হাজীগঞ্জে মুড়ি কারখানায় চলছে ব্যস্ত সময়
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:৩৫ এএম, ৭ মে ২০১৯ মঙ্গলবার
পবিত্র মাহে রমজান মাস উপলক্ষে ব্যস্ত দিন কাটছে হাজীগঞ্জ ঘাটসংলগ্ন মুড়ি কারখানাগুলোর মালিক-শ্রমিকদের। প্রচন্ড গরমেও শ্রমিকরা মুড়ি ভাজায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। হাজীগঞ্জের এই মুড়ি যাচ্ছে দেশে-বিদেশে। জেলায় একাধিক মুড়ির কারখানা থাকলেও রমজান মাসকে সামনে এই কারখানায় মুড়ি ভাজার ব্যস্ততা বেশি। রাত-দিন মেশিনের গর গর শব্দে মুখর কারখানার আশেপাশের এলাকা। এখানে মূলত লতা-১৬ চাল থেকে মুড়ি ভাজা হয়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, প্রত্যেকটি মুড়ি কারখানায় শ্রমিকরা মুড়ি ভাজায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ চাল দিচ্ছেন, কেউ গরম গরম ভাজা মুড়িগুলো বস্তায় নিচ্ছে, আবার কেউ মাথায় নিয়ে গুদামজাত করছে। পঞ্চাশেক শ্রমিকের ঘামের বিনিময়ে উৎপাদিত এই কারখানার মুড়ি দেশের দক্ষিণাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল, চট্টগ্রাম ও পুরো নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশে চাহিদা মিটিয়ে রফতানি হচ্ছে বিদেশেও।
রমজান মাসে রোজাদারদের কাছে ইফতারের অন্যতম উপাদান হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে মুড়ি। মুড়ি ছাড়া যেন ইফতার জমেই না।
মুড়ি তৈরির কয়েকজন কারিগর জানান, রমজান মাসের চাহিদা ছাড়াও সারা বছরই হাজার হাজার মন মুড়ি পাইকার ও আড়তদারদের সরবরাহ করা হয়। এখানকার মুড়ি শুধু চাল আর লবণ দিয়ে ভাজা হয়। এ কারণ এখানকার মুড়ি দিন দিন মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
এই কারখানা থেকে পাইকারী দামে মুড়ি কিনতে আসা কামাল হোসেন জানান, রমজান উপলক্ষে প্রতি বছরই এখান থেকে মুড়ি ক্রয় করি। কারণ এখানকার মুড়ি কারখানায় কোনও সার বা রাসায়সিক দ্রব্য ব্যবহার করে না। যতটুকু জানি চালে শুধু লবণ মিশিয়ে মুড়ি তৈরি করা হয়, তা খেতেও সু-স্বাদু। পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে মুড়ির দাম বেশি নেওয়া হয়। এ দিকে প্রশাসনের নজরদারি প্রয়োজন।
হাজীগঞ্জ মুড়ি মিলের ম্যানেজার আয়নাল জানান, অনেক অসাধু ব্যবসায়ী বেড়েছে। তারা মুড়ির মান ঠিক রাখেনা। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে মুড়ি ভাজে। তাদের কারণে আমাদের মুনাফা করা কঠিন হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ায় মুড়ির উৎপাদানে আমাদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে।