সোমবার   ১৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৪ ১৪৩১   ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মোদির বায়োপিক মুক্তিতে বাধা: ইসিকে মুম্বাই হাইকোর্টের নোটিশ

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:০৯ পিএম, ১ এপ্রিল ২০১৯ সোমবার

ভোটের মওসুমে মুক্তি পাচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বায়োপিক ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’। এ নিয়ে জলঘোলা হচ্ছে বহুদিন ধরেই। নির্বাচন বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে সিনেমাটির উপর। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশন নির্মাতাদের নোটিশও পাঠিয়েছে। এবার নির্বাচন কমিশনকেই পাল্টা নোটিশ পাঠাল মুম্বাই হাইকোর্ট।

 

সমাজসেবী সতীশ গায়কোয়াড়ের আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি নরেশ পাটিল ও বিচারপতি এন এম জামদার মোদির বায়োপিকের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন।

আদালতের তরফে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে এও জানানো হয়েছে, ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’ ছবির ট্রেলার যেন সমস্ত সোশ্যাল সাইট থেকে তুলে নেওয়া হয়।

 

আবেদনে বলা হয়েছে, ছবিটি যে দিনে ও সময়ে মুক্তি পাবে, তা যদি হয়, তবে সেটি নির্বাচন বিধির নীতি লঙ্ঘন করবে। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাইকোর্ট।

‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’ ছবির মুক্তি পিছনোর দাবিতে এর আগেও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক আইনজীবী। ছবিটির উপর নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক, এমন দাবি তুলে সরব হয়েছিল কংগ্রেসও।

এমনকি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে তাদের বৈঠকও হয়।

এরপর ছবির নির্মাতাদের নোটিশ ধরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙের অভিযোগ ওঠে প্রযোজনা সংস্থার বিরুদ্ধে। বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন ছাড়া কোনও রাজনৈতিক ছবির প্রদর্শন করা যায় না। ৩০ মার্চের মধ্যে নোটিশের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরে যান তারা। কংগ্রেসের তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ খারিজ করে দেয় টিম ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’৷

প্রযোজকদের দাবি, গেরুয়া শিবিরের কারও কোনও সাহায্য ছাড়া সম্পূর্ণ নিজেদের টাকাতেই ছবি তৈরি হয়েছে।

এছাড়াও নির্বাচন কমিশনের কাছে তাদের একটাই বক্তব্য, ছবি মুক্তি বন্ধ করে দেওয়া হলে বা পিছিয়ে দেওয়া হলেও সেলুলয়েডের মোদি গণতন্ত্রকে প্রভাবিত করবেই।

বিতর্কের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চড়ছে সেলুলয়েডের মোদিকে নিয়ে আগ্রহ। ছবি আদতে নির্ধারিত সময়ে মু্ক্তি পায় কি না এবং তা কতটা দর্শক মনে প্রভাব বিস্তার করতে পারে, সেটাই এখন দেখার।