ইসলামে মুহাজির ও আনসারদের ঐতিহাসিক ভ্রাতৃত্ববন্ধন
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৩:৫৬ পিএম, ৬ মে ২০১৯ সোমবার
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতিটি কাজ-কর্ম ছিলো গুরুত্বপূর্ণ।
সীরাতের যেকোনো ঘটনা পড়লে বা দেখলে, তা হতে উপদেশ অর্জিত হয়। জীবনের সকল সমস্যা ও সর্ব বিষয়ের দিক-নির্দেশনা পাওয়া যায়। কিন্তু এমন কিছু ঘটনা রয়েছে, যা কেবল একক বৈশিষ্ট্যের দাবিদার। সমস্যা সমাধানের মহৌষধ। এমন ঘটনার একটি হলো ভ্রাতৃবন্ধন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবুওয়াতের পর তিন বছর গোপনে দীনের দাওয়াত দেন। এরপর আল্লাহর নির্দেশে সাফা পাহাড়ে আরোহন করে নিজের নবী হওয়ার ঘোষণা করেন। এক আল্লাহর ইবাদাতের প্রতি আহ্বান করেন। মক্কাবাসীর তখন আনন্দিত হওয়া উচিত ছিলো। কারণ, যে ইজ্জত-সম্মান এতো দিন বনী ইসরাঈলের ছিলো, তা এখন বনী ইসমাঈলের ভাগ্যে জুটলো। কিন্তু তারা নবুওয়াতের এই প্রদীপ দ্বারা দিল ও চক্ষুর অন্ধকার দূর করার পরিবর্তে স্বীয় চোখে অবাধ্যতা এবং বিরোধিতার কালো পট্টি বাঁধলো। তখন এমন লোক খুব কমই ছিলো, যাদের স্বচ্ছমেধা তাদের ঈমানের আলোয় আলোকিত করতে পেরেছে।
ঈমান এনে সৌভাগ্যবান হয়েছিল, এমন লোকদের সঠিক সংখ্যা বলা সম্ভব না হলেও এতটুকু বলা যায়, তাদের সংখ্যা শতাধিক ছিলো। তাদের মাঝে ধনী ছিল। গরিব ছিল। আবার এমন লোকও, যাদের ঘাড়ে ছিল গোলামির শিকল। অনেকে আবার ধনাঢ্য মুসলিমদের সহায়তায় গোলামি থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। এরপরেও আরবে তাদের তুচ্ছ মনে করা হতো। তাদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হতো। সব ধরনের নির্যাতন করা হতো। কিন্তু তারা সবর, দৃঢ়তা এবং আল্লাহর ওপর ভরসা করে নিজেদের ঈমান রক্ষা করেছিলেন। যখন কষ্ট দেয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কেরামকে হাবশায় হিজরত করার অনুমতি দিলেন। সেখানে একজন দয়ালু খ্রিষ্টান বাদশাহর রাজত্ব ছিলো। প্রায় আশিজন সাহাবি হাবশায় হিজরত করেন।
তখনো মুসলমানদের বড় একটি অংশ গোপনে মক্কাতেই অবস্থান করছিলেন। তারা প্রকাশ্যে নামাজ আদায় করতেন না। কোরআন তেলাওয়াত করতেন না। অনেকে স্বীয় ইসলাম গ্রহণকে প্রকাশ করেননি। মুখেমুখে একে অপরের কাছে কথা পৌঁছাতেন। পরস্পর সম্পর্ক রাখতেন। একত্রিত হওয়ার দরকার হলে কোনো নির্জন জায়গায় একত্রিত হতেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয় সাহাবি হজরত আরকাম রাযিআল্লাহু আনহু-এর বাড়ি ছিলো সাফা পাহাড়ে। তা মক্কার অন্যান্য জায়গার থেকে আলাদা ছিলো। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে যেতেন। নামাজ আদায় করতেন এবং সাহাবায়ে কেরামকে ধর্মীয় বিষয়ে শিক্ষা দিতেন।
