নেককার বান্দার ৩ আলামাত
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৬:২৯ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার
নেককার বান্দা কারা? কেমন অবস্থার সৃষ্টি হলে কিংবা অনুভূতি কেমন হলে বুঝবেন যে আপনি নেককার। তাদের চেনার বা নিজেকে নেককার বান্দা হিসেবে বুঝার উপায়ই বা কী?
নেককার বান্দার ৩টি হালত বা অবস্থার কথা তুলে ধরেছেন হজরত শাকিক বিন ইবরাহিম রাহমাতুল্লাহি আলাইহি। তাকে নেককাবার বান্দার হালত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এ ৩টি বিষয় তুলে ধরেন-
> প্রসিদ্ধ ও তাকওয়াবান আলেমের কাছে নিজের আমল ইবাদতের অবস্থা বর্ণনার পর যদি তিনি তাতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন, তবে বুঝতে হবে যে তিনি পুণ্যবান বা নেককার বান্দা। অতঃপর এ আমলের ধারা অব্যাহত রাখা।
>> জিনিস যত দামিই হোক কেন? কিংবা দুনিয়ার যত মূল্যবান সম্পদই হোক না কেন? যদি দামি ধন-সম্পদ দেখার পরও কারো মধ্যে সম্পদের লোভ বা আকর্ষন না জন্মে।তবে বুঝতে হবে তা নেককার বান্দার গুণ।
>> যে নিজের সামনে এ প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় যে, এক্ষুনি সে মৃত্যুবরণ করবে, আর তাতে নিজেকে মৃত্যুর জন্য উপযুক্ত ভাবে কিংবা মৃত্যুর সংবাদে স্বাচ্ছন্যবোধ করে বা মৃত্যুর জন্য সে প্রস্তুত। তবে বুঝতে হবে যে এ ব্যক্তির মাঝেও নেককার বান্দার গুণ বা স্বভাব রয়েছে।
সুতরাং নেককার বান্দার জন্য উল্লেখিত ৩টি হালত নিজের মধ্যে অর্জন করা জরুরি। যে কোনো সময় মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকা জরুরি।
যারাই এ গুণ ৩টি অর্জন করতে সক্ষম; তাদের উচিত মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করা এবং বেশি বেশি নিজের অক্ষমতা প্রকাশ করা। যেন কোনো ব্যক্তির আমলে রিয়া বা লোক দেখানো ইবাদত স্থান না পায়।
আর এ সব নেককার বান্দার জন্য রয়েছে অনেক সুসংবাদ। আল্লাহ তাআলার সে সুসংবাদ হলো-
> আর আল্লাহর নেককার বান্দা হওয়ার অন্যতম উপায় হলো তাকওয়া বা আল্লাহর ভয় অর্জন করা। যারা আল্লাহকে ভয় করে তারাই পাবে সর্বোচ্চ পুরস্কারের ঘোষণা। আল্লাহ বলেন, ‘কিন্তু যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। যার তলদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৯৩)
> ‘নিশ্চয় পুণ্যবানগণ তো থাকবে পরম সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে।’ (সুরা ইনফিতার : আয়াত ১৩)
> নিশ্চয় সৎকর্মশীলগণ পান করবে এমন পানীয় যার মিশ্রণ হবে কার্পুরের অর্থাৎ ঠাণ্ডা ও সুগন্ধযুক্ত।’ (সুরা ইনসান : আয়াত ৫)
>‘অবশ্যই পুণ্যবানদের আমলনামা থাকবে ইল্লিয়্যিনে।’ (সুরা আল মুতাফ্ফিফিন : আয়াত ১৮) এটা আরশের নিকটবর্তী স্থান।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রিয়ামুক্ত থেকে নিজেদের মধ্যে উল্লেখিত ৩টি হালত তৈরি করার তাওফিক দিন। আমিন।