সিকৃবি শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বিক্ষোভ-ভাঙচুর
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১০:১৫ এএম, ২৪ মার্চ ২০১৯ রোববার

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের(সিকৃবি) শিক্ষার্থী ওয়াসিম আফনানকে বাস থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে ভাঙচুর, বিক্ষোভ ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেছে সিকৃবি’র বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা।
শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে জড়ো হয়। সেখানে উদার পরিবহণের কয়েকটি বাস ও কাউন্টারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুসা বলেন, এসময় বাস টার্মিনালের শ্রমিকরা সশস্ত্র অবস্থান নিলে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হুমায়ন রশিদ চত্বরে অবস্থান নেয়। সেখানে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। এসময় তারা বাসের হেলপার ও চালকের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এতে প্রায় ঘন্টাখানেক সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের যান চলাচল বন্ধ ছিল।
পরে রাত সোয়া ৯টার দিকে সিকৃবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুণ্ড হুমায়ুন রশীদ চত্বরে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শেষে অবরোধ তুলে নেন। তবে এখনো পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে। বাস টার্মিনাল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে নিহত ওয়াসিমের পরিবারের সদস্যরাও সিলেটে এসে পৌঁছেছেন। তার মরদেহ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও শিক্ষকসহ শত শত শিক্ষার্থী অবস্থান নিয়েছেন।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শেরপুরে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে ওয়াসিমকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। নিহত ওয়াসিম হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউপি রুদ্র গ্রামের মো. আবু জাহেদ মাহবুবের ছেলে ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র।
সিকৃবির রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম সোয়েব বলেন, ওয়াসিমসহ আরেকজন ছাত্র এই বাসে করে বাড়ি থেকে সিলেট আসছিলো। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে দু’জনকেই বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় বাসটির চালকের দুই সহকারী। এরমধ্যে ওয়াসিমের উপর দিয়ে আরেকটি গাড়ি চলে যাওয়ায় ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। ওয়াসিমের মৃত্যুর খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছে। পরিস্থিতি একটু শান্ত হওয়ার পর এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপের উদ্যোগ নেয়া হবে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুসা বলেন, এ ঘটনার পর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, হুমায়ন রশিদ চত্বরসহ নগরীর বিভিন্ন মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেয়া হয়েছে। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় বাস চালককে আটক করা হয়েছে।