চিত্তরঞ্জন খেয়াঘাটে যাত্রী ছাউনী, সিঁড়ি ও ঘাটলা নির্মাণের দাবি
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৮:৩০ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০১৯ শুক্রবার
প্রায় দুইশ’ বছরের প্রাচীন চিত্তরঞ্জন গুদারাঘাটে যাত্রী ছাউনী, সিঁড়ি ও ঘাটলা নেই। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এ ঘাট দিয়ে নদী পার হতে আসা প্রায় ১০টি এলাকার কয়েক হাজার লোক। প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীদের বাঁধার কারণে চিত্তরঞ্জন গুদারাঘাটে যাত্রী ছাউনী ও সিঁড়ি ঘাটলা নির্মাণ করতে পারছেনা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন।
যাত্রী ছাউনী ও সিঁড়ি ঘাটলা না থাকায় প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শত শত যাত্রী। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশী দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। ঘাটের আশে পাশে কোন স্থাপনা না থাকায় ঝড় বৃষ্টির সময় যাত্রীরা আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে।
যাত্রী ছাউনী , সিঁড়ি ঘাটলা ও জেটি নির্মাণের দাবিতে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) চিত্তরঞ্জন খেয়াঘাটে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।
শহীদুল্লাহ মাস্টারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা সফিউদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নূর হোসেন, ২৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আল আমিন, শাহজালাল শাহা, শ্রমিক নেতা নেছার উদ্দিন, আতাউর রহমান, নাসির হোসেন,হুমায়ুন কবির, তাওলাদ হোসেন, শামীম আহমেদ আশরাফুল ইসলাম, এস এম কবির উদ্দিন ও হাফেজ কবির হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, চিত্তরঞ্জন গুদারাঘাট নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন একটি খেয়াঘাট। ঘাটটি প্রায় দুইশ’ বছরের প্রাচীন। বন্দরের লাঙ্গলবন্দ, বারপাড়া, শাসনেরবাগ, ফনকুল, বৈরাগনীরপাড়, দাসেরগাঁ, পাতাকাটা ২৫ নং ওয়ার্ডের দেউলী চৌরাপাড়া, লক্ষণখোলা, ২৪ নং ওয়ার্ডের আমিরাবাদ ও বক্তারকান্দি এলাকার কয়েক হাজার লোক এ ঘাট দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন।
বক্তারা উল্লেখ করেন, ৫ বছর আগে ঘাটের পূর্ব পাড়ে সিঁড়ি ঘাটলা এবং যাত্রী ছাউনী নির্মাণ করে সিটি করপোরেশন। এরপর পশ্চিম পাড়ে সিঁড়ি ঘাটলা ও যাত্রী ছাউনী নির্মাণের উদ্যোগ নেয় নাসিক। কিন্তু প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীদের বাধার মুখে সিঁড়ি ঘাটলা ও যাত্রী ছাউনী নির্মাণ করা যায়নি। অবিলম্বে জেটি, যাত্রী ছাউনী ও সিঁড়ি ঘাটলা নির্মাণের দাবি জানান তারা।