টেইলর সুইফট-র পছন্দ-অপছন্দ, জানা-অজানা
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০১:১৫ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৯ শুক্রবার
টেইলর সুইফট। অধুনিক পপ মিউজিকে অন্যতম এক নাম। তবে গানের একটি স্তরে নয় তিনি পদচারণ করেছেন বিভিন্নস্তরে। অর্থাৎ শুধু ভোকালে নয় বরং তিনি লিখেছেন গানও, একইসঙ্গে বাজিয়েছেন গিটার, পিয়ানো, ইউকুলেলে এবং ব্যাঞ্জর মত বাদ্যযন্ত্র। টেইলর সুইফট তার এই নানামুখী প্রতিভার জন্য বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।
এর আগে, মার্কিন এই গায়িকা (টেইলর) খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পপ সঙ্গীত সাম্রাজ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। একের পর এক গান গেয়ে নিজের দ্যুতি ছড়িয়েছেন। তার ঝুলিতে অ্যাওয়ার্ডের পরিমানও কিন্তু কম নয়। নিজের যোগ্যতার বিনিময়ে অর্জন করেছেন একের পর এই অ্যাওয়ার্ডগুলো।
তাই আজ ডেইলি বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য থাকছে এই কালজয়ী পপ তারকার জানা-অজানা সব তথ্য। যা দর্শক হিসেবে আপনারই জানা উচিত।
টেইলর সুইফট জন্মগ্রহণ করেন ১৯৮৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর। এরপর তিনি তার শৈশব কাটান পেনসিল্ভেনিয়ার মন্টগোমেট্রিতে তার পরিবারের সঙ্গে। টেইলরের দাদি একজন প্রফেশনাল অপেরা সিঙ্গার ছিলেন। যে কারণে এই গায়িকাও ছোটবেলা থেকেই সংগীতের ওপর ভীষণ আগ্রহী হয়ে বেড়ে উঠেন।
এই সংগীত শিল্পীর টেইলর নামটি মূলত মার্কিন পুরুষদের নাম। কিন্তু তার মা এড্রিনা নিজেই মেয়ের নাম টেইলর রাখেন, যাতে নাম দেখেই সহজেই টেইলরের লিঙ্গ বিবেচনা না করতে পারে মানুষজন।
টেইলর বিভিন্ন আঞ্চলিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করা শুরু করেন শৈশব কাল থেকে। মাত্র ১১ বছর বয়সে তিনি পেনসিলভেনিয়ার আঞ্চলিক ট্যালেন্ট শো বিগ ডিলের চ্যাম্পিয়ন হন। এরপর থেকে ওই অঞ্চলের সকলের কাছে তিনি পরিচিত হয়ে উঠেন।
এরপর এক বছরের মাথায় অর্থাৎ ১২ বছর বয়সে একজন মেকানিক টেইলর সুইফটকে গিটারে ৩ টি কর্ড ধরা শিখায়। সেখান থেকেই তিনি গিটারের প্রতি আরো আগ্রহী হয়ে উঠেন এবং একইসঙ্গে গান লেখাও শুরু করেন। তার হাতের লেখা প্রথম গান ছিল ‘লাকি ইউ’।
এদিকে ওই বছরই টেইলর শুধু গান লিখেই ক্ষান্ত হননি বরং উপন্যাসও লেখেছিলেন। তার লেখা ৩৫০ পৃষ্ঠার এই উপন্যাসটি এখনো প্রকাশিত হয়নি।
প্রতিভাবান টেইলর শুধু গিটার, পিয়ানো এবং ব্যাঞ্জ বাজিয়েই শান্ত থাকেননি বরং টেইলর ভাল আঁকেনও। তার হাতের আঁকা ছবি দেখলে আপনিও অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবেন, মনে হবে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি আঁকা শিখেছেন।
তার মধ্যে পরিবর্তন আসে ফেইথ হিলে ‘বিহাইন্ড মিউজিক স্পেশাল’ নামক একটি প্রোগ্রাম দেখে। ওই দিন তিনি বুঝতে পারেন, মিউজিকে তার ক্যরিয়ার গড়তে হলে পেনসিলভেনিয়া ছেড়ে টেনেসির নাসভেলিতে যেতে হবে এবং ১৪ বছর বয়সে টেইলর তার পরিবার সহ নাসভেলিতে বসবাস শুরু করেন।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই টেইলর মাইস্পেসে নিজের ফ্যানবেস তৈরি করতে থাকেন। যা তৎকালীন সময়ে পুরোপুরি ইউনিক আইডিয়া বলা চলে।
এদিকে, ২০০৫ সালে একজন সাংবাদিক টেইলরকে বলেছিলেন, গায়িকা হতে ব্যর্থ হলে আপনি অবশ্য চুলের মডেল হতে পারবেন। এই কথা শোনার পর তিনি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন। এরপর ২০১২ সালে এসে ওই সাংবাদিকই টেইলরের কাছে ক্ষমা চান।
টেইলর নাসভেলির ব্লু-বার্ড কেয়ারে পারফর্ম করেন ২০০৬ সালে এবং তার এই পারফর্মে মুগ্ধ হয়ে বিগ মেশিন রেকর্ডস এর মালিক একটি অ্যালবামের কন্ট্র্যাক্ট সাইন করেন।
টেইলর আরেক জনপ্রিয় মডেল ও সংগীত শিল্পী সেলেনা গোমেজ দু’জনই খুব ভালো বান্ধবী। এটা হয়ত অনেকের অজানা।
টেইলরের প্রথম গান ‘টিম ম্যাকগ্রো’ মুক্তি পায় ২০০৬ সালে, ওই বছরের মার্কিন টপ টেনে স্থান পায় গানটি এবং একই বছর মুক্তি পায় তার প্রথম এলবাম, যা প্রায় ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়।
টেইলর বাসায় থাকা অবস্থায় কখনো কন্ট্র্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন না বরং তিনি চশমা ব্যবহার করেন।
টেইলরের একটি ছয় বেডরুম বিশিষ্ট গ্রীষ্মকালীন বাড়ি রয়েছে, যা আইল্যান্ডের সমুদ্রতীরবর্তী ওয়াচ হিলে অবস্থিত। এছাড়াও ন্যাশভ্যলিতে টেইলরের প্রাইভেট জেট ডেসাল্ট ফ্যালকন ৯০০’র জন্য নিজস্ব হ্যাংগার রয়েছে।
মাত্র ২০ বছর বয়সে টেইলর সুইফট গ্রামী অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। এত কম বয়সে এর আগে কেউ এই অ্যাওয়ার্ড পাননি।
টেইলর বিলবোর্ডের ‘ওম্যান ওফ দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হন মাত্র ২১ বছর বয়সে ২০১১ সালে এবং এরপরের বছরই তৎকালীন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা তাকে সহযোগিতার মনোভাবের জন্য ‘বিগ হেল্প অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত করেন।
এছাড়াও ক্যারিয়ার জীবনে টেইলর সিনেমায় অভিনয়ও করেন। তাকে ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ সিনেমায় দেখা গেছে।
‘টু কিল এ মকিং বার্ড’ বইটি ছিল টেইলরের জীবনের সবচেয়ে সেরা পছন্দের বই।
টেইলর খাদ্যের মধ্যে চিজ কেক আর ড্রেসের সঙ্গে কাউবয় বুট পড়তে পছন্দ করেন।
টেইলর সুইফটের লাকি নাম্বার ১৩ (তের)।