ছোট ভাইয়ের ইটের আঘাতে বড় ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৯:২৯ এএম, ১২ মে ২০১৯ রোববার
রূপগঞ্জে ছোট ভাইয়ের ইটের আঘাতে বড় ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে উপজেলার ভোলাবো ইউনিয়নের গাবতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।ঘটনার ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি করে মরদেহ দাফন করেছেন স্বজনরা। স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির সুপারিশে পুলিশ কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়নি।
জানা যায়, ভোলাবো ইউপির গাবতলা গ্রামের মোজাম্মেল হকের বড় ছেলে রানা মিয়া পার্শ্ববর্তী ডাঙ্গা বাজারে ভগ্নিপতি হুমায়ুনের চাউলের দোকানে কাজ করেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সে দোকান থেকে বাড়ি ফিরলে তার বাবা-মা রানার কাছে নালিশ করেন তার ছোট ভাই সাজন দিনভর ঘুরে বেড়ায়।
রানা ছোট ভাই সাজনকে শাসন করতে গেলে মেজো ভাই রাজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। একপর্যায়ে রাজন ইট এনে বড় ভাই রানার মাথায় আঘাত করে। এতে তাৎক্ষণিক জ্ঞান হারালে লোকজন রানাকে রাজধানীর আশিয়ান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎস তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির নির্দেশে শুক্রবার খুব ভোরে অতি গোপনে জানাজা শেষে রানার মরদেহ দাফন করে স্বজনরা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সংবাদ পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে নিহতের স্বজনরা তাদের সঙ্গে খারাব ব্যবহার করে। পরে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ভগ্নিপতি হুমায়ুনকে ভোলাবো ফাঁড়িতে নিয়ে এলেও কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দেন।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে আমিসহ এএসপি ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। ছোট ভাই রাজন বড় ভাইকে ধাওয়া করেছে এর সত্যতা আছে, তবে পরিবারের দাবি রাতে ডাব পারতে গাছে উঠলে সেখান থেকে নলকূপের ওপরে পড়ে রানার মৃত্যু হয়। এ কারণে পুলিশ আর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।