সেহেরিতে বরকত রয়েছে
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১১:২২ এএম, ৮ মে ২০১৯ বুধবার
ইসলামে রোজা পালন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই রমজানে সেহেরি খাওয়া সুন্নত করা হয়েছে।
তবে অনেকেই অলসতা বশত সেহেরি খান না। সেহেরি খাওয়া নিয়ে আমাদের ইসলামে কিছু বিধান রয়েছে। তাছাড়া সেহেরি খাওয়ার মধ্যে বরকত রয়েছে।
হাদিসে এসেছে ‘সেহেরি হলো বরকতময় খাবার। তাই কখনো সেহেরি খাওয়া বাদ দিও না। এক ঢোক পানি পান করে হলেও সেহেরি খেয়ে নাও। কেননা সেহেরির খাবার গ্রহণকারীকে আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর ফেরেশতারা স্মরণ করে থাকেন।’ (মুসনাদ আহমাদ:১১১০১)
সাহরি আরবি শব্দ যা ‘সাহর’ শব্দ থেকে উদ্ভুত। এর অর্থ রাতের শেষাংশ, শেষ তৃতীয়াংশ বা ভোর রাত। পরিভাষায় রোজা পালনার্থে মুমিন বান্দা শেষ রাতে ফজরের পূর্বে যে খাবার গ্রহণ করে থাকেন, তাকে সেহেরি বলা হয়।
রোজা রাখার নিমিত্তে এ খাবার গ্রহণ করা সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ (সা.) সদা-সর্বদা রোজার উদ্দেশ্যে সেহেরি খেয়েছেন এবং তাঁর প্রিয় উম্মতকে তা গ্রহণ করতে উৎসাহিত করেছেন। হাদীসে রয়েছে, নবী সা. বলেন, ‘আমাদের ও ইহুদী-নাসারাদের রোজার পার্থক্য হলো সেহেরি খাওয়া।’ (মুসলিম:২৬০৪)
সেহেরি যথাসম্ভব দেরি করে খাওয়া অর্থাৎ- সুবহে সাদেকের কাছাকাছি সময়ে খাওয়া মুস্তাহাব। তবে এতো দেরি করে সেহেরি খাওয়া মাকরুহ, যাতে সুবহে সাদেক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হয়। (ফাতওয়াযে আলমগীরী)