১৫৮ বছরের উলানিয়া জামে মসজিদ
প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০১৯

প্রাচ্যের ভেনিস নামে পরিচিত শহর বরিশাল। প্রাচীন এই শহরটিতে ইতিহাস ঐতিহ্যের নানা স্থাপনা এখনও কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য উলানিয়া জামে মসজিদ। বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া গ্রামে অবস্থিত এই মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৬১ সালে। অপূর্ব নির্মাণশৈলীর এ মসজিদটির সাথে জড়িয়ে রয়েছে মগ পর্তুগিজদের দমনের ইতিহাস।উলানিয়া জামে মসজিদটি নির্মাণের আলাদা বৈশিষ্টের কারণে সবার দৃষ্টি কেড়েছে। সর্বশেষ ২০১১ সালের মে মাসে মসজিদটি সংস্কার করা হয়। সংস্কার শেষে মসজিদটি পর্যটকসহ সবার প্রশংসা লাভ করেছে।
পঞ্চদশ শতকের গোঁড়ার দিকে এ অঞ্চলে মগ পর্তুগিজ জলদস্যুদের আক্রমণে এখানকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছিল। এদের দমনের উদ্দেশ্যে মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব সুবেদার শায়েস্তা খানকে পাঠিয়েছিলেন। শায়েস্তা খান তার পুত্র উমেদ খান ও বিশাল রনতরী সৈন্য গোলাবারুদ নিয়ে জলদস্যু প্রতিহত করতে এগিয়ে আসেন। তারা মেহেন্দিগঞ্জের গোবিন্দপুরে কেল্লা তৈরী করেন। স্থানীয়ভাবে যা সংগ্রাম কেল্লা নামে পরিচিত ছিল।
মগ পর্তুগীজদের বিতাড়িত করার অভিযানে পারস্য বংশদূত মো. হানিফ খান নেতৃত্ব দিয়ে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পরবর্তীতে হানিফ খান এ দেশকে ভালোবেসে থেকে গেলেন। হানিফ খানের এক কন্যা সন্তান ছিল। হানিফের জামাতা এবং ভ্রাতৃপুত্র শেখ মো. হাফিজ পরবর্তীকালে সংগ্রাম কেল্লা থেকে সামান্য পশ্চিমে উলানিয়া এলাকায় এসে বসবাস শুরু করেন। হাফিজের পুত্র শেখ মো. সদরুদ্দিনের আমলেই উলানিয়ায় জমিদারি প্রতিষ্ঠিত হয়। তার তিন পুত্র ছিল। এরা হলেন-নয়া রাজা, কালা রাজা ও হাসান রাজা। তাদের সময়েই বসত বাড়িটিকে উঁচু প্রাচীর ঘেরা দুর্গের মত করে নির্মাণ করা হয়। এরপর বাড়ির প্রধান ফটকের পাশেই প্রায় ১৫৮ বছর পূর্বে নির্মাণ করা হয় দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। যা পরবর্তীতে উলানিয়া জামে মসজিদ নামে পরিচিতি পেয়েছে।
১৮৬১ সালে প্রতিষ্ঠার পর মসজিদটি কয়েকবার সংস্কার করা হলেও মূল অবয়ব এখনও অক্ষুন্ন রয়েছে। তিন গম্বুজ বিশিষ্ঠ এই মসজিদটি অনেকটা তাজমহল আকৃতির। মসজিদের সামনে বাঁধানো পুকুর রয়েছে। মূল গৃহের আগে লোহার ছয়টি খামের ওপর প্রতিষ্ঠিত জাফরির কাজ রয়েছে। এখানে বীমের ছাদ রয়েছে। মোগল স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত মসজিদটির তিনটি দরজা রয়েছে। মসজিদের ভিতরে একসাথে শতাধিক মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।
মসজিদের প্রধান বৈশিষ্ট অন্য মসজিদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে নির্মান করা হয়েছে। উলানিয়া জামে মসজিদের গায়ে ছিলো শিলালিপি। এই মসজিদ গাত্রের পুরোনো শিলালিপীটি এখন আর নেই। তবে একই রকম শিলালিপী উৎকীর্ণ রয়েছে। মসজিদের বাহিরের গাত্রে চিনে মাটির টুকরা দিয়ে গড়া। মসজিদটি মূলত মোগলরীতিতে তৈরী। ভেতর ও বাহিরের গাত্রে জ্যামিতিক লতাপাতা ও ফলের নকশা রয়েছে। মসজিদে মূল নামাজ ঘরে তিনটি প্রবেশ পথ রয়েছে। তিনটি দরজার মধ্যে মাঝেরটি অপেক্ষাকৃত বড় এবং এটির দুই পার্শ্বের দুই দেয়ালে নকশার নীচে উৎকীর্ণ শিলালিপি ছিলো। ডানদিকের দেয়ালে উৎকীর্ণ পবিত্র কোরাআন শরীফের আয়াত ক্ষতিগ্রস্থ হলেও অধিকাংশ লেখা টিকে আছে। বা দিকের দেয়ালে উৎর্কীর্ণ ছিল মসজিদ প্রতিষ্ঠা বিষয়ক বক্তব্য। এগুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার আগেই ফটোগ্রাফি করে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে ওই ফটোগ্রাফি ব্যবহার করেই নতুন শিলালিপি খোদাই করে মসজিদের গাত্রে উৎকীর্ণ করা হয়েছে।
শিলালিপিতে ১০টি লাইন থাকলেও সবগুলো অক্ষুন্ন নেই। যেগুলো রয়েছে তার থেকে অর্থ করলে দাঁড়ায়- প্রভু আল্লাহর ওপর ভরসা করো, শোকে পরিশুদ্ধ মানুষ ইত্যাদি। ১৯৯৩ সালে প্রত্নতত্ব বিভাগ মসজিদটিকে সংরক্ষণযোগ্য ঘোষণা করেন।
জমিদারের পক্ষে আপনজনেরাও কিছু অংশ সংস্কার করেন। ২০০৩ সালে ইঞ্জিনিয়ার হারুন-অর রশিদ মসজিদটি সংস্কারে ভূমিকা রাখেন। অতঃপর কুয়েত ভিত্তিক মসজিদে সাহায্য দানকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ইঞ্জিনিয়ার মোঃ এস কীওয়ান মসজিদটি সংস্কারের জন্য হাত বাড়িয়ে দিলে মসজিদের ব্যাপক সংস্কার সাধিত হয়। সংস্কার শেষে মসজিদের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক সৌন্দয্য বহুগুনে বর্ধিত হয়েছে। বর্তমানে মসজিদটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য পর্যটকরা এখানে আসেন।
মগ পর্তুগিজ জলদস্যুদের তাড়াতে নির্মিত সংগ্রাম কেল্লা কালের বির্বতনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার পর উলানিয়া জামে মসজিদটিকে এখন অনেকে সংগ্রাম কেল্লা হিসেবে ডেকে থাকেন। দৃষ্টিনন্দন নির্মাণশৈলী মসজিদটি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করেছে। প্রতিদিন দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি একনজর দেখার জন্য বিভিন্নস্থান থেকে দর্শনাথীরা এখানে ছুটে আসেন।

- জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার সম্প্রসারণে উদ্যোগ
- সম্মিলিত মঙ্গল শোভাযাত্রা শনিবার
- শোটাইম মিউজিকের বাংলা নববর্ষবরণ
- মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরেও টিউলিপ
- হার্ভার্ডে বিদেশী শিক্ষার্থীদের নিষিদ্ধ করতে চান ট্রাম্প
- ইইউ’র ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ
- পাকিস্তানের কাছে ৪৩২ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি
- রেমিট্যান্স ফেয়ার শুরু শনিবার: গভর্নর মনসুর যাচ্ছেন না
- ফ্লোরিডার বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলিতে নিহত ২
- বাংলাদেশ ‘জিএসপি’ সুবিধা পেতে তৎপর বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ ডে প্যারেডে মানুষের ঢল
- ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে নির্বাচন
- সাপ্তাহিক আজকাল আজকের সংখ্যা ৮৬৬
- নো মেকআপ লুকে মিমি চক্রবর্তী
- হার্ভার্ড রসিকতা, ঘৃণা এবং বোকামি শেখায়: ট্রাম্প
- পুলিশ সদস্য হত্যা মামলায় আরাভ খানসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন
- পোষা বিড়ালকে মোবাইলে কী দেখালেন তারেক রহমান?
