সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫   বৈশাখ ৮ ১৪৩২   ২২ শাওয়াল ১৪৪৬

২০২০ সালে ভিজ্যুয়াল এফেক্ট ও গেমসের বাজার হবে ২৭ হাজার কোটি ডলার

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৮:৫৮ পিএম, ৮ এপ্রিল ২০১৯ সোমবার

 ২০১৮-২০ সালের জন্য বাজারের এই পরিধি অনুমান করেছেন এইখাতের বিশেষজ্ঞরা। রিসার্চঅ্যান্ডমার্কেট ডটকম প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়। প্রতিবেদনটি জানায়, ২০১৮ সালে বৈশ্বিক অ্যানিমেশন শিল্পের বাজার ছিল ২৫ হাজার ৯শ কোটি ডলার। ২০২০ সালে যার পরিমাণ ২৭ হাজার কোটিতে উন্নীত হবে। কারণ, প্রতিবছর অ্যানিমেশন শিল্পের বিভিন্নখাত সার্বিকভাবে ২ শতাংশ হারে আয়প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে।

মূলত, এই শিল্পের প্রসারের পেছনে অবদান রেখেছে কেবল টিভি এবং স্যাটেলাইটভিত্তিক সম্প্রচার নেটওয়ার্ক। এছাড়াও, কম মূল্যের ইন্টারনেট সংযোগ এবং স্টিমিং ভিউ খরচ আরো বহু নতুন ভোক্তার কাছে কার্টুন, অ্যানিমে সিনেমা এবং ¯েপশাল এফেক্টস সমৃদ্ধ হলিউড সিনেমাগুলো পৌঁছে দিচ্ছে।

এছাড়াও, চলচ্চিত্র শিল্পে বিভিন্ন  রোমাঞ্চকর অ্যাকশন বা কাল্পনিক দৃশ্যের চিত্রায়নে অগমেন্টেড রিয়্যালিটি এবং ভার্চুয়াল রিয়ালিটির ব্যবহার বাড়ছে। বাড়ছে চাহিদাও। কারণ, নতুন সেট তৈরির চাইতে ক¤িপউটার জেনারেটেড ভিজ্যুয়াল এফেক্টস বা ভিএফএক্স নির্মাণের খরচ অনেক কম।

বিশ্বের স্বনামধন্য হইলিউড স্টুডিওগুলো তাই বিগত এক দশক ধরেই এগুলোর ব্যবহার বাড়িয়েছে। এছাড়াও, ক¤িপউটার এবং মোবাইল ফোন গেমিংয়ের বাজারেও রমরমা অবস্থান অ্যানিমেশন খাতের।

হলিউড সূত্রের বরাতে রিসার্চঅ্যান্ডমার্কেট ডটকম প্রতিবেদনটি জানায়, ভিএফএক্স একটি চলচ্চিত্রের নির্মাণ খরচ ২০-২৫ শতাংশ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, অনলাইনে নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইমের মতো কন্টেন্ট স্ট্রিমিং ব্যবস্থা দর্শকের পরিমাণ দিন দিন বাড়িয়ে চলেছে।

২০১৮ সালে শুধুমাত্র অ্যানিমে সিনেমার বাজার ছিলো ২৯০ কোটি ডলারের। যা বাৎসরিক ৮ শতাংশ হারে বাড়ছে। একই সময় বৈশ্বিক গেমিংবাজার ছিলো ৯ হাজার ৬শ কোটি ডলারের। যার সঙ্গে সঙ্গে বৈশ্বিক ইলেকট্রনিক ¯েপার্টিং বাৎসরিক ৩০ শতাংশ হারে বাড়ছে। ২০২০ সাল নাগাদ যা স্বতন্ত্রভাবেই আরেকটি শত কোটি ডলারের শিল্পে পরিণত হবে।