আল্লাহ, তুমি তাকে কবুল করে নাও।

 

সাপ্তাহিক আজকাল
সাপ্তাহিক আজকাল