নারায়ণগঞ্জে মার্কেটগুলোতে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:১৭ এএম, ১২ মে ২০১৯ রোববার
নগরীর মার্কেটগুলোতে ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে ক্রেতাদের আনাগোনা। প্রতিদিনই ক্রেতা বাড়ছে। শিশু থেকে শুরু করে নারী পুরুষের পদচারণায় মুখরিত এখন মার্কেটগুলো।
ক্রেতা আকর্ষণে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে মার্কেটগুলোও । বর্ণিল আলোকসজ্জা, মনোলোভা ডেকোরেশনের মাধ্যমে সজ্জিত করা এসব মার্কেট যেন এখন ঝকঝক তকতক করছে। অন্যদিকে ক্রেতাদের আকর্ষন বাড়াতে মার্কেটের সামনে টানিয়ে রাখা হয়েছে নিত্যনতুন নকশা করা পোশাকের নমুনা।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, এবার ঈদের বাজারে তারা নিত্যনতুন নামের বেশকিছু নারী, শিশু ও পুরুষের কাপড় তুলেছেন দোকানে। নিত্যনতুন ডিজাইনের দেশি ও বিদেশি থ্রীপিছ, গাউন, শাড়ি ছেলেদের পাঞ্জাবী,শার্ট-প্যান্ট,টি-শার্ট আনা হয়েছে। পাকিস্তান,ভারত থেকেও পোশাক আনা হচ্ছে।
শনিবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঈদের কেনাকাটার উদ্দেশ্যে ইফতারের পর থেকেই মার্কেটগুলোতে বিপুলসংখ্যক ক্রেতা ভিড় জমাচ্ছে। ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত সকল শ্রেণীর মানুষ। মানুষ তাদের সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করতে পারছেন।
সবচেয়ে বেশি ভীড় লক্ষ্য করা গেছে সমবায় মার্কেটে। এছাড়াও সায়াম প্লাজা,হক প্লাজা, সান্তনা মার্কেটের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় বুটিকস,বিশ্বরঙ, নকশা,আড়ং,টপটেন,রঙ বাংলাদেশ,আজহার মার্কেটের বিপনী বিতানগুলোতে ক্রেতাদের ভীড়। শাড়ী থ্রিপিসের পাশাপাশি প্রসাধনী, পারফিউম, কসমেটিক সামগ্রী, জুতাসহ বিভিন্ন পণ্যেও দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মত।
পরিবারের সবাইকে নিয়ে কেনাকাট করতে এসেছেন কাশিপুরের বাহার উদ্দিন মোল্লা। তার মতে রোজা যত এগোবে মার্কেটগুলোতে ততই ভীড় বাড়বে। তাই রোজার শুরুর দিকটাতেই কেনাকাটা সারছে তারা।
বাহারউদ্দীন জানান, রোজার শুরুর দিকে মার্কেট গুলোতে ভীড় কম থাকে। পরে ঝামেলা আরো বাড়বে। তাই ১৫-২০ রমজানের মধ্যে কেনাকাটা শেষ করতে চাই।
মার্কেটগুলোতে ঘুরে দেখা যায় এবার ঈদে জামার মধ্যে রয়েছে ডালি, স্বপ্নের দেশ, অস্থির। মেয়েদের গ্রাউনের মধ্যে রাজ কুমারী, ডায়মন্ড, ললিপপ, জবা। থ্রীপিছের মধ্যে গরিলা, কাবেরী, বিনয় ইত্যাদি। শাড়ির মধ্যে দেশি কাতান ছাড়াও রয়েছে জবা, জবা বড়ভাবী, ক্রাস-২, নিল পদ্ম, পদ্মরাণী, রাজপরী, রাজেশ্বরী, রাজগুরু। ইন্ডিয়ার চুন্দ্রি কাতান, চায়না সিল্ক, পাকিস্তানী জর্জেট, দেশীয় মসলিন, কাতান শাড়ি, মেয়েদের কাপপিচ, লং থ্রীপিছ, রেডিমেট লংগ্রাউন, বম্বে গ্রাউন, পাকিস্থানী, ইন্ডিয়ান পাশাপাশি বম্বে, মিশরী ও দেশীয় পাঞ্জাবির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
এদিকে বিপণিবিতান ও শপিং মলগুলোতে ক্রেতাদের সমাগম নিয়ে বিক্রেতারা জানায়, রোজার শুরুর দিকটাতে এমন ঢিমেতালেই চলে। কিন্তু ১৫ রমজানের পর থেকে দমফেলারও ফুরসত থাকে না।
সমবায় মার্কেটের বিক্রেতা মোঃ শামসুদ্দিন বলেন, ক্রেতারা আসছে দেখছে। কেউ কেউ কিনছেও। আশা করছি ১৫ রমজানের পর বিক্রি বাড়বে।
রূপক ফ্যাশনের সত্ত্বাধিকারী মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, আশা করছি এবার ভালো বিক্রয় হবে। এখনও সেভাবে শুরু হয়নি। টুকটাক চলছে। আসলে সবাই ১০,১৫ রোজার পর থেকে কেনাকাটা শুরু করে। তবে আমরা প্রস্তুত আছি। নতুন নতুন ডিজাইনের জিন্স প্যান্ট, শ্যার্ট পাঞ্জাবী ও টি-শ্যার্ট ও পাঞ্জাবী রাখা হয়েছে আমাদের প্রতিষ্ঠানে ।