পরিশেষে আল্লাহ তায়ালা মদিনাবাসীদের অন্তরকে ঈমানের পবিত্র বৃক্ষের জন্য মনোনীত করলেন। তারা তিন বছরে হজের সুবাদে পৃথকভাবে গোপনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে ইসলাম গ্রহণ করলেন। আর ওয়াদা করেন, যদি মুসলমানরা হিজরত করে মদিনায় আসে, তাহলে মুসলমানদের আশ্রয় দিবে। পরিপূর্ণরূপে সংরক্ষণ করবে। অথচ মদিনাবাসীর অধিকাংশই ছিলো গরিব; তাদের পেশা ছিলো কৃষি। মক্কার ব্যবসায়ীদের তুলনায় তাদের আয়ের উৎস ছিলো কম। আর তারা বসবাস করতো সুদখোর ইহুদিদের অধীনে। শারীরিকভাবেও তারা মক্কার ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ করার ক্ষেত্রে অপারগ ছিলো। মুসলমানদের প্রতি মক্কাবাসীর যে বিদ্বেষ ছিলো, তাতে তারা আশংকা করছিল, যদি মুসলমানদের আশ্রয় দেয়া হয়, তাহলে মক্কাবাসী তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবে। আর তাদের ছোটো আবাসভূমিকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দিবে। কিন্তু তারা এই আশঙ্কা ও বিপদের কথা জানা সত্তেও মুসলমানদের মদিনায় আসার আমন্ত্রণ জানালো। কোনো সংকীর্ণতা এবং কাপুরুষতা তাদের দমিয়ে রাখতে পারেনি।
এ চুক্তির পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় অবস্থানরত মুসলমানদের মদিনায় হিজরত করার অনুমতি দিলেন। গোপনে সাহাবায়ে কেরাম মদিনার পথে রওয়ানা দিলেন। একপর্যায়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকেও হিজরতের আদেশ দেয়া হলো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরতের জন্য দুইজন প্রিয় সাথিকে নির্বাচন করলেন। একজন হজরত আবু বকর রাযিআল্লাহু আনহু, যিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সফরসঙ্গী ছিলেন। অপরজন হজরত আলী রাযিআল্লাহু আনহু, যাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কার লোকদের আমানত পৌঁছে দেয়ার জন্য রেখে গিয়েছিলেন।
উভয়ে প্রাণের আশঙ্কা থাকা সত্তেও রাসূলের ডাকে সাড়া দিলেন। সুতরাং হিজরতের উদ্দেশ্যে ২৭ সফর নবুওয়াতের ত্রয়োদশ বছর বৃহস্পতিবার বাসা থেকে বের হলেন। তিনদিন সাওর গুহায় আত্মগোপন করে পরিচিত রাস্তা এড়িয়ে মদিনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলেন। ৮ রবিউল আওয়াল কুবা পৌঁছলেন। সেখানে তিনি ১৪ দিন অবস্থান করেন। সর্বপ্রথম জুমার নামাজও এখানেই আদায় করেন। এরপর মদিনা মুনাওয়ারা গমন করেন। আর প্রসঙ্গত হজরত আবু আইউব আনসারী রাযিআল্লাহু আনহু-এর বাড়িতে অবস্থান করেন।
আনসারগণ মক্কার আশ্রয়হীন কাফেলাকে এমন মুহাব্বাত ও ভালোবাসার সঙ্গে বরণ করলেন, যার দৃশ্য আসমান এখনো দেখেনি। মদিনায় গিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিলেন। দুটি জিনিসের ফজিলত বললেন। সালামের প্রসার করা এবং মেহমানদারি করানো। এই ভাষণ মূলত ভ্রাতৃবন্ধনের ভূমিকা ছিলো, যা তিনি মুহাজির ও আনসারদের মাঝে কায়েম করতে চেয়েছিলেন। আরবের লোকেরা স্বীয় গোত্রের নামে নিজেদের পরিচয় দিতে পছন্দ করতো। তিনি মক্কাবাসীকে কুরাইশ এবং অন্যান্যদের তাদের গোত্রের নামে ডাকতেন। আর মদিনাবাসীকে তাদের প্রসিদ্ধ দুই গোত্র আউস এবং খাযরাজ নামে ডাকতেন।
এরপরেও উভয় শ্রেণির মুসলমানদের জন্য এমন নাম রাখলেন, যা ইসলামের জন্য তাদের ত্যাগ ও কোরবানির দলিলস্বরূপ ছিলো। মক্কা থেকে আগত লোকদের ‘মুহাজির’ নাম দিয়েছিলেন। অর্থাৎ এমন লোক যারা দীনের জন্য নিজেদের প্রিয় জন্মভূমিকে বিদায় জানিয়েছে। আর মদিনাবাসীদের জন্য ‘আনসার’ নাম রাখলেন। অর্থাৎ এমন লোক যারা আশ্রয়হীন মুসলমানদের নিজেদের আবাসভূমিতে আশ্রয় দিয়ে ইসলামের সাহায্য-সহায়তা করেছে।
