ঠিকমতো খাবার ও যাতায়াত ভাড়াও পায় না নৃত্যশিল্পীরা : তারিন
বিনোদন ডেস্ক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৫:২৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৯ সোমবার
শরীর, ছন্দ, আত্মা, মন, সংগীতের মিশ্রণে নান্দনিক ছন্দিত শরীরী প্রতিমাই হলো নৃত্য। কিংবদন্তি নৃত্যশিল্পী মার্থা গ্রাহাম বলেছেন, নৃত্য হলো লুকিয়ে থাকা আত্মার ভাষা।’ আজ নৃত্য দিবস। সারা বিশ্বে প্রতি বছরের ২৯ এপ্রিল নানা উৎসব-আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হয়ে আসেছে।
১৯৯২ সালে দিবসটি ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করে এই দিবস। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৫ সাল থেকে বাংলাদেশেও পালিত হয়ে আসছে ‘নৃত্য দিবস’। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা, সম্মাননা প্রদান ও নৃত্যানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী দিবসটি উদযাপন করছে দেশের নৃত্য সংগঠনগুলো। এই দিনে নৃত্যশিল্পীদের নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী, মডেল ও নৃত্যশিল্পী তারিন জাহান।
তারিন জাহান ১৯৮৫ সালে জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগীতা ‘নতুন কুঁড়ি’ তে অংশ গ্রহন করে অভিনয়, নাচ এবং গল্প বলাতে প্রথম হন। নাচের প্রতি আগ্রহ দেখে মা তাহমিনা বেগম সাড়ে তিন বছরের তারিন কে ভর্তি করিয়ে দেন তপন দাস গুপ্তার কাছে। ১৯৮২ সালে তিনি নাচ শেখা শুরু করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি প্রথম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি নৃত্য পরিবেশন করেন। অভিনেত্রীর পাশাপাশি নৃত্যশিল্পী হিসেবেও বেশ জনপ্রিয় তারিন।
এখনও নিয়মিত নাচের অনুষ্ঠানে দেখা মেলে তার। নৃত্য দিবেসে অনেকটা আক্ষেপ করেই তারিন বললেন, ‘যে কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কিংবা উৎসব উৎযাপনে নৃত্য পরিবেশন অপরিহার্য , নৃত্য ছাড়া কোনো অনুষ্ঠান যেন অসম্পূর্ণ থেকে যাই , অথচ এই নৃত্যের প্রতি , নৃত্য শিল্পীদের যথার্থ সম্মান কি দেয়া হয় যেটা তাদের প্রাপ্য?
অনেক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠাতে দেখি নৃত্যের ছড়াছড়ি কিন্তু নৃত্যশিল্পী কিংবা নৃত্য পরিচালকের কোনো ক্যাটাগরি নেই , তাদের পুরস্কৃত করা হয় না। অথচ গান, নাটক ,অভিনয়ে পুরস্কার থাকে। এটাকে কি বলবো অসম্মান নাকি অবহেলা ?
ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি ডান্স গ্রুপের ছেলে মেয়েদের আয়োজকরা কতটা অবহেলা করেন, তাদের অনেক সময় সারা দিন বসিয়ে রাখেন, ঠিক মতো খাবার, তাদের যাতায়াতের ব্যবস্থাও থাকেনা ,এতো অবহেলা সহ্য করেও অনেক নৃত্যশিল্পী শুধু নাচ কে ভালোবেসে নীরবে কাজ করে যায়, অনেকে অভিমান কিংবা কষ্ট নিয়ে নাচ থেকে দূরে সরে গেছেন।
কবে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন আসবে জানিনা , তবে প্রত্যেকটি শিল্পী , শিল্পমাধ্যমের প্রতি আমরা যথার্থ সম্মান যেন প্রদর্শন করতে পারি সেই মন মানসিকতা সবের মাঝে তৈরী হোক। আমার সকল নৃত্যগুরু, শিক্ষকের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা ,শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।’