ফজর ও এশার জামাতের গুরত্ব
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০১:২১ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৯ শুক্রবার
নবি করীম (সা.) বলেছেন, ‘ফজর ও এশার নামাজ মুনাফিকদের জন্য খুবই কষ্টকর। এ নামাজ দু‘টি জামাতে আদায় করায় কত যে পুন্য রয়েছে, তা যদি লোকেরা জানতে পারত, তবে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও জামাতে শরীক হত’। (বুখারী ও মুসলিম)।
হজরত ইবনে ওমর (রা.) বলেন, আমাদের মধ্যে কেউ যদি এশা ও ফজরের জামাতে উপস্থিত না হত, তবে আমরা মনে করতাম, হয়ত সে মুনাফিক হয়ে গেছে । (তিবরানী, ইবনে খুযায়মা)।
শাইখ উবায়দুল্লাহ বিন ওমর কাওয়ারীরী (রহ.) বলেন, ‘এশার নামাজ জামাতে পড়তে আমার কখনো ভুল হয়নি। এক রাতে আমার বাড়িতে এক মেহমান আসলেন।
তাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এশার জামাতে শরীক হতে পারিনি। বসরা শহরের সকল মসজিদে তালাশ করে দেখলাম, সবাই এশার নামাজ পড়ে মসজিদগুলো বন্ধ করে দিয়েছে । রাসূর (সা.) বলেছেন, ‘একাকী নামাজের চেয়ে জামাতের নামাজে ২৭ গুন সওয়াব’। অতএব বাড়ি ফিরে আমি ২৭ বার এশার নামাজ পড়লাম। রাতে স্বপ্নে দেখলাম। আমি এক ঘোড় সওয়ার দলের সঙ্গে ঘোড় দৗড়ের প্রতিযোগিতা করছি কিন্তু আমি সবার পেছনে পড়ে যাচ্ছি। তাদের একজন বলল, তুমি আমাদেরকে কখনোই ধরতে পারবে না। কেননা আমরা এশার নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করেছি । আর তুমি একাকী আদায় করেছ’।