রোববার   ১৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৩ ১৪৩১   ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিচিত্র অভিজ্ঞতায় তাদের আনন্দ ভ্রমণ

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১০:৩০ এএম, ২০ এপ্রিল ২০১৯ শনিবার

 

প্রায় পুরো দেশটাই চষে বেড়াচ্ছেন সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী ও পার্থ বড়ুয়া এবং অভিনেত্রী তারিন। এ বুঝি তাদের আনন্দ ভ্রমণ।


২৯ মার্চ চট্টগ্রাম থেকে শুরু তাদের এই সফর। এরপর কুমিল্লা, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, রংপুর হয়ে গতকাল (১৮ এপ্রিল) সারাদিন কাটালেন রাজশাহীতে। যার পদচিহ্ন পাওয়া যায় ফেসবুকে তাদের দেয়াল ঘাঁটলেই। স্পষ্ট, তাদের এই জার্নি বেশ বৈচিত্র্যময় আর বিচিত্র অভিজ্ঞতায় ঠাসা ।
রাজশাহীর পথে টমটম চালাচ্ছেন পার্থ বড়ুয়া, যাত্রী তারিন ও ফাহমিদা নবীএই যেমন, গতকালই (১৮ এপ্রিল) রাজশাহীর সড়কে দেখা গেল পার্থ বড়ুয়াকে টমটম চালকের ভূমিকায়! তার পেছনে সওয়ার হয়েছেন ফাহমিদা নবী ও তারিন।
তাদের এই আনন্দ ভ্রমণের পেছনে রয়েছে একটি মহান উদ্দেশ্য। সেটি হলো, হেঁসেল ঘর থেকে বের করে বাংলার গৃহিণীদের গানের মঞ্চে তুলে আনার অন্যরকম চেষ্টা। যেমনটা এই বাংলায় আগে আর ঘটেনি। আর এই আয়োজনের মূল তিন বিচারক হিসেবে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন বড় একটি টিম নিয়ে- ফাহমিদা নবী, পার্থ বড়ুয়া ও তারিন জাহান।
পুরো আয়োজনটির নাম ‘সিলন সুপার সিঙ্গার’। গৃহিণীদের নিয়ে এই মিউজিক্যাল রিয়েলিটি শো’টি নির্মাণ করছেন তানভীর খান। যিনি এর আগেও নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন ‘ক্লোজআপ ওয়ান- তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’ রিয়েলিটি শো দিয়ে। বিরতি শেষে আবারও তিনি চমকে দেবেন, এটুকু আগাম অনুমান করা যায়।
তার ভাষায়, ‘আমরা চেষ্টা করছি গৃহিণীদের নিয়ে একটি সত্যিকারের রিয়েলিটি শো করার। এমন কিছু করতে চাই না, যেটা দেখে মনে হবে- সব সাজানো, রিয়েলিটি বলে কিছু নেই! সে জন্যই ২৯ মার্চ থেকে তিনজন মূল বিচারকসহ দেশের উল্লেখযোগ্য শিল্পী-সুরকারদের নিয়ে আমরা প্রায় পুরোদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছি। চেষ্টা করছি, একজন যোগ্য গৃহিণীও যেন বাদ না পড়েন।’
তানভীর খান জানান, চলমান সিলেকশন রাউন্ডের এই কাজ চলতি সপ্তাহে শেষ হবে বরিশালে গিয়ে। তার আগে যাবেন খুলনাতেও।  
‘সিলন সুপার সিঙ্গার’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আসা গৃহিণীদের গান শুনে অবাক অভিজ্ঞতা হয়েছে ফাহমিদা নবীর। তিনি বলেন, ‘এই আয়োজনে গৃহিণীদের অংশগ্রহণ দেখে ও তাদের কণ্ঠে গান শুনে রীতিমতো অবাক হয়েছি। মনে হয়, এমন একটি অনুষ্ঠানের জন্য তারা অপেক্ষায় ছিলেন! সংসার জীবনের শত ব্যস্ততার মাঝেও, গানের প্রতি তাদের এই আগ্রহ সত্যিই বিস্ময়কর। বেশিরভাগ প্রতিযোগী চমৎকার কণ্ঠে আমাদের শুনিয়ে যাচ্ছেন। এত সুরেলা কণ্ঠ থেকে অল্প কয়েকজনকে নির্বাচন করে ঢাকায় নেওয়া, সত্যিই কষ্টকর।’
কাজের ফাঁকে সিলেটে মাছ ধরছিলেন তিন বিচারক এদিকে পার্থ বড়ুয়া জানান, চট্টগ্রামের অডিশনে পঞ্চাশ বছর বসয়ী এক গৃহিণীকে তারা ঢাকায় আসার ইয়েস কার্ড দিতে বাধ্য হয়েছেন! কারণ, তার গানের কণ্ঠ এক কথায় অসাধারণ।
তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গৃহিণীরা সংসার সামলানোর পাশাপাশি গানেও সমান প্রতিভা রাখেন- সেটি এবার পুরো জাতি দেখবে এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে। চলমান অডিশনে এসে তারই আলামত দেখছি আমরা।’
সিলন চা কর্তৃপক্ষ জানান, এই আসরের বিজয়ী গৃহিণী পাবেন ২০ লাখ টাকা। আর প্রথম রানারআপ ও দ্বিতীয় রানারআপ পাবেন যথাক্রমে ১০ লাখ ও ৫ লাখ টাকা।  
২০ থেকে ৫০ বছর বয়সী বিবাহিত নারীরাই এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারছেন।
প্রযোজক তানভীর খান জানান, চলমান সিলেকশন রাউন্ড এনটিভিতে সম্প্রচার শুরু হবে আসছে ঈদের পরপরই।অনুষ্ঠানের সেটে তিন বিচারক