দেশের শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তনের পরামর্শ ভিপি নুরের
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১১:০৪ এএম, ২৭ মার্চ ২০১৯ বুধবার

ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, অর্থনৈতিকভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, শিক্ষার হার বাড়ছে, সার্টিফিকেট হয়তো পাচ্ছি, কিন্তু আমরা প্রকৃত মান যেটি সেটি পাচ্ছি না। এজন্য দেশের শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার রাতে বেসরকারি একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলে 'বাংলাদেশের ৪৮ তারুণ্যের চোখে' শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ডাকসু ভিপি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থার চিত্র তুলে ধরে নুরুল হক বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় বাংলাদেশের একটি নিউক্লিয়াস। কিন্তু সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৮ শতাংশ কলা ও বাণিজ্যিক অনুষদের শিক্ষার্থী, আর ২২ শতাংশ হচ্ছে বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী। অথচ বর্তমান বিশ্ব বিজ্ঞানের ওপর নির্ভরশীল। সেখানে ঢাবির মতো একটি জায়গায় বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের এমন ক্ষেত্র নিয়ে তিনি হতাশা প্রকাশ করেন।
প্রশ্নফাঁস শিক্ষাব্যবস্থার দুর্বলতার অন্যতম প্রমাণ মন্তব্য করে ভিপি নুর বলেন, বর্তমানে প্রশ্নফাঁস সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা। এটি এখন মহামারী আকার ধারণ করেছে। আর এটি আমাদের দুর্বল শিক্ষাব্যবস্থার অন্যতম একটি প্রমাণ। আরও কিছু প্রমাণ রয়েছে- আমরা দেখি বর্তমানে কারিগরি শিক্ষা বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সেভাবে উন্নত হয়নি।
এ প্রসঙ্গে চীনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, আজকে তারা ১৫০০ টাকার মোবাইল বানাতে পারে, আবার সবচেয়ে উন্নত মানের প্রযুক্তিও বানাতে পারে। কিন্তু আমরা সেই প্রথাগত পদ্ধতিতেই পড়ে আছি।
শিক্ষা ব্যবস্থায় এখনও কলা অনুষদনির্ভর বা বাণিজ্যিক অনুষদের জোর দেওয়া হচ্ছে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়ে ভিপি নুর বলেন, বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যে সাবজেক্টগুলো সেসব আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় খুব এটা অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না।
ঢাবির একটা উদাহরণ টেনে ডাকসু ভিপি বলেন, ২০১৭ সালে ঢাবির মতো একটি প্রতিষ্ঠানের সাবজেক্ট খুলতে হয় প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন বিভাগ নামে; আর বন্ধ করে দেয়া হয় অ্যাপলাইড ফিজিকসের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শিক্ষা ব্যবস্থা দুরবস্থার বিষয়টি এই সাধারণ একটি বিষয় ভাবলেই বোঝা যায়। যা আমরা অস্বীকার করতে পারব না।