স্বাধীনতা দিবসে ‘যুদ্ধ দিনের প্রেম’
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১১:৩৭ এএম, ২৬ মার্চ ২০১৯ মঙ্গলবার
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রচার হবে নাটক ‘যুদ্ধ দিনের প্রেম’। মাসুম শাহরীয়ার-এর রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন সাইদুর রহমান রাসেল। এতে ‘যুদ্ধ দিনের প্রেম’ বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ, সবনম ফারিয়া, মিলি বাশার, মাসুম বাশার, নিকুল কুমার মন্ডল প্রমুখ। বাংলাভিশনে প্রচার হবে মঙ্গলবার রাত ০৯ টা ০৫ মিনিটে।
সত্য ঘটনার অনুপ্রেরণায় এই নাটক নির্মিত হয়েছে। বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত। শাহাদাত যুদ্ধের ট্রেনিংয়ে সীমান্ত পাড় হয়েছিলো। এর মধ্যে খবর আসে তার এক প্রিয় শিক্ষক নিশানাথ বাবু ঢাকা থেকে বর্ডারের দিকে আসছিলেন। হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এক উপশহরে আশ্রয় নিয়েছেন। শাহাদাত ক্যাম্প থেকে ছুটি নিয়ে সীমানা পাড় হয়ে তার কাছে আসে। শাহাদাত ঠিক করে, যে করেই হোক, স্যারকে নিয়ে বর্ডার পাড় হতে হবে। নিশানাথ বাবু রাজি হন না। ট্রেনিং রেখে তার ছাত্র এখানে পড়ে থাকবে এটাও তিনি চান না। তিনি শাহাদাতকে বুঝিয়ে পাঠিয়ে দেন।
গ্রামের পথ ধরে যাবার সময় কয়েকটা লোক শাহাদাতের পথ আগলায়। শাহাদাত বুঝতে পারে তারা আলবদর বাহিনীর। শাহাদাতের জামার ভেতরে রাইফেল লুকানো। ছেলেগুলো শাহাদাতকে জেরা করতে শুরু করে। দূর থেকে রাসেল নামের এক তরুণ শাহাদাতকে দেখতে পায়। রাসেল শাহাদাতকে চেনে। যুদ্ধ শুরু হলে রাসেল নিজের গ্রামে চলে আসে।
আলবদরের ছেলেরা শাহাদাতকে জেরা করছে দেখে রাসেল এগিয়ে গিয়ে বলে, আরে শাহাদাত ভাই তোমারে না বলছি এদিক সেদিক না যাইতে। বদর বাহনীর কাছে শাহাদাতকে নিজের বড় বোনের স্বামী বলে পরিচয় দিয়ে বলে ঢাকায় বিয়ে হয়েছে।
কিন্তু আলবদরের ছেলেগুলো কেমন একটু সন্দেহ থাকে। বাড়িতে নিয়ে গেলে রাসেল জানতে পারে, শাহাদাত মুৃক্তিবাহিনীতে যোগ দিয়েছে। তার সঙ্গে অস্ত্রও আছে। বাড়ির বাইরে বদর বাহিনীর একটা ছেলেকে নজর রাখতেও দেখা যায়। রাসেল তার বাবা মা এবং বোনকে বিয়য়টা খুলে বলে। বাবা বলে তাহলে তো এই মুহুর্তে ছেলেটার এখান থেকে যাওয়া ঠিক হবে না।
রাসেলের বড় বোন কাজলের সঙ্গে শাহাদাতের পরিচয় হয়। কয়েকটা দিন কাজলের স্বামীর পরিচয়েই থাকতে হয় শাহাদাতকে। শাহাদাত যেদিন চলে যাবে কাজল একই রিকশায় গিয়ে শাহাদাতকে বাসে তুলে দিয়ে অসে। সেদিন রাতের বেলা কাজল তার ঘরের জানালায় দাঁড়িয়ে কাঁদে। কাজলের মা সেটা দেখে ফেলে। বুঝতে পারে তার মেয়ের কান্নার কারণ। বাকীটা জানা যাবে নাটকের শেষে।