তিনি (সা.) তাদের জন্য এমন নাম নির্বাচন করলেন, যা তাদের অন্তরে দ্বীনের তরে কোরবানীর আগুন জ্বালিয়ে দিবে। এমন আগুন যা জাহেলী যুগের গোড়ামীকে ভষ্ম করে দিবে। এমন আগুন যা ইসলামি বন্ধন ব্যতীত অন্য সব বন্ধনকে ছিন্ন করে দিবে। এমন আগুন, যা নিভানো যায় না। ঈমানি এই ভ্রাতৃত্বকে বিনাশ করার জন্য ইহুদি এবং মুনাফিকরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তারা সফলকাম হতে পারেনি। আনসারগণ তাদের সকল ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিয়েছে।
হিজরতের পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে কাজ করেছেন, তা হলো সাহাবায়েকেরামের মাঝে ভ্রাতৃ-বন্ধন কায়েম করে দিয়েছেন। তিনি দু’জনকে একে অপরের ভাই বানিয়ে দিয়েছেন। তাদের একজন হতো মুহাজির অপরজন হতো আনসার। এই ভ্রাতৃবন্ধন শুধু নামে ছিলো না; বরং আপন ভাইয়ের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। যে আনসারীর সঙ্গে তার মুহাজির ভাইকে যুক্ত করা হতো তিনি তার মুহাজির ভাইয়ের জন্য নিজের ঘরবাড়ি, সহায়-সম্পত্তি, ক্ষেত-খামার, বাগ-বাগিচাসহ ব্যবসা-বাণিজ্য দু’ভাগ করে নিতেন। এক ভাগ নিজের জন্য রাখতেন, অপর ভাগ স্বীয় মুহাজির ভাইকে দিতেন।
মক্কার লোকজন সাধারণত ব্যবসায়ী ছিলো, তারা কৃষি কাজ-কর্ম জানতো না, তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসারদের প্রতি অনুরোধ করলেন, তারা যেন ক্ষেতে নিজের অংশে ফসল করে এবং মুহাজির ভাইয়ের অংশেও ফসল করে; আর নিজ অংশের উৎপাদিত ফসল রেখে মুহাজির ভাইয়ের অংশের উৎপাদিত ফসল তাকে দিয়ে দেয়। আনসারগণ মাথানত করে তা কবুল করে নিলেন। একপর্যায়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে প্রচুর গণিমতের মাল আসে। তিনি আনসারদের বললেন, যদি তোমরা চাও তা হলে এই সম্পদ আমি তাদের দেব আর বিনিময়ে তারা তোমাদের বাগবাগিচা ও ক্ষেতসমূহ ফেরত দিবে। নতুবা আমি গনিমতের মাল সকলের মাঝে বণ্টন করে দেই আর তা তাদের কাছে থাকুক। তখন মদিনার আনসারগণ বললেন, গনিমতের মাল মুহাজিরদের দেয়া হোক আর আনসারদের যেসব সম্পত্তি ও বাগান মুহাজিরদের কাছে রয়েছে তাও তাদের কাছেই থাকুক। এই পৃথিবীতে এখনো কোনো জাতি আসেনি যারা আত্মত্যাগ ও কোরবানির ক্ষেত্রে মদিনার আনসারদের সমতুল্য হতে পারে।
এই ভ্রাতৃবন্ধন মুহাজির এবং আনসারদের সম্পর্ক এমন সুদৃঢ় করে দিয়েছিল, যার কাছে বংশ, আত্মীয়তা, গোত্র ও দেশের সম্পর্কও তুচ্ছ মনে হয়েছে। মুহাজিরদের মদিনায় তুচ্ছ এবং ভীনদেশি মনে করা হতো না। মদিনায় আসার পর থেকেই তাদের এখানকার বাসিন্দা মনে করা হতো। আর তাদের এভাবে জড়িয়ে নিয়েছিল, যেভাবে আপন ভাইকে জড়িয়ে নেয়। পাশ্চাত্য এবং ইসলামের দুশমনেরা সর্বদা মুসলমানদের বন্ধন ছিন্ন করতে চেষ্টা করে। এ জন্য তারা জাতিসংঘ বানিয়েছে। বংশ, আঞ্চলিকতা এবং ভাষাকে জাতির মৌলিক বিষয়বস্তু করেছে। ইংরেজ একটি জাতি। জার্মানি আরেকটি