মঙ্গলবার   ১৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৪ ১৪৩১   ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঊর্মিলার ‘ভাস্কর্য’

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১১:৩৫ এএম, ২৭ মার্চ ২০১৯ বুধবার

মুক্তিযুদ্ধকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ঘটনা নিয়েই স্বাধীনতা দিবসের নির্মিত হয়েছে ‘ভাস্কর্য’ নাটকটি।  আহম্মেদ ফারুকের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন কাজী সাইফ আহমেদ। এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর।

নাটকটির প্রসঙ্গে ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর বলেন,  আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। সে হিসেবে ছোটবেলা থেকেই মুক্তিযুদ্ধের গল্পের প্রতি আমার কৌতূহল রয়েছে। এ নাটকের গল্পটি আমার পছন্দের। আশা করি, নাটকটি দর্শকদের ভালো লাগবে।

 

সরকার মিডিয়া ভিশন ও লাইফ গোল্ড মিডিয়ার প্রযোজনায় নাটকটিতে ঊর্মিলার বিপরীতে অভিনয় করেছেন আবদুন নুর সজল। এর বিভিন্ন চরিত্রে আরো অভিনয় করেছেন আরিফুল ইসলাম আরিফ, আশরাফুল আলম সোহাগ, শরিফ সরকার, ইরা সিকদার, সানজিদা আলমসহ অনেকে। নাটকটি এসএ টিভিতে স্বাধীনতা দিবসে প্রচার করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজ অঙ্গনে পা রাখেন ঊর্মিলা। এরপর থেকে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে চলছেন তিনি। বর্তমান সময়ে তরুণ অভিনেতা-অভিনেত্রীরা একক নাটকের দিকেই বেশি ধাবিত হচ্ছেন। সেই জায়গা থেকে ঊর্মিলাকে শ্রোতের বিপরীতের এক সাঁতারু। মাঝি বললেও নেহাতই ভুল বলা হবে না! কারণ, বর্তমানে এ অভিনেত্রীর প্রায় দশটি ধারাবাহিক নাটক বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার  হচ্ছে। যদিও ঊর্মিলার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে সিঙ্গেল নাটকেই বেশি দেখা গেছে। 

এরপর সেই ধারা থেকে বেরিয়ে ধারাবাহিকে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। একক ও ধারাবাহিক নাটকে সমানতালে রেখেছেন নিজের উপস্থিতি। বর্তমানে তিনি পহেলা বৈশাখ ও ঈদুল ফিতরের একক ও ধারাবাহিক নাটকের কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। 

গত কয়েক বছর ধরেই ওয়েব সিরিজ বেশ জনপ্রিয়। সেসবের মধ্যে চোখে পড়ার মতো বেশ কিছু ওয়েব সিরিজ নির্মিত হয়েছে। এরই মধ্যে দেশের টিভি নাটকের অনেক গুণী নির্মাতা ওয়েব সিরিজ নির্মাণের দিকে ঝুঁকেছেন। তেমনি ছোট পর্দা ও বড় পর্দার তারকারও ওয়েব সিরিজে অভিনয়ের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছেন। 

 

ওয়েব সিরিজের প্রসঙ্গ উঠতেই ঊমিলা শ্রাবন্তী কর বলেন, ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছি। কিন্তু আর করতে চাই না। 
এর কারণ হিসেবে এই গ্ল্যামারকন্যা বলেন- আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, যারা রেগুলার টিভি স্ক্রিনে কাজ করি, আমি চাই নাটকই মানুষ বেশি দেখুক। ওয়েব সিরিজ নাটক বা মিউজিক ভিডিও এর মাঝামাঝি কিছু একটা হয়। যেটা আমার কাছে পরিপূর্ণ কোনো প্রোডাক্ট মনে হয় না। আর ওয়েব সিরিজের কারণে টিভি নাটকের দর্শকও মনে হয় কমে যাচ্ছে। তাই এটাকে গুরুত্বপূর্ণ না ভাবাই ভালো। 

টেলিভিশন বা প্রেক্ষাগৃহের বাইরে ভার্চুয়াল জগতে বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে মানুষের প্রথম পছন্দ ইউটিউব। এর পাশাপাশি বর্তমান সময়ে দর্শক বাড়ছে আইফ্লিক্স, বায়োস্কোপ, বঙ্গ বা থার্ডবেলের মতো ইন্টারনেট ও মোবাইল অ্যাপভিত্তিক বিনোদন প্ল্যাটফর্মে। বিনোদনের নতুন এই মাধ্যম কতটা ইতিবাচক আর কতটাই বা নেতিবাচক তা নিয়ে আছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। 

অনলাইন মাধ্যমের কারণে টিভি নাটক হুমকির দ্বারপ্রান্তে কি না? জবাবে অভিনেত্রী বলেন, পুরোপুরিভাবে এখনো টিভি নাটক হুমকির দ্বারপ্রান্তে নয়। এরপরও টিভিতে ভালো মানের যে প্রোডাকশন যাচ্ছে, তা মানুষ দেখছে। যদি মানুষ টিভিতে নাটক না দেখতো তাহলে আমরাও থাকতাম না, নির্মাতা থাকতো না, মোটকথা টিভি নাটকই থাকতো না। তবে এগুলো নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়তে পারে।