নারায়ণগঞ্জে দায়িত্ব পালন করবে ৪০০ সেনা সদস্য
নিজস্ব প্রতিবেদক
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০৩:২১ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে প্রায় ৪০০ সেনা সদস্য দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রাকিব।
তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা দায়িত্ব পালন করতে এসেছি। নারায়ণগঞ্জ জেলায় ইতোমধ্যে ৫টি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। ইনস্ট্রাকশন রিগার্ডিং ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার অনুয়ায়ী রিটার্নিং অফিসারের পরামর্শে ও অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে জাতির প্রত্যাশা মেটাতে সেনাবাহিনী বদ্ধ পরিকর।
সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার লক্ষে রিটার্নিং অফিসার মো. রাব্বি মিয়ার তত্ত্বাবধানে আন্তঃবাহিনী সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় নারায়ণগঞ্জ বিজিবির সিও লে. কর্নেল আল-আমিন বলেন, আইন-শৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখতে নারায়ণগঞ্জ জেলায় ইতোমধ্যে দায়িত্ব পালন করছে বিজিবির ৪৫০ জন সদস্য। অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে রিটার্নিং অফিসারের পরামর্শে বিজিবি তাদের ওপর অর্পিত পবিত্র দায়িত্ব পালনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক কমান্ডার রাসেল আহমেদ জানান, র্যাব জঙ্গি দমন, মাদক নির্মূল ও সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ তথা দেশবাসীর আস্থা অর্জন করেছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে জেলা পুলিশের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকেই। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে গৃহীত হয়েছে কর্ম-পদ্ধতি ও কৌশল। রিটার্নিং অফিসারের পরামর্শে ও অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে পবিত্র এ দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় সকল কর্ম সম্পাদনে জেলা পুলিশ বদ্ধপরিকর।
রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. রাব্বী মিয়া বলেন, বিভিন্ন বাহিনীর ফোর্স মোতায়েনের ক্ষেত্রে যাতে ওভারলেপিং না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমাদের লক্ষ্য অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা। নির্বাচন পূর্ব আইন-শৃঙ্খখলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখাসহ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা প্রতিপালন নিশ্চিতকরণে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগণ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ কর্মযজ্ঞে অংশগ্রহণ করায় দেশের মানুষের মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা আরও দৃঢ় হয়েছে।