- বৈঠকে আমরা সন্তুষ্ট নই, কঠোর আন্দোলনের ডাক আসবে
- নির্বাচনের জন্য ৩ শর্ত পূরণের দাবি জামায়াত আমিরের
- সৌদি রাষ্ট্রদূতকে আদালতে মেঘনার স্বামী দাবি
- ফ্যাসিবাদী মুখাকৃতি সামনে রেখে শেষ হলো `বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা`
- ‘বাণিজ্যযুদ্ধে কেউ জেতে না’, চীনা প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি
- বাজি ফাটানো নিয়ে দ্বিতীয় দিনের সংঘর্ষে এএসপিসহ অর্ধশত আহত
- চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে মিত্রদের পাশে চান ট্রাম্প
- ফাঁস হচ্ছে মেঘনার ভয়ংকর হানি ট্র্যাপ
- ব্যয়-দুর্নীতি কমিয়ে বিদ্যুতে ভর্তুকি সামালের উদ্যোগ
- ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ‘ম্যাস সেন্সরশিপ’র নেপথ্যে ইসরাইল
- ২৩ দিনে ২২৪ বার গাজার আবাসিক এলাকায় ইসরাইলের হামলা
- সৃজিতের ভাবনায় স্বস্তিকা!
- ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর ছবি পেটানোর খবর ইসরায়েলি মিডিয়ায়
- আজকের সংখ্যা ৮৪৪
- এবাদুলের মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হংকং-দুবাইয়ে
- রমজানে আরটিভি’র আলোকিত কোরআন প্রতিযোগিতা
- এ বি সিদ্দিক এবং জাস্টিসকে নিয়ে জামালপুর জেলা সমিতির নতুন কমিটি
- বাংলাদেশ এখন অরাজকতার আগ্নেয়গিরি
- চট্রগাম সমিতির নবনির্বাচিতদের শপথ গ্রহন
- টেক্সট মেসেজ নিয়ে এফবিআই’র সতর্কতা
- আজকাল ৮৫২ তম সংখ্যা
- লাখ টাকা কমছে হজের খরচ
- ৬ মেডিকেল কলেজের নতুন নামকরণ
- নাসার রিসাইকেল চ্যালেঞ্জে অংশ নিয়ে দেড় কোটি ডলার জেতার সুযোগ
- লেবানন যুদ্ধে ঝুঁকিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা
- ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কঃ তালি বাজাতে দুই হাত লাগে
- ‘আজকাল’-৮৪৮ সংখ্যা
- আজকাল সংখ্যা ৮৫১
- ‘আজকাল’ - ৮৪০সংখ্যা
- আজকাল ৮৫০
- মানসিক চাপ থেকে হৃদরোগ
- বাংলাদেশে ৬ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ‘ইমো’
- আজকাল এর ৮৫৩ তম সংখ্যা

- স্বামী-স্ত্রী সর্বোচ্চ কতদিন কথা না বলে থাকা জায়েয?
- পাঁচ অবস্থার আগে পাঁচ অবস্থার মূল্যায়ন করুন
- দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ নেককার স্ত্রী
- শিয়া সুন্নী দ্বন্দ্বের আদ্যোপান্ত
- কবরে কি নবীজীর ছবি দেখিয়ে প্রশ্নোত্তর করা হবে?
- হিজামার স্বাস্থ্য উপকারিতা
- জীবনে সুখী হওয়ার পাঁচ পরামর্শ
- মুসলিম হিসেবে মৃত্যু লাভের দোয়া
- পরিচ্ছন্নতা ও সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে নবীজির ১০ বাণী
- পথ চলার আদব!
- কোরআন-হাদিসের আলোকে কবর জিয়ারতের দোয়া
- নামাজে মনোযোগী হওয়ার উপায়
- বিশ্ব ইজতেমা শুরু
- ১৫ নভেম্বর থেকে হজের নিবন্ধন শুরু
- কাকরাইল মসজিদে বিদেশিদের মালামাল আটকে রেখেছে সাদবিরোধীরা