পশ্চিমতীর ফিলিস্তিনেরই
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:৫৭ পিএম, ৯ এপ্রিল ২০১৯ মঙ্গলবার
অবরুদ্ধ পশ্চিমতীর ফিলিস্তিনের ভূখন্ড বলে মন্তব্য করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। তিনি বলেন, তুরস্ক সবসময় ফিলিস্তিনের সঙ্গে থাকবে। পশ্চিমতীরে ইসরাইলি দ্বিতীয় ধাপে উন্নীত করা হবে বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর এই ঘোষণার জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন পশ্চিমতীরে বসতি স্থাপন দ্বিতীয় ধাপে উন্নীত করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমি আমাদের সার্বভৌমত্বের পরিধি বাড়াবো।’ নেতানিয়াহুর ঘোষণার জবাবে এরদোগান বলেন, পশ্চিমতীর ফিলিস্তিনের ভূখন্ড। সেখানে বসতি গড়া মানে ইসরাইলের অবৈধ দখলদারিত্বমূলক পদক্ষেপ। তুরস্ক সবসময়ই ফিলিস্তিনের পাশে রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অপর এক খবরে বলা হয়, পুনরায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে আরও ইহুদি বসতি গড়ার বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতিশ্রুতিকে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য বলে অভিহিত করেছে তুরস্ক। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসগলু বলেছেন, ইসরাইলের এ প্রয়াস গোটা মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি বিনষ্ট করবে এবং অশান্ত হয়ে উঠবে। পশ্চিমতীরে ইসরাইলি দখলদারিত্ব কখনোই মানবে না তুরস্ক। খবর ডেইলি সাবাহর। মেভলুত কাভুসগলু বলেন, পশ্চিমতীর হচ্ছে ফিলিস্তিনি ভূখন্ড। ১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে অঞ্চলটি দখল করে নেয় ইসরাইল। এর পর থেকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে অঞ্চলটিকে নিজের দখলে রেখেছে অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্রটি। নেতানিয়াহুর এ বক্তব্যে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ফিলিস্তিনি নেতৃবৃন্দ। জেনেভা কনভেনশন অনুসারে পশ্চিমতীরে ইসরাইলের বসতি স্থাপন অবৈধ। কারণ দখল করা ভূমিতে বসতি স্থাপনে আন্তর্জাতিক আইনে নিষেধ রয়েছে। কিন্তু ইসরাইলের বক্তব্য হচ্ছে- ঐতিহাসিক, নিরাপত্তা, রাজনৈতিক সংযোগ ও বাইবেলের বিবরণ অনুসারে তারা এ বসতি স্থাপন করছেন। ইসরাইলের প্রতি মার্কিন সমর্থনের কঠোর সমালোচনা করছে গত ১৬ বছর ধরে তুরস্ক শাসন করে আসা প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগানের একে পার্টি। ২০১৪ সাল থেকে ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনা স্থগিত অবস্থায় রয়েছে। পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছেন ফিলিস্তিনি নেতৃবৃন্দ। মেভলুত কাভুসগলু বলেন, পশ্চিম তীর হচ্ছে ফিলিস্তিনি ভূখন্ড। ১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে অঞ্চলটি দখল করে নেয় ইসরাইল। এরপর আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে অঞ্চলটিকে নিজের দখলে রেখেছে অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্রটি। তিনি বলেন, ইসরাইলি সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোট চাইতে নেতানিয়াহুর দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য এই সত্যে কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না। অধিকৃত গোলান মালভূমিতে যেভাবে নিজেদের সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করা হয়েছে, পশ্চিম তীরের ব্যাপারেও তেমনটি করা হচ্ছে না কেন প্রশ্ন করা হলে নেতানিয়াহু বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। শনিবার চ্যানেল টুয়েলভ নিউজ টেলিভিশনকে তিনি বলেন, অধিকৃত পশ্চিমতীরে আমি ইসরাইলি সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করতে যাচ্ছি। অবৈধ বসতি বøক ও বিচ্ছিন্ন বসতির মধ্যে আমি কোনো ফারাক দেখি না। নেতানিয়াহুর এ বক্তব্যে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ফিলিস্তিনি নেতৃবৃন্দ। আন্তর্জাতিক আইন সমুন্নত রাখতে বিশ্ব নেতারা ব্যর্থ হয়েছেন বলে তারা দাবি করছেন। রোববার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহীম কালিন এই বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি করেন। তিনি বলেন, পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলো কি এ ঘটনায় কোনো প্রতিক্রিয়া জানাবে কিংবা তারা উত্তেজনা কমাতে ভূমিকা রাখবে? জেনেভা কনভেনশন অনুসারে পশ্চিমতীরে ইসরাইলের বসতি স্থাপন অবৈধ। ডেইলি সাবাহ, রয়টার্স, আনাদোলু।