শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঈদে লক্কর-ঝক্কর গাড়ি যেন রাস্তায় না নামে

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ০৭:৫৫ এএম, ২৪ মে ২০১৯ শুক্রবার

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঈদে যেন লক্কর-ঝক্কর গাড়ি রাস্তায় না নামে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন, নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক করতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, সড়ক থেকে লক্কর-ঝক্কর বাস সরাতে হলে মালিক-শ্রমিকের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। 

‘মালিক-শ্রমিক উদ্যোগ না নিলে লক্কর-ঝক্কর বাসের সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়’ এজন্য পরিবহন শ্রমিকদের কাউন্সিলিং করতে মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। 

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানী বিআরটিএ ভবনে ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ও সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেক-হোল্ডারদের সঙ্গে সভা শেষে তিনি এ আহ্বান জানান।

ঈদযাত্রা আরামদায়ক না হলেও স্বস্তিদায়ক হবে মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ, আন্তঃজেলা যাতায়াতে যাত্রীবাহী বাসগুলো যেন নিয়মকানুন ও শৃঙ্খলা মেনে চলে। 

‘শৃঙ্খলা না থাকলে অনেক সময় রাস্তায় মুখোমুখি সংর্ঘষের ফলে বিশাল যানজট লেগে যায়। এতে সড়ক মহাসড়কের উন্নয়ন বা উন্নতি করেও শৃঙ্খলা থাকে না। নিয়ম মেনে না চললে ফোর লেন রাস্তা কিংবা ফ্লাইওভার করেও সুফল পাওয়া যাবে না।’

 

তিনি বলেন, ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া দাবি বা আদায় না করা, বাসের ছাদে যাত্রী বহন না করা, ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বা মালামাল বহন না করার বিষয়গুলো নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গাবতলী, মহাখালী ও সায়দাবাদ বাস টার্মিনালে একটি করে ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি বাস মালিক ও গাড়ি চালকদের অনুরোধ করবো, সড়কে গাড়ি যেন নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলে। নিরাপদ সড়ক করতে মালিকরাও বড় ভূমিকা রাখতে পারে। যেন মানুষ ভোগান্তির শিকার না হয়, এটা খেয়াল রাখতে হবে।

সড়কমন্ত্রী বলেন, সড়ক পরিবহন আইন যেটি সংসদে পাস হয়েছে, সংশ্লিষ্ট চার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বসে যুক্তিযুক্ত সমাধান করা হবে। আইনমন্ত্রী এটা বিশেষ করে দেখবেন। আইনানুগভাবে সড়ক পরিবহন বাস্তবায়ন করা হবে।

তিনি বলেন, ঈদের তিন দিন আগে থেকে মহাসড়কে ট্রাক, লরি, কাভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী বহনকারী যানবাহন এই নির্দেশনার বাইরে থাকবে।

 

নির্ধারিত সময়ের ছয় মাস আগেই মেঘনা ও গোমতি সেতুর কাজ সম্পন্ন করায় জাপানি কোম্পানির সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগে কাজ সম্পন্ন করা একটি বিরল ঘটনা। ফলে রাষ্ট্রের সাশ্রয় হয়েছে ৭২০ কোটি টাকা। এজন্য আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই।