মিসওয়াকের ফজিলত
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ০২:৩৮ পিএম, ১৩ মে ২০১৯ সোমবার
মিসওয়াক করা প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নাত।
মিসওয়াক করার মাঝে রয়েছে ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণ ও উপকারিতা। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিসওয়াকের প্রতি বিশেষ যত্নবান ছিলেন এবং উম্মতকেও এ ব্যাপারে বিশেষভাবে তাগিদ দিয়েছেন।
মিসওয়াকের গুরুত্ব: হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘এমনটি কখনো হয়নি যে, জিবরাইল (আ.) আমার নিকট এসেছেন, আর আমাকে মিসওয়াকের আদেশ দেননি। এতে আমার আশংকা হচ্ছিল যে, (মিসওয়াকের কারণে) আমার মুখের অগ্রভাগ ছিলে না ফেলি।’ (মুসনাদে আহমদ)
অন্য হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আমি যদি উম্মতের ওপর (কষ্ট হবার) আশংকা না করতাম, তাহলে প্রত্যেক নামাজেই মিসওয়াক করার আদেশ দিতাম (বুখারী, মুসলিম)
মিসওয়াক করার ফজিলত: মিসওয়াকের বহু ফজিলত হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, মিসওয়াক মুখের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যম ও আল্লাহর সন্তুষ্টির উপায় (নাসায়ী)
অন্য এক হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মিসওয়াক করে যে নামাজ আদায় করা হয়, সে নামাজে মিসওয়াকবিহীন নামাজের তুলনায় সত্তরগুণ বেশি ফজিলত রয়েছে (বাইহাকী)