শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তাৎক্ষণিক পুলিশ সেবায় ‘হোন্ডা মোবাইল’

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১১:৩০ এএম, ১৭ মে ২০১৯ শুক্রবার

মানুষকে পুলিশের সেবা তাৎক্ষণিকসেবা পৌঁছে দিতে ‘হোন্ডা মোবাইল’ নামে এক বিশেষ সেবার উদ্বোধন করে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, নগরীর প্রতিটি এলাকাসহ ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, সদর, সাইনবোর্ডসহ সব জায়গাতেই হোন্ডা মোবাইল যাবে। যেখানেই সমস্যা হবে ওরা সেখানেই মুভ করবে। যেখানেই যানজট হবে ওরা সেখানেই দ্রুত পৌছাবে এবং ব্যবস্থা নেবে। আজ থেকেই তারা কাজ শুরু করবে। সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেয়াটাই আমাদের মূল কাজ। 

 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মাহে রমজান, বৌদ্ধ পূর্ণিমা ও ঈদকে কেন্দ্র করে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এনিয়ে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের কথাও জানান তিনি। 

 

এসপি হারুন বলেন, কেউ যদি বিপদে পড়ে, যানজটে পড়ে, ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে তাহলে তাঁরা ‘হোন্ডা মোবাইল’ কে খবর দিলেই তাঁরা দ্রুত সেখানে গিয়ে পৌছাবে। মানুষের ভালোভাবে যাতায়াতের জন্য যা যা করা দরকার আমরা তাই করবো। কেউ রাস্তা রোধ করে সিএনজি স্ট্যান্ড ও দোকান চালাবে আমরা তা হতে দেইনি। আর হতে দিবোও না।  

 

নগরীর যানজট নিরসন প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর ও ভুলতাসহ বিভিন্ন এলাকাতে যানজট সৃষ্টি হয়। ঈদে মানুষকে ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ দিতে আমরা অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করেছি। পাশাপাশি আমরা কমিউনিটি পুলিশ এবং আনসার নিয়োগ করছি। আমাদের লক্ষ্য একটাই, রাস্তায় জানযট নিরসন করা। মানুষ যাতে যানজট এড়িয়ে দ্রুত বাসায় পৌঁছতে পারে তার জন্য অধিকাংশ ডিভাইডারগুলোর কাটা জায়গাগুলো বন্ধ করে দিয়েছি। যারফলে যানজট কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফতুল্লা, চাষাঢ়া, বঙ্গবন্ধু সড়কসহ বেশকিছু রাস্তায় আমরা অতিরিক্ত পুলিশের মোতায়ন করেছি যাতে করে সাধারণ মানুষের যাতায়াতে কোন রকমের ভোগান্তি না হয়। হকারদের কাছে আমাদের অনুরোধ তারা যেন হাঁটার রাস্তা ছেড়ে দিয়ে দোকান বসায়।

 

চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারী চক্রের বিরুদ্ধে পুলিশের শক্ত কার্যক্রম চলমান আছে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, রোজা ও ঈদকে কেন্দ্র করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও অসাধু চক্র বিশেষ করে ‘ছিনতাইকারী চক্র’ বিভিন্ন ঘটনা ঘটায়। আমরা অভিযান পরিচালনা করে ১৩ জন ছিনতাইকারীকে আমরা হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছি। ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজদের কারণে যাতে কোন সমস্যায় না পড়েন সেজন্য আমারা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। পুলিশ সুপার কার্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রতিটি থানার ওসিসহ সকলে মিলেই আমরা এই আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করবো। ব্যবয়ারীরা যাতে কোন ডাকাতির কবলে না পড়েন সেই দিকেও আমাদের লক্ষ্য থাকবে। মাদকের বিরুদ্ধে  যে অভিযান অব্যাহত আছে এটা তো চলমান থাকবেই।