‘৫০জন পেশাদার প্রযোজক প্রয়োজন’
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:৫৮ এএম, ৩০ মার্চ ২০১৯ শনিবার
ঢালিউডরে অন্যতম খল অভিনেতা মিশা সওদাগর। এই সময়ে নেতিবাচক চরিত্রের শিল্পী তার ধারে কাছে কেউ নেই। বর্তমান ঢালিউডের এক নম্বার ভিলেন বলা হয় তাকে। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি তিনি। চলচ্চিত্রের নানা বিষয় নিয়ে মুখোমুখি হয়েছেন ডেইলি বাংলাদেশের। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মেহেদী সোহেল-
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে আপনার চলচ্চিত্র ‘অন্ধকার জগৎ’, কেমন সারা পলেন?
গতমাসের ২২ তারিখে মুক্তি পেয়েছে ‘অন্ধকার জগৎ’। মুক্তির পর দারুণ সারা পেয়েছে। বিশেষ করে চলচ্চিত্রটি মুক্তির পর অনেক সিনিয়র শিল্পী ও চলচ্চিত্র বোদ্ধারা আমাকে ফোন করে প্রশংসা করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন এমন অভিনয় কিভাবে করলে? আমি চরিত্রে ঢুকে গেছি, স্বাভাবিক অভিনয়টাই করেছি, সেটাই চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের নজর কেড়েছে। দর্শকদের ভালো লেগেছে।
আপনার বর্তমান ব্যস্ততা প্রসঙ্গে জানতে চাই...
এখন মালেক আফসারী পরিচালিত ‘পাসওয়ার্ড’ চলচ্চিত্রের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছি। এই চলচ্চিত্রে একেবারেই ভিন্ন চেহারায় দেখা যাবে আমাকে। এখন আর অগেরমতো গড়পরতা গল্পের চলচ্চিত্রে কাজ করছিনা। এখন শুধু ভালো গল্প ও বড় বাজটের চলচ্চিত্রেই আমাকে দেখা যাবে। প্রয়োজনে বছরে একটি চলচ্চিত্রে কাজ করবো।
১২ এপ্রিল থেকে দেশের সব সিনেমা হল বন্ধের ঘোষনা দিয়েছেন চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতারা, বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?
হল মালিকরা চলচ্চিত্রকে ভালোবাসেন, আর চলচ্চিত্রকে ভালোবাসেন বলেই তারা সিনেমা হল নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু বেশকিছু দিন ধরে চলচ্চিত্র নির্মাণের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। যে কারণে নিয়মিত নতুন চলচ্চিত্র মুক্তি পাচ্ছেনা। আর চলচ্চিত্র না থাকলে হল চলবে কিভাবে? এখন বেশিরভাগ হলের পরিবেশ খুব খারাপ। লোকসানের কারণে হয়তো মালিকরা সেগুলো সংস্কার করতে পারছেন না।
একদিকে নতুন চলচ্চিত্র নেই অন্য দিকে হলের পরিবেশ নেই। যে কারণে দর্শক সিনেমা হলে আসছেন না। ফলে এর নেতিবাচক প্রভাব পরছে আমাদের চলচ্চিত্রে। আর এই কারনেই হয়তো প্রদর্শক সমিতির নেতারা হল বন্ধেরমত এমন কঠিন বিষয় নিয়ে ভাবছেন। কিন্তু এভাবে চলতে দেয়া যাবেনা। এই সমস্যার সমাধান দরকার।
কিন্তু সমাধান কিভাবে হতে পারে বলে মনে করেন?
এক্ষেত্রে সরকারকে ভুমিকা নিতে হবে। হল সংস্কারেমতো আর্থিক অবস্থা হয়তো সব হলমালিকের নেই। তাই হলগুলো সংস্কারে তাদের নামমাত্র সুদে লোন দিলে তারা হলগুলো সংস্কার করতে পারবেন। আমাদের আনেক মেধাবী নির্মাতা আছেন। ভালো মানের শিল্পীরও অভাব নেই। তবুও চলচ্চিত্র সঙ্কটে প্রেক্ষাগৃহ। এই সঙ্কট কাটাতে পারেন প্রযোজকেরা। চলচ্চিত্রকে বাঁচাতে ৫০জন পেশাদার প্রযোজক প্রয়োজন। সিনেমাহল সংস্কাকারের পাশিপাশি প্রযোজকেরা ফিরে এলেই চলচ্চিত্র হারানো অতীত ফিরে পাবে।