সোমবার   ১৮ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৪ ১৪৩১   ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

টেলি সামাদের জানাজা নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্ব

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১১:৪৮ এএম, ৭ এপ্রিল ২০১৯ রোববার

বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি কৌতুক অভিনেতা টেলি সামাদ শনিবার দুপুর দেড়টায় সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। শক্তিমান এ অভিনেতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্রাঙ্গনে। এখন চলছে তার জানাজা ও দাফনের প্রস্তুতি। এরইমধ্যে তার জানাজা নিয়ে দেখা গিয়েছে পারিবারিক দ্বন্দ। 

টেলি সামাদের প্রথম জানাজা তার বাসা পশ্চিম রাজাবাজারে বাদ মাগরিব হওয়ার কথা থাকলেও হুট করেই ঘোষণা করা হয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বাদ এশা। আর এ নিয়েই টেলি সামাদের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে প্রথম পক্ষের মেয়ের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।

 

শেষবারের মতো বাবাকে দেখতে এসে টেলি সামাদের দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে দিগন্তের অভিযোগ- তাদের এতো দিন অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত করা হয়েছে। এমনকি রাজাবাজারের বাড়িতে একটি ফ্ল্যাটও দেয়া হয়নি। যাই হউক বাবা মারা গেছে। আমি তার ছেলে। আমারও তো অধিকার আছে৷ আমি তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানাজার সময় নির্ধারণ করেছি। বলেছি আপনারা বাদ মাগরিব রাজাবাজারে জানাজা করেন আর আমি আমার বাসা মগবাজারের দিলু রোডে বাদ এশায় করব। কিন্তু হুট করে তারা সময় পরিবর্তন করল। তাহলে কি আমরা আমার বাবা জানাজা করতে পারব না?

বাবাকে শেষবার দেখার জন্য হাসপাতালে আসলেও মরদেহের সামনে যেতে পারেননি দিগন্ত। তিনি বলেন, বাবা মারা গেছেন। বাবাকে দেখতে মাকে সঙ্গে নিয়ে আসছি। এসে শুনে বাবাকে দেখাবে না তারা। একজন মৃত ব্যক্তিকে দেখতে দিচ্ছে না এটা সত্যি দুঃখজনক।

এদিকে, টেলি সামাদের মেয়ে সোহেলি সামাদ কাকলী জানান, শনিবার বাদ এশা রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজার টেলি সামাদের প্রথম জানাজা হবে। এরপর ফ্রিজিং গাড়িতেই মরদেহ রাখা হবে। আগামীকাল বেলা ১১টায় এফডিসিতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে মরদেহ নেয়া হবে গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের নয়াগাঁয়ে। সেখানে জানাজা শেষে সমাহিত করা হবে তার মরদেহ।

 

বৃহস্পতিবার রাতে প্রচণ্ড জ্বর থাকায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে আইসিওতে নেয়া হয় এ অভিনেতাকে। সেখানেই শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন তিনি।