শনিবার   ১৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ২ ১৪৩১   ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

যেসব তারকার সংসারের গল্পে হিংসে হয় অনেকের!

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১১:৫৮ এএম, ৮ মে ২০১৯ বুধবার

বলিউডের অনেক জনপ্রিয় জুটি তারা। তবে তার চেয়ে বেশি জনপ্রিয় জুটি ‘সংসারে’। অর্থাৎ এই জুটির তারকারা একে অপরের অর্ধাঙ্গী। আজ ডেইলি বাংলাদেশের পাঠকদের এমন কিছু তারকা নিয়ে আলোকপাত করব, যারা পর্দায় অভিনয় করতে গিয়ে বাস্তবের ঘরণী হয়ে গিয়েছেন। অর্থাৎ পর্দায় আগে জুটি বেঁধেছেন, সেখান থেকে পরিচয়, এরপর পরিণয়। এমনই কিছু তারকা জুটি নিয়ে আমাদের আজকের এই আয়োজন।

অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চন

বলিউডের শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন। আর তার অর্ধাঙ্গী জয়া বচ্চন। দুজনকে বলিউডের স্বর্ণালী জুটি বলা হয়। কারণ অনেক বিতর্কের পরও তাদের পথ কখনো আলাদা হয়নি। ১৯৭৩ সালের ৩ জুন দু’জন বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। এরপর থেকে তাদের ঘরে এমন কোনো ঝগড়াও বাধেনি, যা মিডিয়ায় এসেছে। আর তখন থেকেই জয়া ভাদুরি হয়ে যান জয়া বচ্চন। ১৯৭৩ সালে জয়া ছিলেন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী। আর অমিতাভ কেবল ‘জাঞ্জির’ করে লাইমলাইটে এসেছেন। এরপর কালক্রমে এই ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’ বনে গিয়েছেন উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় সুপারস্টার বলিউড শাহেনশাহ।

ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনী

ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর প্রেম নিশ্চয় সবার জানা। তারা বলিউডের সত্যিকারের ‘হি-ম্যান’ বিবাহিত থাকার পরও ড্রিম গার্লের প্রেমে মশগুল হয়ে পড়েন। প্রথম সিনেমার সেটে তাদের দু’জনের প্রেম শুরু হয়। এরপর থেকে ফোনালাপ, নানা রোমান্স একসময় পরিণয় ঘটে। 

এদিকে, হেমার প্রেমে মজনু হয়ে পড়া ধর্মেন্দ্রর এই বিষয়টি বুঝে ওঠার পরও প্রথম স্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে স্বামীকে না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরে হেমাকে নিয়ে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয় ধর্মেন্দ্রর।

অপরদিকে, ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে সম্পর্ক হওয়ার আগে হেমারও সঞ্জীব কুমার ও জীতেন্দ্র’র সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। অনেকে এও দাবি করেন যে, শুধু সম্পর্ক নয়, জীতেন্দ্র’র সঙ্গে তার বিয়েও হয়। অনেকদিন নাকি একসঙ্গে একঘরেও ছিলেন তারা। তবে ধর্মেন্দ্র ছিলেন তার প্রতি পুরোই নাছোড়বান্দা। প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স না দিয়েই তিনি হেমাকে বিয়ে করেন। আর ধর্মান্তরিত হন। ১৯৭৯ সালে দু’জনেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। 

ঋষি কাপুর ও নিতু সিং

বলিউডের আরেক জনপ্রিয় জুটি পরিবার ঋষি কাপুর ও নিতু সিং। এই পরিবারেও কখনো ঝামেলার কথা শোনা যায়নি। তারা একে অপরকে এতটাই ভালোবাসেন যে, এতদিন পরে এসেও কখনো কাউকে ছাড়ার কথাও ভাবেননি। এর আগে, বলিউডের ‘লাভার বয়’ ঋষি কাপুরের সঙ্গে প্রেম হয় সহ অভিনেত্রী নিতু সিংয়ের। পর্দায় তাদের রসায়ন বক্স অফিসে সাফল্য এনে দেয়, সমর্থকদের কাছেও পেয়ে যান রোম্যান্টিক জুটির খেতাব। বাস্তবেও শুরু হয় তাদের ‘খুল্লাম খুল্লা প্যায়ার’।

এরপর মাত্র ২১ বছর বয়সী নিতু-ঋষিকে বিয়ের পর বলিউডকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নেন। অনেকে বলেন জোর করে তাকে বলিউড ছাড়ানো হয়েছে; যদিও তিনি নিজে বলেছেন এটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এমনকি নিতু নিজেই সিনেমায় জড়িয়ে ঋষিকে কষ্ট দিতে চাননি। পরে কামব্যাক করে স্বামীর সঙ্গে ‘লাভ আজ কাল’, ‘দো দুনি চার’, ও ‘জাব তাক হ্যা জান’-এর মত সিনেমা করে দর্শক ও সমালোচকদের মন জয় করেছেন।

শাহরুখ খান ও গৌরি খান

বলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় যদি কোনো পরিবার থাকে, সেটা হচ্ছে কিং খানের পরিবার। তার ভালোবাসা দেখে শুধু গৌরি নয় বরং অনেকের হিংসে হয়। তিনি নামেও যেমন সুপার হিরো, ঠিক তেমনি কাজেও সে পরিচয় দিয়েছেন অনেক আগে। 

মূলত শাহরুখ আর গৌরির প্রেমের গল্পটা রূপকথাকেও হার মানায়, হার মানায় সিনেমার স্ক্রিপ্টকেও। ভিন্ন ধর্মের এই দু’জনের প্রেম চলেছে সেই স্কুল জীবন থেকেই। শাহরুখ খান যখন স্ট্রাগলার ছিলেন, তখনো পাশে পেয়েছেন গৌরিকে। আজ যখন তিনি বলিউডের কিং খান তখনো পাশে আছেন গৌরি।

অক্ষয় কুমার ও টুইঙ্কল খান্না

অক্ষয় কুমার ও টুইঙ্কল খান্না। এই জুটির প্রেমও অনেক সুন্দর। তবে কথিত আছে, বিয়ের আগে ‘খিলাড়ি’ খ্যাত অক্ষয় কুমার ছিলেন নব্বই দশকের প্লে বয়। তাকে ঘিরে অনেক নায়িকার প্রেমের গুজব ছিল। রাবিনা ট্যান্ডন, শিল্পা শেঠি কিংবা পুজা বাত্রাদের সঙ্গে তার প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্যে প্রেম ছিল। সবকিছুর ইতি হয় যখন তার জীবনে আসেন ডিম্পল কাপাডিয়া ও রাজেশ খান্নার মেয়ে টুইঙ্কল খান্না। ২০০১ সালে তাদের বিয়ে হয়। এরপর ক্যারিয়ার ও জীবন দু’টোই পাল্টে গেছে অক্ষয়ের। এরপর থেকে টুইঙ্কল ছাড়া আর কোনো নায়িকার কথা শোনা যায়নি অক্ষয়কে নিয়ে।


দিলীপ কুমার ও সায়রা বানু

দিলীপ কুমার ও সায়রা বানু। তাদের দুজনের বয়সের তফাৎ ২২ বছরের। তারপরও তাদের ভালোবাসার গল্পটা চিরসবুজ। তবে বিয়ের আগে ‘ট্র্যাজেডির রাজা’ দিলীপ কুমারের বড় ভক্ত ছিলেন সায়রা বানু। শয়নে স্বপনে শুধু তাকে নিয়ে ভাবতেন। পরে সায়রার মা নাসিম নিজে দিলীপ কুমারকে তার মেয়ের জন্য বিয়ের প্রস্তাব দেন। ১৯৬৬ সালে যখন বিয়ে হয় তখন সায়রার বয়স মাত্র ২২ বছর। এর কয়েক বছরের মধ্যেই রিল দুনিয়াকে বিদায় জানান সায়রা। এই দম্পতির কোনো সন্তান নেই। তবে কোনো অশান্তিও ছিল না।