দোয়ার জন্য ক্বিবলামুখী হওয়া কিংবা ওজু শর্ত নয়
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৩:৫৫ পিএম, ৬ মে ২০১৯ সোমবার
আল্লাহর কাছে আমরা যেকোনো মুহুর্তে চাইতে পারি। সেজন্য ক্বিবলামুখী কিংবা ওজু করতে হবে এমন কোনো শর্ত নাই। তো আসুন এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিই।
সালাতের বাইরে যেকোনো সময়ে বান্দা তার প্রভুর নিকটে যেকোনো ভাষায় দোয়া করবে। তবে হাদীসের দোয়াই উত্তম। বান্দা হাত তুলে একাকী নিরিবিলি কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তার হাত খালি ফিরিয়ে দিতে লজ্জা বোধ করেন।
খোলা দু’হস্ত তালু একত্রিত করে চেহারা বরাবর সামনে রেখে দোয়া করবে। দোয়া শেষে মুখ মাসাহ করার হাদীছ যঈফ। বরং উঠানো অবস্থায় দোয়া শেষে হাত ছেড়ে দিবে।
(১) রাসূলুল্লাহ (সা.) স্বীয় উম্মতের জন্য আল্লাহর নিকট হাত উঠিয়ে একাকী কেঁদে কেঁদে দোয়া করেছেন।
(২) বদরের যুদ্ধের দিন তিনি ক্বিবলামুখী হয়ে আল্লাহর নিকটে একাকী হাত তুলে কাতর কণ্ঠে দোয়া করেছিলেন।
(৩) বনু জাযীমা গোত্রের কিছু লোক ভুলক্রমে নিহত হওয়ায় মর্মাহত হয়ে রাসূলুল্লাহ (সা.) একাকী দু’বার হাত উঠিয়ে আল্লাহর নিকটে ক্ষমা চেয়েছিলেন।
(৪) আওত্বাস যুদ্ধে আবু মূসা আশ‘আরী (রা.) এর নিহত ভাতিজা দলনেতা আবু ‘আমের আশ‘আরী (রা.) এর জন্য ওযূ করে দু’হাত তুলে একাকী দোয়া করেছিলেন।
(৫) তিনি দাওস কওমের হেদায়াতের জন্য ক্বিবলামুখী হয়ে একাকী দু’হাত তুলে দোয়া করেছেন।
এতদ্ব্যতীত
(৬) হজ ও ওমরাহ কালে সাঈ করার সময় ‘ছাফা’ পাহাড়ে উঠে কাবার দিকে মুখ ফিরিয়ে দু’হাত তুলে দোয়া করা।
(৭) আরাফার ময়দানে একাকী দু’হাত তুলে দোয়া করা।
(৮) ১ম ও ২য় জামরায় কংকর নিক্ষেপের পর একটু দূরে সরে গিয়ে ক্বিবলামুখী হয়ে দু’হাত তুলে দোয়া করা।
(৯) মুসাফির অবস্থায় হাত তুলে দোয়া করা।
তাছাড়া জুমা ও ঈদায়েনের খুৎবায় বা অন্যান্য সভা ও সম্মেলনে একজন দোয়া করলে অন্যেরা (দু’হাত তোলা ছাড়াই) কেবল ‘আমীন’ বলবেন। এমনকি একজন দোয়া করলে অন্যজন সেই সঙ্গে ‘আমীন’ বলতে পারেন।
উল্লেখ্য যে, দোয়ার জন্য সর্বদা ওজু করা, ক্বিবলামুখী হওয়া এবং দু’হাত তোলা শর্ত নয়। বরং বান্দা যেকোনো সময় যেকোনো অবস্থায় আল্লাহর নিকটে প্রার্থনা করবে।
যেমন: খানাপিনা, পেশাব-পায়খানা, বাড়ীতে ও সফরে সর্বদা বিভিন্ন দোয়া করা হয়ে থাকে। আর আল্লাহ যেকোনো সময় যেকোনো অবস্থায় তাঁকে আহ্ববান করার জন্য বান্দার প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।