অক্লান্ত পরিশ্রম, লক্ষ্য একটাই জনসাধারণের জীবনে স্বস্তি
আমাদের নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত : ১২:১৩ পিএম, ১৭ মে ২০১৯ শুক্রবার
রোজা ও ঈদ এলেই সাধারন মানুষের শিকার হতে হয় নানা হয়রানির। একদিকে রোজা ও ঈদের খুশিতে মানুষ ঘর থেকে বের হয় অন্যদিকে যানজট, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির সম্মুখীন হয়। এই সব ঘটনা মানুষের খুশিকে মাটি করার জন্য যথেষ্ট।
অপরাধ তিনটি সারাবছর হলেও এই সময় এই সকল অপরাধের পরিমান মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পায়। ফলে সাধারন মানুষকে দূর্ভোগের শিকার হতে হয়।
যানজট, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি সমস্যার সমাধান ইতিপূর্বে প্রশাসনের কাছে আশা করেও পায়নি নগরবাসী। কিন্তু এবার রোজা ও ঈদে এই সকল সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ পুলিশ। ছিনতাই, যানযট ও চাঁদাবাজি সমস্যায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঈদ পর্যন্ত মানুষের নিরাপত্তায় তৎপর থাকবে পুলিশ। এছাড়াও পুলিশের সেবা তাৎক্ষনিক পৌছে দিতে ‘হোন্ডা মোবাইল’ এর বিশেষ কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। যেখানেই সমস্যা হবে সেখানেই পৌছে তারা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মাহে রমজান, বৌদ্ধ পূর্ণিমা ও ঈদকে কেন্দ্র করে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ বলেন, রমজান মাস উপলক্ষে যানজট, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধে অতিরিক্ত পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।
যানযট নিরসনে যেসকল ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ঘটনায় অরাজকতা সৃষ্ঠি যেন না হয় এজন্য সকল দিকেই নজর রাখতে পুলিশ ঈদের দিন পর্যন্ত রাজপথে থাকবে। এবার ঈদে পুলিশের ছুটি নেই।
নগরের মানুষের নিত্যদিনের সমস্যা যানযট। এই সমস্যার নেই কোন সমাধান। কিন্তু সমস্যার সমাধান না থাকলেও রোজা ও ঈদ পূর্ববর্তী সময়ে এই সমস্যা তীব্র আকারে সৃষ্টি হয়।
নগরের লিংক রোড, চিটাগাং রোড, শিমরাইল- নারায়ণগঞ্জ সড়ক সহ প্রায় প্রতিটি রোডেই অতিরিক্ত যানযটের সৃষ্টি হয়। যানযটের ফলে পথচারী ও যাত্রীদের ভোগান্তির কোন সীমা নেই।
ঈদে মানুষকে যানযটের ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ দেওয়ার জন্য পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশ এবং আনসার নিয়োগ করা হয়েছে। রাস্তায় যানযট নিরসনে অধিকাংশ ডিভাইডারের কাটা জায়গাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছ্।
অন্য দিকে ছিনতাই কারী ও চাঁদাবাজদের হার তুলনামূলকভাবে প্রচুর বৃদ্ধি পায়। ঈদের পূর্বে সড়কে মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি থাকে বলে ছিনতাইকারী চক্রও তৎপর হয়। মানুষের ভীড়ে অতি সহজেই ছিনতাই করার জন্য ঈদের পূর্বে উপযুক্ত সময়।
ভীড়কে কাজে লাগিয়ে ছিনতাই কারীরা সহজেই পালিয়ে যায়। ঈদকে কেন্দ্র করে সব ধরনের ব্যবসায়ীদের ব্যবসা জমে উঠে। এই সময়কে চাঁদাবাজিদের উৎপাত ও দেখার মতো। বড়-ছোট সব ধরনের ব্যবসায়ীদের এই চাঁদাবাজির সমস্যায় পড়তে হয়। অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে ব্যবসায়ীদের নাজেহাল করে চাঁদাবাজরা।
নগরীর প্রতিটি এলাকাসহ ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, সদর, সাইনবোর্ডসহ সব জায়গাতেই হোন্ডা মোবাইল যাবে। কেউ যদি বিপদে পড়ে, ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে তাহলে তাঁরা ‘হোন্ডা মোবাইল’ কে খবর দিলেই তাঁরা দ্রুত সেখানে গিয়ে পৌছাবে।