শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চরিত্র পছন্দ না হওয়ায় তারকাদের চম্পট!

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১১:০১ এএম, ২৪ মে ২০১৯ শুক্রবার

বলিউড তারকারা চরিত্র বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনেকটা মনোযোগী। বিশেষ করে একটি স্তরে চলে আসলে তিনি আর যেমন তেমন চরিত্র করতে রাজী হন না। এর কারণ, দর্শকদের ভালোবাসা ধরে রাখা ও নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া। একটি পর্যায়ে গিয়ে যখন কোন তারকা হ য ব র ল চরিত্রে হাজির হন তখন তার পুরনো দিনের সব অর্জন ধূলিসাৎ হয়ে যায়, যা সে বহু বছর ধরে অর্জন করে আসছিল। 

তবে অভিনয়ে সকলে যেমন চায় নিজের ক্যারিয়ার ধরে রাখতে, ঠিক তেমনি তারকারা এটাও চায় যে, দ্বিতীয় চরিত্র তেমন না করতে। বিশেষ করে একজন তারকা যখন প্রথম সারিতে চলে আসে তখন সে আর দ্বিতীয় শ্রেণীর চরিত্র করতেই চায় না। মূলত বিশ্বের সব তারকাই চায় সেরা সিনেমার সবচেয়ে সেরা চরিত্রটি পেতে। এদিকে বলিউডে এই রীতিটি এখন বেশী লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যার ফলে এখানকার অনেকেই ভাল স্ক্রিপ্ট হওয়ার পরও কেন্দ্রীয় চরিত্র না পাওয়াই চম্পট করেছেন সিনেমা থেকে। 

 

জুহি চাওলা ও কাজল 

জুহি চাওলা ও কাজল দুজনই বলিউডের প্রথম সারির নায়িকা। এরা দিল তো পাগল হ্যায় সিনেমা ছেড়েছিলেন শুধু মাত্র দ্বিতীয় চরিত্র হওয়াই। মূলত এই ছবিতে শাহরুখের বিপরীতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন মাধুরী দিক্ষিত। দ্বিতীয় নায়িকা ছিলেন কারিশমা কাপুর। তবে এর আগে, পরিচালক কারিশমার জায়গায় চেয়েছিলেন নায়িকা জুহিকে, পরে তিনি রাজী না হওয়াই চেয়েছিলেন কাজলকে। কিন্তু তারা দুজনে অস্বীকৃতি জানালে পরে কারিশমাকে দিয়ে কাজটি করানো হয়। আর তিনিও সেই প্রস্তাব লুফে নেন। পরে ছবিটির জন্য কারিশমা ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কারও জয় করেন।

ক্যাটরিনা কাইফ

বারফি যারা দেখেছেন, তারা নিশ্চয় জানেন, কেমন স্ক্রিপ্ট ছিল সিনেমাটির। বলতে গেলে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ক্যারিয়ারের সেরা ছবিগুলোর মধ্যে একটি এটি। মূলত এরই দ্বিতীয় নারী চরিত্রের জন্য প্রথমে বিবেচনা করা হয়েছিল ক্যাটরিনা কাইফকে। তবে তিনি প্রস্তাব নাকোচ করে দিলে বারফি দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয়ে যায় ইলিয়েনা ডি’ক্রজের। পরে ছবিটির জন্য ভীষণ প্রসংশিত হয়েছেন তিনি।

সালমান খান

কালজয়ী সিনেমা কাল হো না হো তে প্রথম সালমান-শাহরুখের জুটি বাঁধার কথা ছিল। কিন্তু, এতে প্রধান চরিত্রে দেয়া হয়েছিল শাহরুখকে আর দ্বিতীয় চরিত্রে থাকার কথা ছিল সালমানের। কিন্তু কম গুরুত্বপূর্ণ হওয়াই তিনি ছবিতে করতে রাজী হননি। পরে চরিত্রটি পান সাইফ আলী খান। আর এই ছবির জন্য সত্যি সাইফ অনেক প্রশংসিত হয়েছিলেন।

সাইফ আলী খান 

এক সময় সাইফ আলী খান নিজেকে এমনভাবে গুটিয়ে নিয়েছিলেন যে, কুছ কুছ হোতা হ্যায় সিনেমায় সালমান খানের চরিত্রটির জন্য প্রথমে তিনি প্রস্তাব পেয়েছিলেন। কিন্তু সাইফ রাজী না হওয়াই পরে সেটি বলিউড ভাইজানই করেন। 

শাহরুখ খান (পদ্মাবত ও রাঙ দে বাসন্তী)

শাহরুখ খান নিজের ক্যারিয়ারে দুটি হিট ছবি ছেড়ে দিয়েছিলেন। যা হয়ত তাকে আরো ধ্বংসের দিকে নামিয়েছিল। তাকে ‘পদ্মাবত’ ছবিতে শহীদ কাপুরের চরিত্রটির জন্য প্রথমে প্রস্তাব করেছিলেন সঞ্জয় লিলা বানসালি। তবে, শাহরুখ এতটাই অনীহা প্রকাশ করেছিলেন যে, নিজের পারিশ্রমিক পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। পরে তাকে নিয়ে কাজ না করে শহিদকে দিয়ে করিয়েছিলেন বানসালি। 

এছাড়া শাহরুখকে আমির খানের সঙ্গে ‘রঙ দে বাসন্তী’ ছবিতে জুটি বাঁধারও সুযোগ দিয়েছিল পরিচালক। তবে, তিনি চরিত্রটি ছোট হওয়ায়, তা লুপে না নিয়ে নির্মাতা রাকেশ ওম প্রকাশ মেহরাকে ফিরিয়ে দেন। পরে বিমান কর্মকর্তার চরিত্রটি করেন মাধবন। অবশ্য এর জন্য মাধবান বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন।

বিদ্যা বালান

বলিউড অভিনেত্রী বিদ্যা বালান। তিনি বেশ বেছে বেছে কাজ করেন। তিনিই মানিয়া সুরভে’র প্রেমিকার চরিত্রটি করার জন্য প্রথম প্রস্তাব পেয়েছিলেন। তবে স্ক্রিপ্টটা পড়ে বিদ্যা বুঝেছিলেন, এটি একটি পুরুষচরিত্রকেন্দ্রীক ছবি হতে যাচ্ছে। তাই বিদ্যা ‘না’ করেছিলেন। পরে চরিত্রটি করেন কঙ্গনা রনৌত।

রণবীর কাপুর 

বলিউডে আরেক হিট নায়ক রণবীর কাপুর। যিনি অভিনয়গুণে নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য মাত্রায়। এই তারকাও একসময় নির্মাতা জয়া আখতারকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। কারণ, তার ছবিতে প্রথম নায়ক হিসেবে ছিলেন রণবীর সিং। তার সঙ্গে দ্বিতীয় চরিত্র করতে চায় নি বলে রণবীর কাপুর ছবিটি ছেড়েছিলেন। পরে অবশ্য চরিত্রটি করেছেন সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী।

ফারহান আখতার 

ফারহান আখতার। প্রথম গোল্ড সিনেমায় ভারতীয় দলের হতকি অধিনায়কের চরিত্রে থাকার কথা ছিল তার। তবে, রিমা কাগতির সেই ছবিতে অক্ষয়ের চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র তাকে দেয়ায় ছবিটি বয়কট করেছিলেন ফারহান। পরে অবশ্য চরিত্রটি করেন কুনাল কাপুর।