প্যাপিলন গার্মেন্টস খুলে দিতে স্মারকলিপি প্রদান
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:৫৮ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার
সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত প্যাপিলন নীট এাপারেলস (প্রাঃ) লিঃ এর শ্রমিকরা বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া, ২ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধসহ ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে তারা সমাবেশ ও মিছিল করে, পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে।
সমাবেশে প্যাপিলন শ্রমিক মাজহারুলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম গোলক, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ-সভাপতি এমএ মিল্টন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট গাবতলী পুলিশ লাইন আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক হাসনাত কবীর, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সোহাগ, বিসিক শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ, কাঁচপুর শিল্পাঞ্চল শাখার সংগঠক সাইফুল ইসলাম, প্যাপিলন গার্মেন্টস এর শ্রমিক আনোয়ার, বেবী, রাজু ও হোসেন প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, প্যাপিলন গার্মেন্টস গত ২৯ মার্চ ২০১৯ তারিখে নোটিশ দিয়ে ৩০ ও ৩১ মার্চ ২দিন ছুটি ঘোষণা করে। শ্রমিকরা যথারীতি মেনে নেয়। পরবর্তীতে ১ এপ্রিল নিয়মতান্ত্রিকভাবে কাজে যোগদানের উদ্দেশ্যে কারখানায় যায়। কিন্তু মালিক কর্তৃপক্ষ একটি বে-আইনী নোটিশ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩(১) ধারা অনুযায়ী কারখানা গেটে তালা দিয়ে বন্ধ ঘোষণা করেন। গত ১১ দিন যাবৎ শ্রমিকরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে রাপজথে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। কিন্তু মালিক কর্তৃপক্ষ ১১ দফা দাবি নিয়ে শ্রমিকদের সাথে না বসে সংকট সমাধান করার জন্য কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, শ্রমিকরা তাদের সংকট সমাধানের জন্য গত ৪এপ্রিল মালিক বরাবরে, ২ এপ্রিল শ্রম অধিদপ্তর, ৩ এপ্রিল বিকেএমইএ বরাবর এবং ১০ এপ্রিল ইন্ড্রাষ্ট্রিয়াল পুলিশে-৪ বরাবর অভিযোগপত্র দিয়েছে। এই সংকট সমাধানে কেউ এগিয়ে এসেছে বলে পরিলক্ষিত হয়নি। শ্রমিকরা টাকা পয়সা না পাওয়ায় খুবই মানবেতর জীবন যাপন করছে। বর্তমানে শ্রমিকরা ঘর ভাড়া দিতে না পারায় বাড়িওয়ালা তাদেরকে ঘর থেকে বের করে দিচ্ছেন, ঘর তালাবদ্ধ করে রাখেছে। এমতবস্থায় শ্রমিকরা রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছে। বেতন না পাওয়ায় ঘর ভাড়া, দোকানের পাওনা টাকা পরিশোধ ও দৈনন্দিন জীবন যাপনের করতে পারছে না। কারখানার ৬ শতাধিক শ্রমিক মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এ সময় বক্তারা আরও বলেন, এই সংকট সমাধান করতে সকল প্রশাসনিক দপ্তর, মালিক ও মালিক প্রতিনিধির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, অন্যথায় এই আন্দোলন আরও বৃহত্তর পরিসরে ছড়িয়ে পড়বে। কোন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে শ্রমিকরা এর দায়ভার নেবে না।