রোববার   ১৭ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ৩ ১৪৩১   ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিচারকদের মন জয় করলো নোবেল, ক্ষুদ্ধ তার ভক্তকূল!

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৩:৩৫ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০১৯ সোমবার

বাংলাদেশের দেশে ছেলে মাইনুল আহসান নোবেল। কোলকাতার জনপ্রিয় শো ‘সা রে গা মা পা’-তে নিজের কণ্ঠ দিয়ে মাতিয়ে চলেছেন তিনি। আর তাই কোলকাতার থেকে বাংলাদেশে তার ভক্তের সংখ্যা বেশি। 

কিন্তু শনিবার রাত ঘটলো ভিন্ন ঘটনা। এদিন নোবেলের সঙ্গে অনুষ্ঠানের বিচারকের আচরণ মেনে নিতে পারেনি তার ভক্তকূল। বিশেষ করে নোবেলের বাংলাদেশি দর্শকরা বিচারকের এমন আচরণের কারণে ক্ষোভও প্রকাশ করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

নোবেল নিজের গায়কী দিয়ে বিচারকদের মন জয় করলেও বিচারকরা তার প্রশংসা করে এক নম্বর কেটে ফেলেছেন। আর এতেই দর্শকদের ক্ষোভ যেন উপচে পড়ছে।

সা রে গা মা পা’র ফেসবুকে পেইজে চলছে নানা ধরনের সমালোচনা। সাইফুল ইসলাম সোহেল নামে একজন লিখেছেন, সারেগামাপা তে সবাই নোবেলের গানের খুব প্রশংসা করলো এবং কেউ কোন ভূল ধরলোনা। কোথাও কোন কিছু কমবেশি হয়েছে সেটাও বললো না। কিন্তু শ্রিকান্ত আচার্য ওকে ১ নাম্বার কম দিল। আর ওর সঙ্গে যে ছেলেটা কণ্ঠ দিলো তার ভুল হয়েছে একথা বলার পরও ৯ দিলো । কোন যুক্তি আছে এসবের। তবে আসল ব্যপার হচ্ছে এ অনুষ্ঠান থেকে নোবেল যা কিছু পেতে পারতো, তারও অনেক বেশি পেয়ে গেছে।

তাই এখন আর গোল্ডেন গিটার, চ্যাম্পিয়ান এসবের আর দরকার নেই। একজন শিল্পীর জীবনে সবচাইতে বড় পাওয়া হচ্ছে মানুষের ভালোবাসা। যা কোন প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ান, গোল্ডেন গিটার সবকিছুর উর্ধে। আর দুই বাংলাতেই মানুষ তাকে সেই ভালোবাসা দিচ্ছে। যা ওকে নিয়ে এতো মাতামাতির কারনে সবাই টের পাচ্ছে।

প্রেরণা মজুমদার নামে একজন লিখেছেন, নোবেল নাম্বারের সীমা ছাড়িয়ে গেছে অনেক আগেই, আচার্য্য বাবুর ১ নাম্বার দেবার অপেক্ষায় নোবেল বসে নেই, থাকবেও না। কিন্তু ভালো গাওয়ার পরও যখন কম নাম্বার দেওয়া হয় তখন নোবেল ভক্তদের বুক ফেটে যায়।

নোবেলকে ১ নম্বর কম দেয়া বিচারক শ্রীকান্ত আচার্যকে খোঁচা দিয়ে আনিকা নামের একজন লিখেছেন, আজকে বুড়া জাজ টা ইচ্ছা করে নোবেল কে ১ নম্বর কম দিলো! দুটো গান ই নোবেল অসাধারণ গেয়েছে। তাও ১০ এ ১০ দিলো না!

উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে মইনুল আহসান নোবেল কলকাতার জনপ্রিয় নির্মাতা সৃজিতের একটি চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেছেন।