তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আসছে তিন মেগাপ্রকল্প
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৭:৪৫ এএম, ১২ মে ২০১৯ রোববার
তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মতো আরো তিনটি মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। এগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২, সাবমেরিন ক্যাবল-৩ ও নিরাপদ ইন্টারনেট।
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সরকার যে সব পদক্ষেপ নিয়েছে এবং এখন পর্যন্ত যা বাস্তবায়ন করেছে তা প্রশংসার দাবিদার। শুধু শহরেই নয়, বরং জেলা-উপজেলা সদর ছাড়িয়ে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও পৌঁছে দেয়া হয়েছে এই সেবা। আর, এর আরো প্রসারে মেগাপ্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বর্তমান সরকারের মেয়াদেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করার পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। মূলত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১-এর ব্যাকআপ তৈরি করতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্তও চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের জন্য আলাদা করে কোনো অরবিটাল স্লট কিনতে বা ভাড়া নিতে হবে না। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ যে স্লটে (অরবিটাল স্লট ১১৯.১ ডিগ্রি) উৎক্ষেপণ করা হয়েছে সেখানে দুটি স্যাটেলাইট প্রতিস্থাপন করা যাবে। ফলে স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের কাজটি প্রথমটির চেয়ে দ্রুত হতে পারে।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ২-এর জন্য আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) কাছে আরো চারটি স্লট চেয়ে আবেদন করে রেখেছে বাংলাদেশ। ৬৯, ৭৪ ও ১০২ ডিগ্রি পূর্বতে দুটিসহ চারটির জন্য আইটিইউর কাছে আবেদন করা হয়েছে।
দ্রুতগতির ব্যান্ডউইথ সেবা নিশ্চিত করতে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০২১ সালের মধ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে দেশে যুক্ত হতে পারে। এরই মধ্যে সরকার সাবমেরিন ক্যাবল বিষয়ক কনসোর্টিয়ামে যুক্ত হতে সম্মতি জানিয়েছে। এখন থেকে ২-৩ বছরের মধ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ব্যান্ডউইথ পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ সব মিলিয়ে ৯৫০ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ সেবা পাচ্ছে এবং ক্রমেই এটি বাড়ানো হচ্ছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশ যখন প্রথম ও দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত তখন আর পেছনে ফিরে দেখার সময় নেই। তাই অচিরেই দ্রুতগতির নেট সুবিধা নিশ্চিত করতে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত হবে বাংলাদেশ।
সবার জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করতে কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। পাশাপাশি শিশুরা যেন ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকে সে কারণেও কনটেন্ট ফিল্টারিং, পর্ন সাইট বন্ধের কাজে হাত দিয়েছে সরকার।
এ বিষয়ে মোস্তাফা জব্বার জানান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ডিওটি বা ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকম একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে। তখন ইন্টারনেটকে নিরাপদ রাখতে আরো বেশি সক্ষমতা অর্জন করবে দেশ।