শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১   ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দুর্ঘটনা রোধে ট্রাক চালকদের জন্য মহাসড়কে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৯:২৮ এএম, ১৯ মে ২০১৯ রোববার

ট্রাকচালকদের একটানা দীর্ঘপথ গাড়ি চালানোর কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে, এতে প্রাণও ঝরে অনেক। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে মহাসড়কে দীর্ঘযাত্রার ট্রাকচালকদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত বিশ্রামাগার গড়ে তুলবে সরকার। প্রথমে চারটি জাতীয় মহাসড়কে এই বিশ্রামাগার গড়ে তোলার পর পর্যায়ক্রমে বাকি মহাসড়কগুলোতেও এ ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।

এ লক্ষ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ নিয়েছে ‘টেকসই ও নিরাপদ মহাসড়ক গড়ে তোলার জন্য চারটি জাতীয় মহাসড়কের পার্শ্বে পণ্যবাহী গাড়ি চালকদের জন্য পার্কিং সুবিধা সম্বলিত বিশ্রামাগার নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্প। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩৩ কোটি ৫২ লাখ ৭১ হাজার টাকা। চলতি বছরের শেষ সময়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে শেষ হবে ২০২০ সালের ৩০ জুনে।

প্রকল্পটির আওতায় যে চার মহাসড়কে বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হবে সেগুলো হচ্ছে; ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-রংপুর এবং ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিশ্রামাগারটি নির্মাণ করা হবে কুমিল্লার নিমসারে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বিশ্রামাগারটি গড়ে উঠবে হবিগঞ্জের জগদীশপুরে, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে বিশ্রামাগার হবে সিরাগঞ্জের পাঁচিলে এবং ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ট্রাকচালকদের জন্য বিশ্রামাগার গড়ে তোলা হবে মাগুরার লক্ষীকান্দারে।
 
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, নিমসার ও পাঁচিলে সাড়ে ১২ একর ভূমিতে নির্মাণ করা হবে বিশ্রামাগার। জগদীশপুর ও লক্ষীকান্দারে বিশ্রামাগার গড়ে উঠবে ১৩ একর জমিতে। ১ হাজার ৮৬৩ বর্গমিটার আয়তনের দুই তলাবিশিষ্ট ভবনের আঙিনায় থাকবে ওয়ার্কশপ এবং পার্কিং এরিয়া, যেখানে অনায়াসে ৫০টি ট্রাক পার্কিং করা যাবে। 

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, প্রকল্পের আওতায় সড়কবাঁধ নির্মাণ, ভূমি অধিগ্রহণ ও সবুজায়নের কাজ করা হবে। বিশ্রামাগারগুলো নির্মিত হলে ট্রাকচালকরা এখানে বিশ্রাম নিতে পারবেন। পারবেন ক্লান্তি দূর করার জন্য গোসল সারতে এবং ঘুমোতেও। সুযোগ হবে চালক পরিবর্তন এবং যানবাহনের যান্ত্রিক ত্রুটি দূর করারও। এর পাশাপাশি বিনোদনের জন্য টিভি দেখা এবং অবসাদ দূর করতে চা ও কফি পানের পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও থাকবে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্রমতে, প্রাথমিকভাবে চারটি জাতীয় মহাসড়কে ওই বিশ্রামাগারগুলো গড়ে তোলার পর ঢাকা-মাওয়া, ঢাকা-বরিশাল, ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-রাজশাহী রুটেও ট্রাকচালকদের জন্য এমন অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।  
 
এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ট্রাকচালকেরা জাতীয় মহাসড়কে দীর্ঘ সময় ড্রাইভে থাকেন। অনেক সময় দেখা যায় পণ্যবোঝাই ট্রাক নিয়ে একজন চালক রংপুর থেকে ঢাকা আসেন। সেসময় ওই ট্রাকচালক কোথাও বিশ্রাম নেন না। এতে অনেক সময় সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। এটা নিরসনেই আমরা সড়কে বিশ্রামাগার নির্মাণ করবো।

তিনি বলেন, প্রথমে চারটি জাতীয় মহাসড়কে আধুনিক বিশ্রামাগর নির্মাণ করবো। পর্যায়ক্রমে বাকি জাতীয় মহাসড়কগুলোতে ট্রাকচালকদের জন্য বিশ্রামাগার নির্মাণ করবো।