স্মার্ট ফোনে বাচ্চারা বিপথগামী হচ্ছে; গিয়াস
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৮:১৯ পিএম, ৭ এপ্রিল ২০১৯ রোববার
গিয়াসউদ্দিন শিক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, সকল সৃষ্টির সেরা হচ্ছে মানুষ। সেই মানুষের কাছে অনেক প্রিয় হচ্ছে সম্পদ। এজন্য মানুষ অনেক শ্রম বিনিয়োগ করে। তবে মানুষের সবচেয়ে মূল্যবান হলো তার সন্তান। যা কিছু আমরা করি তা আমাদের সন্তানের জন্য।
সন্তানকে পড়ালেখা শেখানোর মূল উদ্দেশ্য জিপিএ-৫ কিংবা ভালো রেজাল্ট করা নয়। সন্তানকে পড়ালেখা করিয়ে একজন ভালো মানুষ হিসেবে তৈরি করাই অভিভাবকদের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ। সন্তান ভালো মানুষ হবে এমনটি আশা করলে সবচাইতে সচেতন হতে হবে অভিভাবককে। কিন্তু আমরা অভিভাবকরাই বেশ অসচেতন হয়ে প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও বাচ্চাদের হাতে স্মার্ট ফোন তুলে দিচ্ছি। এতে বাচ্চারা বিপথগামী হচ্ছে।
শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল এলাকার গিয়াস উদ্দিন ইসলামিক মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে ‘গিয়াসউদ্দিন শিক্ষা ফাউন্ডেশন’ বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও বৃত্তি প্রদান-২০১৮ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন-’গিয়াসউদ্দিন শিক্ষা ফাউন্ডেশন’ বৃত্তি প্রদানের আহবায়ক শিশির ঘোষ অমর, গিয়াসউদ্দিন ইসলামিক মডেল স্কুল এন্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ মীর মোসাদ্দেক হোসেন, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মিজানুর রহমান, রাজীব আহমেদ, দুলাল চন্দ্র, বিমল চন্দ্র কর্মকার পল্টু প্রমুখ।
এ সময় বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজন প্রসঙ্গে গিয়াসউদ্দিন বলেন, এর উদ্দেশ্য হচ্ছে এই অঞ্চলের ছেলে-মেয়েরা বিভিন্ন স্কুলে অধ্যয়ন করছে। শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা যাচাই করে নিতে পারে এজন্য এই বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন।
এছাড়া স্কুলগুলোর মধ্যেও আভ্যন্তরীণ প্রতিযোগিতা হবে, শিক্ষার মান বাড়বে এবং শিক্ষার্থীরা বৃত্তি লাভের জন্য পড়ালেখায় বেশি মনোযোগী হবে। অর্থাৎ শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞানার্জন করার একটি বড় সুযোগ তৈরি হবে।
এছাড়া অনেকগুলো স্কুলের শিক্ষার্থীরা যখন একসাথে পরীক্ষা দেয় তখন তাদের পরীক্ষা দেয়ার সাহস বৃদ্ধি পায়। শিক্ষার্থীরা নিজেদের সম্পর্কে একটি পারিকল্পনা করে নিতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সাল থেকে ‘গিয়াসউদ্দিন শিক্ষা ফাউন্ডেশন’ বৃত্তি প্রদান শুরু হয়। এবছর ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩য় শ্রেণি ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত ১০৫ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়।