রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১১:৩৩ এএম, ৫ মে ২০১৯ রোববার

বছর ঘুরে আবার আসছে মুসলিমদের বরকতময় মাস পবিত্র মাহে রমজান। এ মাসের প্রতিটি দিন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যে সুবহে সাদিক থেকে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার ও ইন্দ্রিয় তৃপ্তি থেকে বিরত থেকে সাওম বা রোজা পালন করেন মুসলমানেরা। 

রোজার কোনো প্রকার ক্ষতি না হয় বা রোজা যেনো ভেঙে না যায় সেজন্য রোজাদারকে বেশ কিছু বিষয় মেনে চলতে হয়।  যে সমস্ত কারণে রোজার ক্ষতি হতে পারে বা রোজা ভেঙ্গে যেতে পারে তেমনি কিছু বিষয় জেনে নেওয়া যাক।

পানাহার বা ধূমপান:

কেউ যদি রোজা থাকা অবস্থায় কোন প্রকার পানাহার বা ধূমপান করে তাহলে নিঃসন্দেহে তা রোজা ভঙ্গের একটি কারণ হবে। ডুবে ডুবে পানি খাওয়ার মতো করে যদি কেউ সবার অজান্তে লুকিয়ে পানাহার করে সেক্ষেত্রেও রোজা ভেঙ্গে যাবে। কারণ আর কেউ না দেখুক, আল্লাহ তাআলা ঠিকই দেখছেন। তবে কেউ যদি অনিচ্ছাকৃত ভাবে পানি বা অন্য কোন খাবার খেয়ে ফেলে তাহলে রোজা ভাঙ্গবে না।

ওযু করার সময় অসর্তক হলে:

ওযু করার সময় গড়গড়া করা যাবে না। আর নাকে পানি দেওয়ার সময় সাবধান থাকতে হবে যেন পানি ভেতরে চলে না যায়। ইচ্ছাকৃত ভাবে পানি ঢোকালে রোজা ভেঙ্গে যাবে, অনিচ্ছাকৃত হলে সেটা আলাদা।

স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হলে:

রোজা রাখা মানে শুধু পানাহার থেকে না, ইন্দ্রীয় তৃপ্তি থেকেও নিজেকে বিরত রাখা। সেই অর্থে রোজা থাকা অবস্থায় যদি কেউ সহবাস করে তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। এক্ষেত্রে তাকে কাজা ও কাফফারা দুটোই করতে হবে।

হস্তমৈথুন:

হস্তমৈথুন বা অন্য কোনভাবে যদি কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে বীর্যপাত ঘটায় তাহলে তা রোজা ভঙ্গের কারণ হবে। এক্ষেত্রে যদি কেউ কামভাবে স্ত্রীকে স্পর্শ করার মাধ্যমেও বীর্যপাত ঘটায় তাহলেও রোজা ভেঙ্গে যাবে। তবে স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাঙ্গবে না।

বমি করলে:

অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি হয়ে থাকে তাহলে তাতে কোন সমস্যা নেই। অনিচ্ছাকৃত বমি হলে রোজা ভেঙে যায় না। বমি করার পর সমস্ত মুখ ভালো করে পানি দিয়ে কুলি করে ধুয়ে নিতে হবে। যেন মুখের কোথাও বিন্দুমাত্র খাবারের কণা জমে না থাকে।

ঋতুস্রাব:

রোজা রাখা অবস্থায় যদি মহিলাদের মাসিকের রক্ত দেখা দেয় তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। এমনিভাবে প্রসবজনিত রক্ত প্রবাহিত হতে থাকলে রোজা নষ্ট হয়ে যায়। এক্ষেত্রে যে কয়টি রোজা নষ্ট হবে সে কয়টি পরে কাজা করে নিতে হবে।

শক্তিবর্ধক ইনজেকশন:

ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে জীবনী শক্তি বৃদ্ধি করার জন্যে কিংবা অন্য কোন কারণে শরীরে ওষুধ প্রবেশ করানো হলে রোজা ভেঙে যাবে।