সন্দেহবাদিতার এই যুগ এবং চির সত্য কুরআন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০১৯

আধুনিক যুগ সময়ের বিচারে দুই ভাগে বিভক্ত। প্রথম ভাগ – বিংশ শতাব্দির সাথে যার সমাপ্তি ঘটে। সেই যুগে জ্ঞান ও চার্চের মধ্যে এক তুমুল সংঘর্ষের পর জ্ঞানের জয় হয়। আর চার্চের সাথে স্রষ্টার ধারণাকেও প্রত্যাখ্যান করা হয়। কেননা সেই সময় পর্যন্ত মানুষের দৃঢ় বিশ্বাস হয়ে গিয়েছিলো যে, “দুনিয়ার যতো অকল্যাণের জড় ধর্ম – যা থেকে আমরা জীবন ছাড়িয়ে নিয়েছি”।
ফলে, একদিকে পশ্চিমা সমাজের রাজনৈতিক ও সামাজিক গণ্ডিতে ধর্ম অপরিচিত হয়ে ওঠে। অপরদিকে, কমিউনিজমের বিজয়ের পর সোভিয়েত ইউনিয়নে সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসকে জোড় করেই অস্বীকারের উপর ভিত্তি করে এক উৎপীড়নকর শাসনের প্রতিষ্ঠা হয়।
তথাপি বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে দুইটি বিশ্ব যুদ্ধে মারা পড়া কোটি কোটি মানুষ এবং সোভিয়েত ইউনিয়নে স্টালিন কর্তৃক হত্যাকৃত কয়েক মিলিয়ন মানুষের লাশ বহনের পর মানুষের এই অনুভূতি হয় যে দুনিয়ার অবস্থা যতটা খারাপ ছিল ধর্মের সাথে, তার চেয়ে বেশি খারাপ ধর্মহীনতার পরে হয়ে গেছে।
তাই ধর্মকে আরও একবার ব্যক্তি পর্যায়ে কবুল করে নেওয়া হয়। এবং আজকের দিন পর্যন্ত এই প্রবণতা বাড়ছে। তথাপি মানুষের বিশ্বাসে এই ধর্ম এখন কোন বাস্তবতা বা চূড়ান্ত সত্যের নাম হিসেবে নেই। এটা কেবল একটা সাংস্কৃতিক প্রকাশ – যাকে বেশি থেকে বেশি একটি মানবিক প্রয়োজন বলা যায়।
এই ধর্মে আল্লাহকে স্বীকার করা হয়, কিছু প্রথাগত ইবাদতও আদায় করে নেওয়া হয়, কিন্তু বাস্তবে প্রায়োগিক জীবনের কাঠামোতে তার আবশ্যিক প্রবেশ ঘটানো হয় না। অর্থাৎ, আল্লাহ আছেন তো ঠিক, কিন্তু এজন্য যে দুঃখ-দুশ্চিন্তা বা ডিপ্রেশনে তার সামনে একটু কেঁদে নেওয়া যায় এবং বিপদ-মুসিবতে তাকে একটু ডেকে নেওয়া যায়। বাকী তার কোন হুকুম সেভাবে মান্য করার প্রয়োজন নেই। হ্যাঁ, তবে যদি মনে চায়, যখন ইচ্ছা আর যতটুকু ইচ্ছা আল্লাহ ও ধর্মের কথা মানা যেতে পারে। এ অবস্থা ব্যক্ত করতে দর্শনের ভাষা ধার করে বলা যেতে পারে – “religion is no more a true justified belief but just a belief” অর্থাৎ, ধর্ম কোন সর্ব সম্মত প্রমাণিত সু-নিশ্চিত বিশ্বাস নয়, বরং এটা কেবলই একটা বিশ্বাস।
অতএব, এখান থেকেই ধর্ম সঠিক কি ভুল এই আলোচনা শেষ হয়ে যায় এবং ‘সকল ধর্মই ঠিক’ এই দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাপকতা লাভ করে। ফলে লোকেরা কার্যত নয় বরং যার যার দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তাকে মেনে থাকে।
মেনেও না মানার এই অবস্থাকে ‘স্কেপ্টিসিজম’ (skepticism) বা ‘সন্দেহবাদিতা’ বলা হয়। এটা সাধারণভাবে কার্যত দুনিয়ার প্রায় সকল শিক্ষিত মানুষের অবস্থা।
এখন পরিস্থিতি এমন যে, কিছু কট্টর মানুষ ছাড়া, অন্যদের মাঝে ধর্মের সাথে সন্দেহবাদিতা ব্যাপক হয়েছে। যাদের বৈজ্ঞানিক মতাদর্শের জ্ঞান অর্জিত হয়ে যায় অথবা যারা সেগুলো শোনার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়, তারা আল্লাহকে অস্বীকার করা পর্যন্ত পৌঁছে যায়। আর বাকী লোকেরা জীবন এইভাবে কাটায় যে ধর্মকে কেবল নির্দিষ্ট কিছু সীমানার গণ্ডিতে আবদ্ধ মনে করে। আর তারা সেই সকল বিধানই কেবল মানে যা তাদের মর্জিমতো মিলে যায়। এর বাইরে তারা কিছুই মানার জন্য প্রস্তুত নয়।
আল্লাহ তাআলা যিনি সমস্ত মানুষের খালিক এবং মালিক, ভবিষ্যতে ঘটিতব্য এমন এই ঘটনার জ্ঞান তাঁর পূর্ব থকেই ছিল। তাই তিনি এই বিষয়টি গুরুত্ব দিলেন যে, ধর্মের ইতিহাসে প্রথমবার কুরআনের আকৃতিতে এমন এক কিতাব নাযিল করলেন, যা নাযিল তো হচ্ছিল কৃষি যুগের পতিত সমাজে, কিন্তু এই কিতাব দ্বীনের যাবতীয় মৌলিক বিশ্বাসের উপর যুক্তিসঙ্গত দলীল দিয়ে পরিপূর্ণ। এই দলীলকে যদি বুঝে নেওয়া যায়, তাহলে মানুষ নিজেই নিজের সন্দেহ থেকে বের হয়ে সুনিশ্চিত বিশ্বাস অর্জন করে নেয়। এই দলীল দুনিয়ার সর্বত্র পৌঁছে দেওয়া এখন আমাদের জন্য করণীয় সবচে বড় কাজ। রাব্বুল আলামিন আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।

- কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবিতে শাহবাগে ‘ব্লকেড’, যান চলাচল বন্ধ
- ছাত্রদলে পদ পেতে স্ত্রীকে তালাক
- মারা গেলেন পোপ ফ্রান্সিস
- বাংলাদেশি নই বলা টিউলিপ বাংলাদেশের এনআইডি-পাসপোর্টধারী
- যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজনের বিরুদ্ধে চীনের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা
- ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের তাণ্ডব
- পালাতে পালাতে ক্লান্ত গাজাবাসী
- অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠছে ‘প্রাচীন খুনি’
- ট্রাম্প যেন নিজেকে রাজা-বাদশাহ মনে করছেন!
- চীন থেকে ফেরত গেল যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং উড়োজাহাজ
- যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কায় বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৩
- ‘বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সময় জীবননাশের শঙ্কায় ছিলাম’
- পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত
- সৌদিতে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার
- বিদেশে প্লট-ফ্ল্যাট রাজনীতিবিদদের
- গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের অর্থ সহায়তা দিচ্ছে ফেসবুক
- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গোপন সভার ভিডিও ফাঁস
- বেঁচে থাকার লড়াইয়ে কচ্ছপ খাচ্ছে গাজাবাসী
- ৬৫ দল চায় নিবন্ধন, সময় চেয়েছে ৪৬ দল
- বাংলাদেশ হয়ে সেভেন সিস্টার্সে যাওয়ার রেল প্রকল্প স্থগিত
- জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার সম্প্রসারণে উদ্যোগ
- সম্মিলিত মঙ্গল শোভাযাত্রা শনিবার
- শোটাইম মিউজিকের বাংলা নববর্ষবরণ
- মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরেও টিউলিপ
- হার্ভার্ডে বিদেশী শিক্ষার্থীদের নিষিদ্ধ করতে চান ট্রাম্প
- ইইউ’র ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ
- পাকিস্তানের কাছে ৪৩২ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি
- রেমিট্যান্স ফেয়ার শুরু শনিবার: গভর্নর মনসুর যাচ্ছেন না
- ফ্লোরিডার বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলিতে নিহত ২
- বাংলাদেশ ‘জিএসপি’ সুবিধা পেতে তৎপর বাংলাদেশ
- আজকের সংখ্যা ৮৪৪
- এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে
- এ বি সিদ্দিক এবং জাস্টিসকে নিয়ে জামালপুর জেলা সমিতির নতুন কমিটি
- রমজানে আরটিভি’র আলোকিত কোরআন প্রতিযোগিতা
- বাংলাদেশ এখন অরাজকতার আগ্নেয়গিরি
- চট্রগাম সমিতির নবনির্বাচিতদের শপথ গ্রহন
- টেক্সট মেসেজ নিয়ে এফবিআই’র সতর্কতা
- আজকাল ৮৫২ তম সংখ্যা
- লাখ টাকা কমছে হজের খরচ
- ৬ মেডিকেল কলেজের নতুন নামকরণ
- নাসার রিসাইকেল চ্যালেঞ্জে অংশ নিয়ে দেড় কোটি ডলার জেতার সুযোগ
- ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কঃ তালি বাজাতে দুই হাত লাগে
- ‘আজকাল’-৮৪৮ সংখ্যা
- আজকাল সংখ্যা ৮৫১
- ‘আজকাল’ - ৮৪০সংখ্যা
- আজকাল ৮৫০
- মানসিক চাপ থেকে হৃদরোগ
- বাংলাদেশে ৬ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ‘ইমো’
- আজকাল এর ৮৫৩ তম সংখ্যা
- তরুণরা আক্রান্ত হচ্ছে স্ট্রোকে

- স্বামী-স্ত্রী সর্বোচ্চ কতদিন কথা না বলে থাকা জায়েয?
- পাঁচ অবস্থার আগে পাঁচ অবস্থার মূল্যায়ন করুন
- দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ নেককার স্ত্রী
- শিয়া সুন্নী দ্বন্দ্বের আদ্যোপান্ত
- কবরে কি নবীজীর ছবি দেখিয়ে প্রশ্নোত্তর করা হবে?
- হিজামার স্বাস্থ্য উপকারিতা
- জীবনে সুখী হওয়ার পাঁচ পরামর্শ
- মুসলিম হিসেবে মৃত্যু লাভের দোয়া
- পরিচ্ছন্নতা ও সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে নবীজির ১০ বাণী
- পথ চলার আদব!
- কোরআন-হাদিসের আলোকে কবর জিয়ারতের দোয়া
- নামাজে মনোযোগী হওয়ার উপায়
- বিশ্ব ইজতেমা শুরু
- ১৫ নভেম্বর থেকে হজের নিবন্ধন শুরু
- কাকরাইল মসজিদে বিদেশিদের মালামাল আটকে রেখেছে সাদবিরোধীরা