ভারতের নির্বাচনে বিতর্ক নিয়ে ফিরছেন মিঠুন
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৩:৪০ পিএম, ৩১ মার্চ ২০১৯ রোববার
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর ১৯৬৬ সালে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী ও পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট আয়ুব খানের মধ্যে সাক্ষরিত হয় যুদ্ধবিরতী চুক্তি। মধ্যস্থতায় ছিল জাতিসংঘ। ‘তাসখন্দ চুক্তি’ হিসেবে পরিচিত সেই চুক্তি সাক্ষরিত হওয়ার পরদিনই হঠাৎ মৃত্যু হয় লালবাহাদুর শাস্ত্রীর।
সরকারিভাবে জানানো হয়েছিল হৃরোগে আক্রান্ত হয়েই তার মৃত্যু হয়। সেই সময়ে তার মৃতদেহের ময়না তদন্তও হয়েনি। তবে তার ছেলে লালবাহাদুর শাস্ত্রীর ছেলে সুনীল শাস্ত্রী অভিযোগ করেন তিনি তার বাবার শরীরের বিভিন্ন অংশে নীলচে দাগ দেখেছিলেন।
তার ভাষ্যমতে বাবার শরীরের নীচের অংশে কাটা দাগও দেখেন তিনি। তবে সেই সময়ে এই বিতর্ক বিস্তারিত হওয়ার সুযোগ পায়নি। এবার সেই বিতর্ককেই উসকে দিতে লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে মুক্তি পেতে চলেছে ‘দ্য তাসখন্দ ফাইলস’ নামের সিনেমা। সেখানে দেখানো হবে লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনা।
এখন তো ভারতজুড়ে রাজনৈতিক সিনেমার ঝড় বইছে। কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে ‘দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’ আর ‘ঠাকরে’। মুক্তি প্রতীক্ষায় আছে ‘প্রাইম মিনিস্টার নরেন্দ্র মোদি’। এই অবস্থায় এরকম আরও একটা ছবির মুক্তি স্বাভাবিকভাবেই বেশ বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
সুখবর হলো, ছবিটির অন্যতম মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন জাঁদরেল অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তার অভিনীত চরিত্রের নাম শ্যামসুন্দর ত্রিপাঠী।
জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে শুটিং শুরু হয়েছিলো এই ছবির। এখানে নাসিরুদ্দিন শাহ অভিনয় করেছেন পি কে আর নটরাজনের ভূমিকায়। এছাড়াও আছেন শ্বেতা বসু প্রসাদ, মন্দিরা বেদি, পল্লবী যোশী, রাজেশ শর্মা প্রমুখ।
তবে বিতর্কের মুখোমুখি হতে নারাজ ছবিটির প্রযোজক। তাই ছবি মুক্তির আগেই বিতর্ক থামাতে ঘোষণা করা হয়েছে এই ছবি এক রাজনৈতিক নেতাকে নিয়ে অ-রাজনৈতিক গল্পের। এর পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী।