শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ৩০ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তারা এসেছেন জাঁকজমকভাবে কিন্তু ছেড়েছেন বেশ নীরবে

আমাদের নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত : ১১:০২ এএম, ২৪ মে ২০১৯ শুক্রবার

পৃথিবীতে অনেক তারকাই আছে, যারা কষ্ট করে অভিনয়ে আসে তবে পরবর্তীতে ভালো কোন সম্পর্ক হলে ক্যারিয়ার ছেড়ে পালায়! একটা উদাহরণ দিলে হয়ত বুঝতে বেশ সুবিধা হবে। এই যে ধরুন, বলিউড নায়িকা আয়েশা টাকিয়া। বেশ ভালো একটি ক্যারিয়ার ছিল এই নায়িকার। অভিনয়ে থাকাকালীন সালমান খানেরও নায়িকা হয়েছিলেন তিনি। তবে পরবর্তীতে কী হল? স্বামী পেয়ে একেবারে ক্যারিয়ার গুডবাই বলে দিলেন এই নায়িকা।

দেশ বিদেশে এমন আরো অনেক তারকাই আছে, যারা কিনা ঠিক একইভাবে গুডবাই জানিয়েছেন, শুধুমাত্র ভালো একটি সম্পর্ক হওয়ার পর। আজ ডেইলি বাংলাদেশের পাঠকদের এই সব বলিউড তারকাদের নিয়ে আলোকপাত করবো, যারা এসেছেন ভালোভাবে কিন্তু ছেড়ে গেছেন বেশ নীরবে। 

 

তবে এটাও সত্য যে, হয়ত তাদের ভাগ্যের লিখন এমনই ছিল। বলিউডে তারা একেবারে কম সময় ছিলেন না কিন্তু। বেশ ভাল ছবিতে অভিনয়ও করেছেন। তবে, বলিউডে তেমন ভালো কিছু করতে না পারলেও স্বামীর সংসারে বেশ ভালো করছেন এই অভিনেত্রীরা। 

চলুন দেখা যাক, কারা আছেন এই তালিকায়-

এশা দেওল

সংক্ষেপে এশা দেওল একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী; যিনি মূলত বলিউড চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তিনি ২০০২ সালের কই মেরে দিল সে পুছে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। পরবর্তীতে এই নায়িকা চলচ্চিত্র সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ান এবং অভিনয় জীবনে অনেকগুলি পুরষ্কার অর্জন করতে সক্ষম হন। তার বাবা ছিলেন ধর্মেন্দ্র আর মা হেমা মালিনি। এই কারণে অনেকেই মনে করতেন, বলিউডে টিকে থাকতে নাকি তার বাড়তি কিছু করা লাগেনি। তবে, এশা দেওলের গল্পটা মূলত এতটা সহজ ছিল না। তিনি বাবা-মার মত বড় তারকা হতে পারেননি ঠিকই, কিন্তু কষ্ট করেছেন বেশ। তবে তিনিও একসময় ২০১২ সালে ডায়মন্ড ব্যবসায়ী ভারত তাখতানিকে বিয়ে করেন। এরপর বলিউড থেকে বিদায় নেন।

অমৃতা অরোরা

ভারতের মুম্বাই শহরের বান্দ্রায় থাকতেন অভিনেত্রী অমৃতা অরোরা। তাকে সর্বশেষ ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘কুচ তো হ্যায় তেরে মেরে দার্মিয়ান’-তে দেখা গিয়েছিল। এরপরে আর কোন বলিউড সিনেমাতেই দেখা যায়নি ৪০ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীকে। তবে প্রিয় বান্ধবী কারিনা কাপুরের মত আকাশ ছোয়া সাফল্য তিনি পাননি। এমনকি বোন মালাইকা অরোরার পর্যায়েও পৌঁছাতে পারেননি। তবে অভিনয়ের জন্য অনেকটা কেটেছেন এই অভিনেত্রী। পরবর্তীতে তিনি প্রেমিক শাকিল লাদাককে বিয়ে করেন। যিনি ছিলেন মুম্বাইয়ের খুব পরিচিত কনস্ট্রাকশন প্রতিষ্ঠান রেডস্টোন গ্রুপের পরিচালক। এরপর সিনেমাকে গুডবাই করেন।

সেলিনা জেটলি

সেলিনা জেটলি। তিনি হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী, যিনি বলিউড সিনেমায় এমনকি মডেল হিসেবেও কাজ করেছিলেন। এছাড়া তাকে সাবেক সৌন্দর্য রাণী এবং মডেল হিসেবে ২০০১ সালে ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স খেতাব দ্বারা সম্মানিত করা হয়। তবে জেটলির বিরাট সাফল্য অর্জনের মধ্যে ছিল, ২০০৩ সালের থ্রিলার চলচ্চিত্র জানশীন-এ অসাধারণ অভিনয়। এছাড়াও পরবর্তীকালে তার অভিনীত চলচ্চিত্র সিলসিলায় (২০০৫), নো এন্ট্রি (২০০৫), টম ডিক এন্ড হ্যারি (২০০৬) এবং গোলমাল রিটার্ন (২০০৮)-এ অভিনয় খ্যাতি বাড়িয়ে দেয়।

এত কিছুর পর, তিনিও মিডিয়া ছেড়েছিলেন, যখন বিয়ে করেছেন পিটার হ্যাগকে। এই স্বামী একজন অস্ট্রিয়ান রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী। দুবাই ও সিঙ্গাপুরে তার চেইন হোটেল আছে। স্বামী  ও সংসার নিয়ে ‘জানাশিন’ খ্যাত ধুসর চোখের এই নায়িকা এখন ভারতের বাইরেই থাকেন। স্বামীর সঙ্গে বেশ ভালোভাবে সংসারও করছেন।

শিল্পা শেঠি

শিল্পা শেঠী ছিলেন বলিউডের একজন খ্যাতনামা নায়িকা। তিনিও মডেল হিসেবে কাজ করেছিলেন। ১৯৯৩ সালের শাহরুখ খানের বিপরীতে বাজিগর চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিষেকের পর থেকে প্রায় ৪০ টি বলিউড, তামিল, তেলেগু এবং কন্নড় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এই নায়িকা। শিল্পা প্রথম প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন ১৯৯৪ সালের আগ ছবিতে। এছাড়াও তিনি ধাড়কান (২০০০) এবং রিস্তে (২০০২) চলচ্চিত্রে অসাধারণ অভিনয় নৈপুণ্য প্রদর্শন করেন। 

এদিকে, ২০০৪ সালে ফির মিলিঙ্গে চলচ্চিত্রে একজন এইডস রোগী হিসেবে অভিনয় করে তিনি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার লাভ করেন। তার ছোট বোন শমিতা শেঠীও একজন বলিউড চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করেছেন। পরে শিল্পার ক্যারিয়ারে ধস নামে যখন ২০০৯ সালে তিনি রাজ কুন্দ্রাকে বিয়ে করেন। তার স্বামী রাজ কুন্দ্রা ছিলেন ‘সাকসেস’ ম্যাগাজিনের বিবেচনায় শীর্ষ ব্রিটিশ-এশিয়ান ধনীদের মধ্যে ১৯৮ তম। 

 

এই কারণে পরবর্তীতে শিল্পা ও রাজ ছিলেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দল রাজস্থান রয়্যালসের মালিক। এখন শিল্পার ক্রিকেট বা সিনেমা কোনোটির সঙ্গেই যোগাযোগ নেই। ম্যাচ ফিক্সিং-র অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে তাদের দল ছাড়তে হয়েছে।