জাতি। ফ্রান্স আরেকটি জাতি। তাদের পরস্পরে রয়েছে বিদ্বেষ। এমনকি প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে একে অপরের বিরুদ্ধে প্রচুর রক্তক্ষরণ করেছে। যদিও মুসলমানদের সঙ্গে শত্রুতার ক্ষেত্রে সকলেই এক পর্যায়ের। তবে এই একতা শুধু বাহ্যিক অবস্থায়। বাস্তবতা হলো এখনো তাদের কোন্দল আগের মতোই রয়েছে। আর একথাই পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আপনি তাদের একত্রিত মনে করেন; অথচ তাদের অন্তরসমূহ বিচ্ছিন্ন’। (সূরা হাশর, আয়াত-১৪)।
ইসলাম আকিদা-বিশ্বাসের ব্যাপারে একাত্ববাদের যে ভিত্তি স্থাপন করেছে, পাশ্চাত্যের লোকজন তা নস্যাৎ করার জন্য দেশ-জাতি এবং বংশকে ব্যবহার করছে। আর আরব, তুর্কিস্তান, মিসর, সিরিয়া এবং অন্যান্য অঞ্চলের মুসলমানদের মাঝে তার প্রভাব ছড়িয়ে দিয়েছে। এ কারণেই মুসলমানদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে অবস্থা হলো, সারা পৃথিবীতে অসংখ্য মুসলমান আশ্রয়হীন অবস্থায় রয়েছে। ফিলিস্তিন, সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন, বার্মা এবং আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলের লোকজন নিরাশ্রয় রয়েছে। মুসলিম দেশসমূহ তাদেরকে বোঝা মনে করছে। তাদের নৌযান ডুবিয়ে দিচ্ছে। দায়মুক্ত হওয়ার জন্য শত্রু এবং রক্তপিপাসু লোকদের হাতে তাদের সোপর্দ করে দিচ্ছে। কোথাও আশ্রয় দেয়া হলে, তাদের হীন ও তুচ্ছভাবে বসবাস করতে বলা হয়। তাদের কেবল বাঁচা এবং শ্বাস গ্রহণের অনুমতি থাকে। খাবার হিসেবে নামে মাত্র কয়েক লোকমা জুটে। তাদের সামাজিক অবস্থান থেকে পৃথক রাখা হয়। এই অনুভূতি তৈরি করা হয়, তারা এখানকার বাসিন্দা নয়। তাদের স্বাভাবিকভাবে জীবন-যাপন করতে দেয়া হয় না। পরিতাপের বিষয় হলো- পাশ্চাত্যে যেভাবে বাস্তুহীনদের বসবাস করতে দেয়া হয়, পশ্চিমা বিশ্ব এবং মুসলমানদের অঞ্চলসমূহেও তার কল্পনা করা যায় না।
তাই মুসলিম দেশসমূহের পরস্পর ভ্রাতৃচুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া উচিত। যদি কোনো মুসলমান জান-মাল এবং ইজ্জত সম্মানের নিরাপত্তার জন্য অন্য মুসলিম রাষ্ট্রে আশ্রয় নেয়, তা হলে তাকে সাদরে গ্রহণ করে নিবে। তাকে পূর্ণ নিরাপত্তা দেয়া হবে। তার জীবনের মৌলিক প্রয়োজন তথা শিক্ষা-দীক্ষা এবং সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। তাকে ব্যবসা-বাণিজ্য করার অনুমতি দেয়া হবে। তবে তাতে এমন শর্তও করা হবে, এক দেশে থাকা অবস্থায় অন্য দেশের বিরুদ্ধে এমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে পারবে না, যা দ্বারা উভয় দেশের সম্পর্কের মাঝে ভাটা পরে। আর নিপীড়িত লোকদের সাহায্য-সহায়তায় একত্রিত হয়ে অত্যাচারী রাষ্ট্রের ব্যাপারে প্রতিবাদ করা হবে। আশ্রিত লোকদের ট্যাক্স এককভাবে কোনো রাষ্ট্র বহন করবে না, বরং সকল মুসলিম রাষ্ট্র মিলে তা পরিশোধ করবে। ভ্রাতৃবন্ধনের দ্বারা বাস্তহীন মুসলমানদের ঠিকানা মিলবে। আর মুসলমানদের মাঝেও ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের আগ্রহ তৈরি হবে। আল্লাহ আমাদের বন্ধন আরো দৃঢ় করুন।