মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১   ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ওমানের কোরআন খচিত মসজিদ

নিউজ ডেস্ক

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০২:৫২ এএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ সোমবার

পশ্চিম এশিয়ার একটি দেশ ওমান। পুরো নাম সালতানাত অব ওমান। আরব উপদ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত দেশটিতে রয়েছে নজরকাড়া বালুর সৈকত।

মুসলিম প্রধান ওমানের মূল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে নয়নাভিরাম বহু মসজিদ। রাজধানী মাস্কাটের মাঝামাঝি আল খুয়েইর মিনিস্ট্রিজ ডিস্ট্রিক্টের একটি মসজিদের নাম আল জাওয়াবি মসজিদ। সৌন্দর্য ও আভিজাত্যে মোড়ানো এ মসজিদটি ইসলামী উম্মাহর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

কারণ মসজিদের ভেতরের দেয়ালে তাম্রপাত্রে খোদিত পুরো ত্রিশ পারা কোরআন শরিফ। ওমানের রাজধানীর সেরা দশটি আকর্ষণীয় মসজিদের মধ্যে জাওয়াবি চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।

১৯৮৫ সালে আল খুয়েইর জেলার জাওয়াবি পরিবার এ মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। জাওয়াবি পরিবারের আবদুল মুনেইম আল জাওয়াবি এই মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেন।

মসজিদের প্রবেশমুখে মর্মর পাথরে সুলতান কাবুসের মহিমা কীর্তন করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ওমানের মুসলমানদের জন্য এ মসজিদটি জাওয়াবি পরিবারের একটি উপহার।

ভূমি থেকে ২৫-৩০ ধাপ সিঁড়ি বেয়ে মসজিদটিতে উঠতে হয়। মসজিদের পূর্ব, উত্তর ও দক্ষিণ দিকে তিনটি সুউচ্চ প্রবেশদ্বার রয়েছে। এর ভেতরের গম্বুজটি দেখতে একটি উল্টানো পদ্ম যেন।

গম্বুজের ভেতরের অংশ প্রাচ্যের নকশাদার পাথরের কাজ আর ২২ ক্যারেট সোনা খচিত আরবি ক্যালিগ্রাফির আকর্ষণীয় নকশার কারুকাজ। গোলাপি রঙের মার্বেল পাথরে মসজিদের বাইরের দিক তৈরি।

এর প্রবেশ তোরণগুলোতেও দেয়া হয়েছে কোরআনিক নকশা। মসজিদের দেয়ালের এক এক অংশে দাঁড়িয়ে নামাজিরা দেয়ালের গায়ে চোখ রেখে কোরআন তেলওয়াত করার সুযোগ পান।

মসজিদের মিনারটি অনেক উঁচু এবং বহু দূর থেকে তা দেখা যায়। আল জাওয়াবি মসজিদ লাগোয়া একটি লঙ্গরখানা রয়েছে। এখানে প্রায়ই সন্ধ্যার পর দর্শনার্থী ও মুসাফিরদের জন্য তাবারুকের ব্যবস্থা করা হয়।

যদিও এতে ধনী-গরিব সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন। বড় বড় থাল বা ‘সাহান কাবির’র চারপাশে গোলাকারে চার-পাঁচজনের এক একটি গ্রুপ আরব-রীতিতে এখানে একসঙ্গে খেতে বসেন। বলা হয়, এখানকার তাবারুক বহু অসুখ-বিসুখ থেকে শেফাহ (মুক্তি) দেয়। এই বিশ্বাস থেকে অনেকেই সপরিবারে এসে সুশৃঙ্খল পরিবেশে তাবারুক নেন।