বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১   ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

৯৯৯ এ ফোন, ইটভাটা থেকে উদ্ধার ৬২ বন্দি

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৮:৩২ এএম, ৫ এপ্রিল ২০১৯ শুক্রবার

জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে নারায়ণগঞ্জ বন্দরের ফুনকুল এলাকায় অবস্থিত একটি ইটভাটার বন্দিশালা থেকে উদ্ধার পেয়েছেন নারী ও শিশুসহ ৬২ জন। 

বুধবার (৩ এপ্রিল) রাতে সহযোগিতা চেয়ে ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে বন্দরের ফুনকুল এলাকায় অবস্থিত এবিএফ ব্রিক ফিল্ডের বন্দিশালা থেকে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ। তারা সবাই এবিএফ ব্রিক ফিল্ডের শ্রমিক।

.

বন্দর উপজেলার কামতাল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হুসাইন জানান, বন্দর উপজেলা মুছাপুর ইউনিয়নের ফুনকুল গ্রামের মৃত শফর আলীর ছেলে আলী আহম্মেদ আলীম, বারপাড়া গ্রামের মৃত হাজী চাঁন মিয়ার ছেলে মিজান ও দাশেরগাঁও গ্রামের মৃত আফিজউদ্দিনের ছেলে সাহাবুদ্দিন এবিএফ ব্রিক ফিল্ডে ইট তৈরির কাজ করেন। এ ব্রিক ফিল্ডে ইট প্রস্তুত করার জন্য চুক্তিপত্র করেন শেরপুর জেলার সদর থানার জিন্নত আলীর ছেলে কুতুবউদ্দিন। প্রতিবছরের মতো এবছরও ইট তৈরি শুরু করেন কুতুবউদ্দিন ও তার শ্রমিক দল।

গত ৩ মার্চ থেকে বৃষ্টির কারণে ইট তৈরি বন্ধ থাকে। এরপর ১ এপ্রিল রাতে ইটভাটার মালিক আলিম ও মিজানের কাছে ইট তৈরির বকেয়া মজুরি ৫০ হাজার ৫ শত টাকা চাওয়া হয়। এসময় মালিক আলীম ও মিজান উল্টো তাদের কাছে ৪ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করেন। এরপর বকেয়া টাকা থেকে শ্রমিকদের খাবারের জন্য টাকা চায় কুতুবউদ্দিন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের মারধর ও নির্যাতন চালিয়ে ইটভাটার একটি ঘরে আটকে রাখেন মিজান ও আলীম। অনাহারে দুইদিন অবরুদ্ধ থাকার পর বুধবার ভোরে ৯৯৯ এ ফোন করে সহযোগিতা চান শ্রমিকরা। পরে কামতাল তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ ইটভাটার একটি ঘর থেকে ১৪ জন নারী ও ৯ জন শিশুসহ ৬২ জনকে উদ্ধার করে।

এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মালিক মিজান ও আলীম পালিয়ে যায়। এরপরে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য (মেম্বার) ইয়া নবীর মাধ্যমে বকেয়া ৫০ হাজার ৫’শ টাকা আদায় করে শ্রমিকদের নিজ গ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলেও জানান এসআই আনোয়ার হুসাইন।

এ বিষয় জানতে বন্দর ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ দেওয়ানের কাছে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি।