রুয়েটে দেশের প্রথম হাইব্রিড গাড়ি উদ্ভাবন
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১০:৪৩ এএম, ১২ মে ২০১৯ রোববার
একটি পরিত্যক্ত গাড়ি ব্যবহার করে সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে হাইব্রিট গাড়ি উদ্ভাবন করেছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) গবেষক দল।
মাত্র দুই বছরের চেষ্টায় তিনটি সুবিধাসম্পন্ন দেশের প্রথম এ হাইব্রিড গাড়ি উদ্ভাবন করা হয় বলে জানিয়েছেন গবেষক দলের প্রধান ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক।
ড. এমদাদুল হক বলেন, ‘উন্নত বিশ্বের দেশগুলো এখন জ্বালানি ব্যবহার কিভাবে কমানো যায় সেদিকে নজর দিচ্ছে। কারণ আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্বে যত জ্বালানি আছে শেষ হয়ে যাবে। তাই আমরা এমন কিছু উদ্ভাবনের চেষ্টা করেছি যা জ্বালানি ব্যবহার কমাবে। আমাদের প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। কারণ এই গাড়ির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো জ্বালানি কম খরচ হবে। একইসঙ্গে একটি পরিত্যক্ত গাড়িকে সহজেই ব্যবহার উপযোগী করা সম্ভব হবে। উদ্ভাবিত এই গাড়িটির জ্বালানি খরচ খুবই কম হবে।’
উদ্ভাবিত হাইব্রিড গাড়ির সুবিধাগুলো হচ্ছে, একইসঙ্গে ইলেকট্রিক্যাল প্লাগ ইন, ইঞ্জিনসেবা ও সোলার চার্জিং সিস্টেম। এর ফলে জ্বালানি শেষ হলেও চলবে গাড়ি। সোলার সিস্টেম থাকায় যানজটে আটকে থাকলেও ব্যাটারি চার্জ হবে। তাই শক্তি বা জ্বালানির অপচয় হওয়ার সুযোগ নেই। এছাড়া আছে প্লাগ চার্জিং সিস্টেমও। বিদ্যুতের সাহায্য নিয়ে চার্জ দেয়া যাবে।
শিক্ষার্থীরা জানান, পোর্টেবল ডিভাইসের মতো এই প্রযুক্তিটি এখন যেকোনো গাড়ির সঙ্গে ব্যবহার করা যাবে। মূলত একটি পরিত্যক্ত গাড়ি ব্যবহার করে হাইব্রিড গাড়িটি তৈরি করা হয়েছে। রাজশাহীর একটি গ্যারেজ থেকে গাড়িটি সংগ্রহ করা হয়। ব্যাটারি ব্যবহার করেও ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি পাওয়া সম্ভব হবে। তাছাড়া একবার চার্জ হলে জ্বালানি ব্যবহার ছাড়াই একটানা ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলা সম্ভব। একটি পরিত্যক্ত গাড়ি থেকে হাইব্রিড গাড়ি রূপান্তর করে ব্যবহার উপযোগী করতে খরচ পড়বে মাত্র ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা।
সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে এই প্রকল্পটি পান রুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের এই শিক্ষক। এরপর ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে প্রকল্পটির মূল কাজ শুরু হয়। যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এমদাদুল হকের সঙ্গে এই উদ্ভাবন কাজে অংশগ্রহণ করেন বিভাগের শিক্ষক ফজলুর রশীদ। এছাড়াও বিভাগের ২০১৩-১৪ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহবুবুর রহমান, ওবায়দুল হাসান, তানভির রহমান, তরিকুল ইসলাম ও ২০১৪-১৫ বর্ষের শিক্ষার্থী ইসমাইল হক ফরিদ কঠোর শ্রম দিয়েছেন। গবেষকদের ব্যাটারি দিয়ে সহযোগিতা করেছে গেস্টন নামের একটি প্রতিষ্ঠান।