সোমবার   ১৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৪ ১৪৩১   ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রোজা রাখবেন তৃণমূলের মিমি চক্রবর্তী

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:৫১ পিএম, ২ এপ্রিল ২০১৯ মঙ্গলবার

আগামী রমজানে হবে ভারতের লোকসভার ভোট। এতে বেশ কষ্ট হবে দেশটির সংখ্যালঘু মুসলমানদের। তাই তাদের সঙ্গে রোজা রাখার ঘোষণা যাদবপুরে তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। গতকাল নির্বাচনী এক জনসভায় গিয়ে এ ঘোষণা দেন তৃণমূলের তারকা এই প্রার্থী। মিমির ঘোষণার পর ফের সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ এনেছে ক্ষমতাসীন বিজেপি।

তবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে জোর আপত্তি তুলে আসছে তৃণমূল। রমজান মাসে ভোটের সিদ্ধান্তকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সংখ্যালঘু মুসলমান ভোটারদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে কমিশনের উচিত ছিল, নির্বাচনের তারিখ রমজান থেকে সরিয়ে নেয়া। একই কথা বলেন কলকাতার মেয়র, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। তিনি বলেন, ইচ্ছে করে রমজান মাসে ভোট দেয়া হয়েছে। রমজানে ভোটের সিদ্ধান্ত এখন রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করতে চলছে।

 

দলের সেই রাজনৈতিক লাইন মেনে মুসলমান অধ্যুষিত বারুইপুরের কোয়াতলায় গিয়ে রোজা রাখার ঘোষণা দেন মিমি। কোয়াতলায় মুসলমানদের এক অনুষ্ঠানে তৃণমূলের এই তারকা প্রার্থী বলেন, আগামী ১৯ মে ভোটের দিন। ওইদিন মুসলমানরা রোজায় থাকবেন। আপনাদের কথা দিচ্ছি, ওইদিন আমিও আপনাদের সঙ্গে উপোস করব। বিকেলে আপনাদের সঙ্গেই রোজা ভাঙব। মিমির প্রতিশ্রুতির পর হাততালিতে ফেটে পড়ে গোটা সভাস্থল। প্রার্থী হিসেবে মাঠে নামার পর প্রচারে যেভাবে ঝড় তুলছেন অভিনেত্রী প্রার্থী, তাতে খানিকটা অবাক দলের কর্মীরাই। পুরোদস্তুর রাজনীতিকরাও মিমির সঙ্গে পেরে উঠছেন না। অনেকে বলছেন, মিমির রোজা রাখার ঘোষণা, ভোটের আগে ‘পাবলিক পালস’ ধরে হাটছেন তিনি।

তবে বিরোধীদের এতে বেশ আপত্তি আছে। তারা বলছেন, ভোটের আগে সংখ্যালঘু তোষণ, তৃণমূলের পুরানো অভ্যাস। কিন্তু এবার এসবে কাজ হবে না। কোনোভাবেই জিততে পারবেন না মিমি। জয়-পরাজয় বোঝা যাবে আগামী ২৩ মে।